ওকালতনামা না নিয়েই চিন্ময়ের পক্ষে আদালতে আইনজীবী, আবেদন খারিজ
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৪৪ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিন আবেদন করেছিলেন ঢাকা থেকে আসা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কিন্তু, ওকালতনামা না থাকায় আদালত সব আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আদালতে তিনটি আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে একটি চিন্ময়ের মামলাটি শুনানি করার জন্য, আরেকটি নথি উপস্থাপনের জন্য ও অন্যটি জামিন শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি থেকে এগিয়ে আনার। তবে, যেহেতু তার সঙ্গে চট্টগ্রাম বারের কোন আইনজীবী ছিলেন না, আসামির পক্ষে ওকালতনামাও নেই এবং ফাইলিং আইনজীবীরও লিখিত অনুমতি নেই, সেহেতু আদালত তার আবেদন নট মেইন্টেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবীন্দ্র ঘোষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১১টায় শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমি জানি এই বারের একজন আইনজীবী (সাইফুল ইসলাম আলিফ) মারা গেছেন’। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই খুনের শিকার আইনজীবী আলিফকে ‘শহীদ’ না বলায় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরা সবাই একসঙ্গে প্রতিবাদ করেন। এ সময় এজলাসে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পরে আদালত রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চান, তার পক্ষে চট্টগ্রাম বারের কোন আইনজীবীর ওকালতনামা আছে কিনা বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনুমতি আছে কিনা। এ সময় কোন অনুমতি নেই বলে তিনি আদালতকে জানান। পরে বিচারক আদালত আইন মেইনটেইন করে তাকে আসতে বলেন।
গেল ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটির চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মামলার বাদী ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে ঢাকারয় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রক্ষ্মচারীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পর দিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন কোতোয়ালি থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এ সময় চিন্ময় অনুসারীদের হাতে খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। গেল ৩ ডিসেম্বর ফের জামিন শুনানি হলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।