চার প্রকল্পে ব্যয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনে অভিযান
- খুলনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:৪৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
খুলনা সিটির বয়রা এলাকায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) প্রধান কার্যালয়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর একটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় চারটি প্রকল্পের কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। এসব প্রকল্পে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা পর্যালোচনা করবে দুদক।
রোববার দুপুর একটার দিকে দুদকের একটি টিম দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে যায়। সেখান থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ চারটি প্রকল্পের বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। এছাড়া, আরও কিছু কাগজপত্র সরবরাহের নির্দেশনা দেন।
অভিযানে নেতৃত্বে দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম জানান, গেল ১৬ বছরে সংস্থাটি দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং আরও দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সে কারণে ওজোপাডিকো থেকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা সব কাগজপত্র দিতে পারেনি, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাকি কাগজপত্র দেবে বলে জানিয়েছে।
তিনি জানান, মনপুরা দ্বীপে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ওয়েস্টার্ন রিনিউয়্যাল এনার্জি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ কেনা হবে। ইউনিট প্রতি ক্রয় মূল্য ২১ টাকা ২৫ পয়সা। কিন্তু, গ্রাহকদের কাছে তা বিক্রি করা হবে ৪ থেকে ৮ টাকা করে। এর ফলে সরকারকে লোকসান গুনতে হবে।’
রকিবুল ইসলাম আরও জানান, সাবমেরিন ক্যাবল বা অন্য কোন উপায়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহ না করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাড়তি দামে কেন বিদ্যুৎ কেনা হবে, তা ওজোপাডিকোর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তারা বলেছে, এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করেছে। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি কাগজপত্র পেলে তা পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।