উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রামে বিজয় দিবস উদযাপিত
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৫৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪ বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।
দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। তোপধ্বনি শেষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন প্রথমে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান তাদের নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
সোমবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সিটির সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সিএমপির কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। লক্ষ প্রাণের তাজা রক্ত ও মা, বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়েছিল। যে লক্ষ্য নিয়ে ৭১ সালে বিজয় অর্জিত হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারিনি। যার কারণে গণতন্ত্রের স্বাধীন যাত্রাপথে বার বার আমরা হোঁচট খেয়েছি, এখনো খাচ্ছি। বিজয়ের ৫৩ বছর পার হয়েছে। তবুও, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সে সংগ্রামের ফসল হচ্ছে, ২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং, সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশিত বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে রূপান্তর করব- এই হোক আজকের প্রত্যাশা।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আজকের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বৈষম্যমুক্ত চেতনায় ২০২৪ সালের এ গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আজকের এ দিনে আমাদের প্রত্যাশা।’