কনস্টেবলকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি
- রাজশাহী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৫৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজশাহীতে বদিউজ্জামান জনি নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশের একটি দল তাকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নগরীর টুলটুলিপাড়া মোড় এলাকার এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হোতা মো. মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেছেন।
বদিউজ্জামান জনি নগরীর রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে কোর্ট স্টেশন এলাকায় থাকেন।
পুলিশ জানায়, রাজপাড়া থানায় ডিউটি শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন জনি। টুলটুলিপাড়া মোড়ে মিলনসহ পাঁচ থেকে ছয়জন তার গতিরোধ করেন। দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন তারা। ঘটনার হোতা মিলন নগরীর হড়গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় থানার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মামলাটি টাইপ করেছিলেন কনস্টেবল জনি। সেই ক্ষোভে তাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেন মিলন।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ জানিয়েছে, জিম্মির ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া মিলন ওই সময় জনিকে শাসিয়ে বলতে থাকেন, গ্রেফতারের পর জামিন নিতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা এখন দিতে হবে। তারপর প্রাণহানির ভয়ে জনি তার এক বন্ধুকে ফোন করেন। তিনি বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। এরপর তার বাবা রাজপাড়া থানায় খবর দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ সেখানে গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে। এ সময় মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ারকে আটক করে পুলিশ।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে জনির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এজাহারে মিলন, সানোয়ারসহ চারজনের নাম রয়েছে। সানোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’