৭৯ নাবিকসহ বাংলাদেশের দুই জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্টগার্ড
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:১৯ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
৭৯ জন নাবিকসহ বাংলাদেশের দুইটি জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্টগার্ড। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে অপহৃতদের পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে। জাহাজে আটক নাবিকরা তাদের উদ্ধারে সরকারি পর্যায়ে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকা থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার জাহাজ এফভি মেঘনা-৫ ও লয়লা-২ ভারতের কোস্টগার্ড বাহিনীর ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে।
জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী সংস্থা জানাচ্ছে, জাহাজ দুইটির বর্তমান অবস্থান ভারতের প্যারাদ্বীপ বন্দর থেকে নয় নটিক্যাল মাইলের মধ্যে।
গেল ২৪ নভেম্বর এফভি মেঘনা-৫ আর ২৭ নভেম্বর এফভি লাইলা-২ নামের দুইটি জাহাজ মাছ আহরণের জন্য সাগরে যায়।
জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান সিএন্ডএ আগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াহে জানান, রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকায় মাছ আহরণ করা অবস্থায় ভারতের কোস্টগার্ডের সদস্যরা জাহাজ দুইটি ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে জাহাজ দুইটিকে নিজেদের জনসীমায় নিয়ে যায় তারা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ছেড়ে দিলে জাহাজ দুইটি ফের হিরণপয়েন্ট এসে জাল ফেলতে শুরু করে। কিছু সময়ের মধ্যে ফের ভারতের কোস্টগার্ড এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
জাহাজ দুইটির ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের প্যারাদ্বীপ বন্দর থেকে নয় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা অবস্থায় আছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি জাহাজে ৫-৬ জন করে কোস্টগার্ডের অস্ত্রধারী সদস্যরা পাহারায় আছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় স্যাটেলাইট ফোনে জাহাজ দুইটির ক্যাপ্টেনদের সঙ্গে কথা হয়েছে মালিকপক্ষের।
মুক্তি পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছে আরেক জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান লাইলা এগ্রোর সিএও মিন্টু সাহা।
তিনি জানান, নাবিকরা উৎকণ্ঠা জানিয়েছে। তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।
এফভি মেঘনায় ৪২ জন আর এফভি লাইলাই ৩৭ জন নাবিক ও জেলে রয়েছেন। ভুল করে এক দেশের জলসীমায় অন্য দেশের ফিশিং ট্রলার ঢুকে পরলে তা আটকের পর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ছেড়ে দেওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে। তবে, এক দেশের জলসীমায় ঢুকে জাহাজ ছিনতাই করে ২৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
এ নিয়ে চট্টগ্রামের সমুদ্র মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুস ছাত্তার জানান, তারা জাহাজের অবস্থান নির্ণয় করেছেন। গেল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এই সংবাদ শোনা মাত্রই তাদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ চলছে।