ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
- মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৫০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়েছে। এছাড়া আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ রুটেও বন্ধ আছে ফেরি চলাচল। এর ফলে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ছোট-বড় চারটি ফেরি। ফেরি বন্ধের কারণে এসব ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৩টা থেকে ওই তিন রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ফেরিতে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকেরা।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই তিনটি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। রাত তিনটার দিকে কুয়াশার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে থাকে। এতে ফেরি চলাচলের চ্যানেলের বিকনবাতি ও মার্কিং পয়েন্ট কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে রাত তিনটা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুটি রো-রো ফেরি- শাহ পরান ও এনায়েতপুরী পদ্মা নদীর মাঝে নোঙর করে আছে। এছাড়া চারটি ফেরি- বনলতা, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, কেরামত আলী ও গৌরী পাটুরিয়া ঘাটে এবং ৬টি ফেরি-বাইগার, বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, কুমিল্লা, ভাষা শহীদ বরকত, হাসনাহেনা ও ডা. গোলাম মাওলা দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে।
একই কারণে রাত পৌনে ১২টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কাযার্লয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. নাসির মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কুয়াশার কারণে গতকাল রাত ১১টা ৫০ মিনিট থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুটি ফেরি- 'বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান' ও 'কিষাণী' যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে যমুনা নদীর মাঝখানে নোঙর করে রয়েছে। চারটি ফেরি- খানজাহান আলী, শাহ আলী, চিত্রা ও ধানসিড়ি আরিচা ঘাটে নোঙর করা আছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, তীব্র কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশার মাত্রা কমে গেলে ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে।
প্রতিবছর শীতের সময় ঘন কুয়াশার কারণে এসব নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। এবার শীতের মৌসুম শুরুর আগেই ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিন ধরে সন্ধ্যার পরপরই পদ্মা-যমুনা অববাহিকায় কুয়াশা থাকছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্বও বাড়তে থাকে। এসময় নৌপথ দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যায় এবং ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূ্র্ণ হয়ে পড়ছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়।