কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতের হানা: বিস্ময় ও ক্ষোভ এলাকাবাসীর


News Defalt/keraniganj-robbery-768x432.jpg

দিনেদুপুরে ব্যাংকের মধ্যে ঢুকে এমন ডাকাতির নাটকের ঘটনায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের এলাকাবাসীরা। খেলনা পিস্তল নিয়ে শিশু-কিশোররা যে এমন দুর্ধর্ষ কাজ করতে পারে, তা ভেবে হতাশ অনেকে।

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পাকাপোল এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখাযর সামনে গিয়ে দেখা যায়– স্থানীয়রা এমন ঘটনায় হতাশার সাথে সাথে ক্ষোভের কথাও জানান। তাদের প্রশ্ন, এতো এতো গ্রাহক-ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিম্মি করে তারা টাকা লুট করতে থাকলো অথচ প্রতিরোধ কেউ করলো না!

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্টের কথা জানান স্থানীয়রা। তারা বলেন, পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে ডাকাতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করে।

গতকাল রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ জানান, ‍বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রূপালী ব্যাংক পিএলসির জিনজিরা শাখায় কিছু দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তারা ব্যাংকে কর্মরত ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৬ গ্রাহককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে তারা ব্যাংকের কাউন্টার থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা লুট করে একটি ব্যাগে রাখেন। একইসঙ্গে আরও তিন লাখ টাকা তিনজনের প্যান্টের পকেটে রাখেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় হানা দেয়া ৩ ডাকাত। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাদের অভিযানের একপর্যায়ে সন্ধ্যায় আত্মসমর্পণ করেন তিন ডাকাত।

এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আত্মসমর্পণের সময় জমা দেয়া ৪টি অস্ত্রই খেলনার বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ।

ব্যাংকে হানা দেয়া তিনজনের একজন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার কুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা লিয়ন মোল্লা ওরফে নীরব (২২)। তিনি একজন গাড়িচালক। অন্য দুজনের বয়স ১৬ বছর। তারা কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। দুজনই শিক্ষার্থী।

Your Image ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×