কেশবপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২০
- যশোর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০২:৪৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের সমর্থক ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইউপির চেয়ারম্যানকে পরিষদে যেতে বাধায় দেয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসএম মুনজুর রহমান কার্যালয়ে যেতে পারছিলেন না। তাকে বিএনপির নেতারা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে মনজুর তার সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়ন কাউন্সিল ভবনে অফিস করতে যান। সেখানে স্থানীয় বিএনপির নেতারা তাকে বাধা দেয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শান্ত করে।
পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ফের মুনজুর তার সমর্থকদের নিয়ে পরিষদ এলাকায় গেলে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিএম মহিউদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউপির চেয়ারম্যানের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। এ সময় তার কলাগাছি বাজারের ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর করা হয়েছে।’
বক্তব্য জানতে মুনজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মূলত দুই পক্ষের মধ্যে ঘের নিয়ে দীর্ঘ দিনের কোন্দল রয়েছে। ইউপির চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিন পরিষদে যান না। কোন্দলের বিষয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও তারা মানেননি। বুধবার চেয়ারম্যান তার পরিষদে যায়। সকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ তা শান্ত করে। পরে রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দশজন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এরা বিএনপি সমর্থিত। তবে, তারা কেউই গুরুতর আহত নন। অপর দিকে, চেয়ারম্যান সমর্থিত আহতরা খুলনায় চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।’
ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ টহলে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’