দুই দিন আওয়ামী লীগের মিছিলে গিয়ে চার মাস পালিয়ে আছি!
- বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:৩৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গেল আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী নিজেদের রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কেউ আছেন দেশে, কেউ দেশের বাইরে। অনেকে আবার গ্রেফতার হয়েছেন। এ অবস্থায় দলের কর্মী-সমর্থক ও ছোট ছোট নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। হামলা মামলার ভয়ে তারা বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না। বাইরে থাকা অনেকে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না পরিবার-পরিজনদের সাথে। কেউ কেউ আছেন আর্থিক সংকটে।
তবে, রাজনীতি করা নয় শুধু সমর্থন করেই পালিয়ে আছেন বগুড়া জেলার একাধিক ব্যাক্তি। অভিযোগ, জীবনে রাজনৈতি না করেও মামলা ও হুমকি দেয়া হচ্ছে তাদের।
বগুড়ার স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নিমাই ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জীবনে রাজনীতি করিনি ভাই। শুধু দুই দিন সর্মথনে মিছিলে ছিলাম। আজ চার মাস পালিয়ে। জানি না কবে ফিরব।
সরকার পতনের পর আচানক বগুড়াবাসীর ক্ষোপ জমেছে সাবেক নেতাকর্মীসহ সমর্থনকারীদের উপরেও। যার ফলে এখনো পালাতক ৪০০জনেরও বেশি।
এর আগে, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গেল ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে হেলিকপ্টারযোগে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হলেও কেন্দ্রীয় বহু নেতার খোঁজ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।
এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন দলকে শক্তিশালী করা যায়নি, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার দলের সিনিয়র নেতাদের উপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র বহু নেতা জানান, রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। এক দল সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় ছিলাম। এখন ক্ষমতায় নেই। দেশের যে পরিস্থিতি, সেজন্য অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নেতাকর্মীরা ফের মাঠে নামবেন। এখন নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়। নিজেদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে।