আমার এলাকার খবর

কুষ্টিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পৌরসভা প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে পিঠা উৎসবে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হুমাইরা কবির সাদিয়া, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধনসহ কয়েকজন। এ সময় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী ও কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালান তাদের। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের হাতে অস্ত্র ছিল। হামলা করে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মধ্যে আমির হামজা, স্যামসাদী, প্রেমসহ অন্যান্য ছাত্রলীগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ও কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্যরা মুস্তাফিজ, শ্রেষ্ঠ, বাঁধন ও হুমাইরা কবিরের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।’

পুলিশ তদন্তে আসায় বাদীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা প্রতিপক্ষের

জমি জমার বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এ ঘটনার জেরে ৯ নভেম্বর পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হান্নান নামে এক ভুক্তভোগী। ডায়েরির ভিত্তিতে পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ফিরে যাওয়ার পর হান্নানের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। এ সময় হান্নানকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা ফকিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হান্নান একই এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার দেলোয়ার হাওলাদার, ইউনুস মুন্সী, আসাদুল, শহিদুলসহ বেশ কয়েকজন। ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নান বলেন, আমি আমার বাড়িতে যেতে সরকারি খালের ওপর সাঁকো দিয়ে চলাচল করি। এ পথে আমাকে চলাচল করতে বাধা দেন ইউনুস মুন্সী ও ফোরকান মুন্সী। বিভিন্ন সময়ে তারা সাঁকো ভেঙে নিয়ে যেতেন এবং হুমকি ধামকি দিতেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিয়েও তারা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো সমাধান পাইনি। পরে গত ৯ নভেম্বর পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। এর আগেও আমি ১ জুলাই পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর দরখাস্ত দিয়েছিলাম। হান্নান আরও বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরির পর শনিবার দুপুরে পাথরঘাটা থানা থেকে পুলিশ এসে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। এরপর পুলিশ ফিরে গেলেই আমার ওপর দেলোয়ার হাওলাদার, ইউনুস মুন্সী, আসাদুল, শহিদুলসহ বেশ কয়েকজন হামলা করে। তখন আমাকে ওরা গলা কেটে হত্যা করতে চায়। এসময় জসিম, লিটনসহ স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল হান্নান নামে এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন সেন্টু জানান, হান্নানের সঙ্গে ইউনুস মুন্সীদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে হান্নান অনেক চেষ্টা করেও সমাধান পায়নি। পাথরঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, আব্দুল হান্নানের বাড়িতে যাওয়ার সাঁকো ভেঙে ফেলা ও তাকে হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরির ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে ওই এলাকা থেকে আমি আসার পর আব্দুল হান্নানকে মারধরসহ জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাকে আলাদাভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বাউফলে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনে বিশেষ অতিথি আ.লীগ নেতা

পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালামকে বিশেষ অতিথি করায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আবুল কালাম উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে মুন্সী বাড়ির সামনে বিএনপির এ কার্যালয়টি উদ্বোধন করা হয়। জানা গেছে, কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তাকে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। আবুল কালাম আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন ডোনার হিসেবে পরিচিত। তিনি আওয়ামী লীগের সময় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার ছিলেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করে বলেন, বিগত সময়ে এই শ্রমিক লীগ নেতা বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছেন, মামলায় আসামি করেছেন। তাকে বিএনপির কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালাম অনেক টাকার মালিক। গুঞ্জন রয়েছে অতি শিগগিরই তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ

চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুটি পক্ষ। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তাদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিংড়াবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুটি। আহতরা হলেন- সিংড়াবাড়ি এলাকার মুন্না আহম্মেদ, পারভেজ সেখ, হৃদয় সেখ, ফজলে রাব্বী ও উষা বেগম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চর থেকে বালু সংগ্রহ করে উপজেলা সিংড়াবাড়ী এলাকায় ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালু সংগ্রহ করে জিওব্যাগে ভরছে। এতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর ছেলে মেহেদী হাসান সুমন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশাদুল ইসলামের লোকজন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিদিন নৌকা প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা নেন। চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। তবে নিজের চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেহেদী হাসান সুমন। তিনি বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম, গান্ধাইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুইট ও ছাত্রদল নেতা নবীনসহ কয়েকজন প্রতিদিন বালুর নৌকায় চাঁদা তোলেন। চাঁদা তুলতে নিষেধ করায় আমার মা উষা বেগমসহ পাঁচজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম উল্টো অভিযোগ করে বলেন, সুমনকে চরের বালুর চাঁদা ও একক আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয়রা বাধা দিলে এ হামলা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন বলেন, সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আহত অবস্থায় সাতজন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাজীপুর থানার ওসি নূরে আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মেহেদী হাসান সুমন নামে একজন অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবার রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘শেখ হাসিনা আবার আসবে’

‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে; জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু; শেখ হাসিনা আবার আসবে’ সংবলিত লেখা খুলনা রেলস্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ডের স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে। এ ঘটনায় স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রিনের অপারেটর আসলাম হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ভবনের প্রবেশমুখে ডিজিটাল স্ক্রিনে এমন লেখা দিয়ে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের প্রচারণা চালানো হয়। এটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে এমন প্রচারণার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি দেখে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা স্টেশনে অবস্থান নেন এবং মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিজিটাল স্ক্রিনের অপারেটর আসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন, প্রতিনিধি সাজেদুল ইসলাম বাপ্পি, মো. নাজমুল হোসেন ইমরান, সুমাইয়া বান্না ও রুমি রহমানসহ শিক্ষার্থীরা। খুলনা সদর থানার ওসি তদন্ত শাহজাহান বলেন, রেলস্টেশনের ঘটনায় আসলামকে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলনে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা এখনও সক্রিয় রয়েছে, এটাই তার প্রমাণ। তারা দেশের মধ্যে একটি অশান্তি সৃষ্টির জন্য এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করছে। খুলনা রেলওয়ে পুলিশের ওসি মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে; জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু; শেখ হাসিনা আবার ফিরবে এমন একটি লেখা স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রচার হচ্ছে খবর পাওয়া মাত্রই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে দেয়। আসলাম এটি কন্ট্রোল করেছিল, স্থানীয় জনতা ও রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে রাখে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে মহানগর বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রেলস্টেশন ঘেরাও করেন। যে এই কাজটি করেছে তাকে আমরা পুলিশে সোপর্দ করেছি।

ঢাকা-গাজীপুর রুটে চালু হলো ৪ জোড়া ট্রেন

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরবাসীর যোগাযোগ আরও সহজ করতে ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকার পথে চালু হলো চার জোড়া নতুন কমিউটার ট্রেন। এর ফলে যাত্রীরা সহজেই ঢাকা যেতে এবং ঢাকা থেকে গাজীপুরে ফিরতে পারবেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টশেন আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ট্রেন উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। পতাকা নাড়িয়ে এই রুটের কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন করেন তিনি। নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজীপুরের বাসিন্দারা। ট্রেন চালুর খবরে সকাল থেকেই স্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। গাজীপুরের বাসিন্দারা বলেন, ট্রেনের মাধ্যমে গাজীপুরের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব আরও কমবে। উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় রেল উপদেষ্টা বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৬ মার্চ উপলক্ষে ঢাকা-নরসিংদী ও আর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটেও কমিউটার ট্রেন চালুর কথা জানান রেলপথ উপদেষ্টা। পরে মেট্রোলের আদলে নির্মিত এই কম্পিউটার ট্রেনে করে জয়দেবপুর থেকে ধীরাশ্র স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণ করেন ফাওজুল কবির খান। গাজীপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো: তুরাগ কমিউটার-১, তুরাগ কমিউটার-২, তুরাগ কমিউটার-৩ ও তুরাগ কমিউটার-৪ এবং জয়দেবপুর কমিউটার-১, জয়দেবপুর কমিউটার-২, জয়দেবপুর কমিউটার-৩ ও জয়দেবপুর কমিউটার-৪। সূচি অনুযায়ী, তুরাগ কমিউটার শুক্রবার এবং জয়দেবপুর কমিউটার শনিবার বন্ধ থাকবে। তুরাগ কমিউটার-২ জয়দেবপুর থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম স্টেশনে এ ট্রেন থামবে। তুরাগ কমিউটার-৪ ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে রাত সোয়া ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এটি তেজগাঁও, ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে। জয়দেবপুর কমিউটার-২ ও জয়দেবপুর কমিউটার-৪ ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে যথাক্রমে সকাল ৭টা ১০ মিনিট ও দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেন দুটি তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে। তুরাগ কমিউটার-১ ঢাকা থেকে বিকেল ৫টায় জয়দেবপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে। জয়দেবপুর কমিউটার-১ ঢাকা থেকে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে জয়দেবপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তেজগাঁও, ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে এ ট্রেন থামবে। জয়দেবপুর কমিউটার-৩ ঢাকা থেকে বেলা ১১টায় জয়দেবপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এটিও তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে। তুরাগ কমিউটার-৩ ঢাকা থেকে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। এই ট্রেন তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম স্টেশনে থামবে।

পঞ্চগড়ে ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা

অগ্রহায়ণ শুরুর পর থেকে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করে উত্তরাঞ্চলে। শুরুর দিতে হালকা শীত অনুভূত হলেও মাসের শেষের দিকে এসে উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীত অনুভব হচ্ছে। সঙ্গে বিকেল থেকে শুরু হয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর। কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা পেতে বেলা গড়াচ্ছে ১০টা পর্যন্ত। উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ৯টায় দশমিক ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এদিকে তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন চা, পাথর, কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কয়েকদিন ধরে মাঝদুপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে দিন পার করছেন এই জেলার হতদরিদ্র মানুষ। শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীদের ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

‘মাইক বাজানো’ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় সাতগাছী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রায় ২৫টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘনায় মামলা হয়েছে এবং দুপক্ষের ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শৈলকুপা থানার ওসি মো. মাসুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাতগাছী গ্রামের নজির উদ্দিন ভল্টা ও মুকুল হোসেনের সমর্থনে বিভক্ত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের শত্রুতা চলে আসছে দীর্ঘদিন। সম্প্রতি নজির উদ্দিন সমর্থক কাশেম মোল্লার ছেলের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো হচ্ছিল। এতে মুকুল সমর্থক গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম মোল্লা শুক্রবার জুম্মার দিনে গান-বাজনা বাজানো হারাম বলে ফতোয়া দেন। এতে আবুল কাশেম মোল্লা ক্ষিপ্ত হন। সে সময় মসজিদের মধ্যেই দুটি গ্রুপের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় দুপক্ষের লোকজন ঢাল সরকি, রামদা লাঠিসোটা নিয়ে নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। শনিবার সকালেও ওই ঘটনার জের ধরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় অন্তত ২৫টি বাড়িঘর। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি বাড়িতে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি মো. মাসুদ খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং দুপক্ষের ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৌভাত অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণের চেয়ে বেশি লোক আসায় সংঘর্ষ, আহত ১২

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বৌভাত অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণের চেয়ে বেশি লোক আসায় বরপক্ষ ও কনেপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১২ জন। আজ শনিবার উল্লাপাড়া উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ছেলের মা ফিরোজা খাতুনকে (৪০) সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর গুরুতর আহত শহিদুল ইসলাম (৪০), ইমরান হোসেন (১৮) ও সবুজ হোসেনকে (৩০) উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছেলে পক্ষের নিমন্ত্রণের তুলনায় কনেপক্ষ থেকে দ্বিগুণ লোক যাওয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানান কনের মামা মানিক উদ্দিন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার নাগরৌহা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে পাশের মাগুড়াডাঙ্গা গ্রামের নিদান প্রামানিকের মেয়ে আখি খাতুনের বিয়ে হয়। আজ শনিবার নুরুল ইসলামের বাড়িতে তার ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলাম কনেপক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জনকে দাওয়াত করে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৪টায় কনেপক্ষে থেকে ৭০ জন নারী-পুরুষ বৌভাত অনুষ্ঠানে আসে। দ্বিগুণ সংখ্যক লোক আসার প্রেক্ষিতে ছেলে পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে কনেপক্ষের লোকজনকে গালিগালাজ করে। প্রথমে উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হয়। কনের মামা মানিক উদ্দিন অভিযোগ করেন, তার পক্ষ থেকে কয়েকজন লোক বেশি আসায় নুরুল ইসলামের লোকজন তাদের ওপর আক্রমণ করে এবং ব্যাপক মারধর করে। তবে নুরুল ইসলাম কনেপক্ষের লোকজনের ওপর প্রথমে তার পক্ষ থেকে আক্রমণের কথা অস্বীকার করেন। বরং কনেপক্ষই তার লোকজনের ওপর হামলা করে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশ বাহিনী নিয়ে দ্রুত নাগরৌহা গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য এই মুহূর্তে উভয়পক্ষকে নিয়ে ছেলের বাড়িতে আলোচনায় বসেছেন তিনি। উভয়পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভালুকায় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২৫

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় স্থানীয় রাইদা কালেকশন কারখানার জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মার্কেটে অগ্নিসংযোগসহ আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৩টি মোটরসাইকেল। স্থানীয়র সূত্রে জানাযায়, উপজেলার জামিরদিয়া মায়ের মসজিদ এলাকায় লাবীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রাইদা কালেকশন এর জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সাইফুল ইসলাম সরকার। সম্প্রতি ওই কারখানায় জমিদাতাগনের পক্ষ থেকে কারখানার জুট ব্যবসার কার্যাদেশ প্রদানের জন্য দাবী করে আসছেন এবং যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামকে কারখানা থেকে মাল বের করতে বাধা প্রদান করে আসছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ওয়েষ্টিজের মালামাল বের করার জন্য যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামকে ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করলে, সে শনিবার দুপুর থেকে কারখানার ওয়েষ্টিজের (জুট) মালামাল বের করার প্রস্তুতির সংবাদে স্থানীয় জমিদাতাগণের পরিবারের লোকজন যুবদল নেতা শামীম আহাম্মেদের নেতৃত্বে বাধা প্রদানের জন্য মিল গেইটের আশপাশে অবস্থান নেয়। এ সময় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সরকারের পক্ষে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল রহমান জিয়া ও সহ সভাপতি মজিবর মন্ডলের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী অর্তকিত ভাবে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মজিবর মন্ডল (৫০) জুয়েল ঢালী (৩২), মোবারক (৩০), জুনায়েদ (২৮), রফিকুল (৩০), আনোয়ার (৩০), শাহিন আলম (৪৫), ফারুক (২৮)সহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বাধা প্রদানকারী স্থানীয় জমিদাতাগন পালিয়ে গেলেও, যুবলীগ নেতার পক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের একটি মার্কেটে আগুণ ধরিয়ে দেয় এবং আগুন দিয়ে ১৩টি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে মডেল থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। আহত রফিকুল ইসলাম জানান, দু'পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলাম এসময় মজিবর, আলামিন ও অন্যরা এসে আমার উপর হামলা চালায়।হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, সাইফুলের নামে ওয়ার্ক অর্ডার থাকা মালামাল বের করার সময় শামিম ও তার লোকজন এসে বাঁধা দেয় এবং আমাদের উপর হামলা করে। এসময় আমাদের ১০/১৫জন আহত হয়েছে। স্থানীয় জমিদাতা রাসেল জানান, আমরা আমাদের যৌক্তিকদাবী আদায়ের জন্য যেুবলীগ নেতা সাইফুলের সাথে কথা বলার জন্য মিলের সামনে আসতেই সাইফুল ইসলাম সরকারের পক্ষে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল রহমান জিয়া ও সহ সভাপতি মজিবর মন্ডলের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী অর্তকিত ভাবে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তিনি জানান, এ ঘটনায় সে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির এসময় সন্ত্রাসীরা আশে পাশে থাকা দোকানপাটে হামলা চালায় ও ১৩ টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মহা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পরেন সাধারণ যাত্রীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেন। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল হুদা খান জানান, এ ঘটনায় পুড়িয়ে দেওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশকে মারপিটে উসকানির অভিযোগে মামলা খেলেন আলোচিত ইসলামী বক্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আলোচিত ইসলামী বক্তা ও দাওয়াতি ঈমানী বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর উসকানিতে আখাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে আখাউড়া নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আখাউড়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল মিয়া বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শুক্রবার বিকালে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এ সময় বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিশে চলতে থাকা এ মাহফিলে বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী স্টেজে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাঁয়তারা করছিলেন। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত পুলিশের বিট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকাল পৌনে চারটার দিকে সেখানে যায়। পুলিশ দেখা মাত্র তাহেরী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার সব মাহফিলে পুলিশ বাধা দেয়। এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেব না।’ এরপরই লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে বাবুল মিয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে জানতে তাহেরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাড়ে পাওয়া যায়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমান-জিএম কাদেরসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মজিবুল হক চুন্নসহ ১৪৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আরিফ মিয়া নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় এই মামলা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে এ মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এর আগে ভুক্তভোগী আরিফ মিয়া নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলার জন্য আবেদন করলে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আদালতের নির্দেশনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।’ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া (৭০), আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রহিম (৬৫), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনি (৫০) ও জামান মিয়াসহ (৪৮) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গেল ১৯ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনে বাদীসহ ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সময়ে ১-১০ নম্বর আসামির নির্দেশে এবং ১১-২০ নম্বর আসামির উসকানিতে ওই মামলার সব আসামি অংশ নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করা শুরু করে। তখন আসামিরা ভুক্তভোগী আরিফ মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তার ডান পায়ের হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তী ঘটনাস্থলের লোকজন তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। আরিফ মিয়া চিকিৎসা শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।

দোয়ারাবাজারে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলায় গ্রেফতার চার

চলতি মাসের শুরুর দিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, দোকানপাট ও স্থানীয় লোকনাথ মন্দিরে হামলা হয়। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আলীম হোসেন (১৯), সুলতান আহম্মেদ রাজু (২০), ইমরান হোসেন (৩১) ও শাজাহান হোসেনকে (২০)। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ‘গেল ৩ ডিসেম্বর দোয়ারাবাজার থানার মংলারগাঁও গ্রামে আকাশ দাস (২০) তার ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে অবমাননাকর পোস্ট দেন। পোস্টটি ডিলিট করা হলেও স্ক্রিনশট নিয়ে এলাকার জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।’ খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা-পুলিশ আকাশ দাসকে ঘটনার দিনই আটক করে। এ সময় স্থানীয়রা আকাশ দাসকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে দোয়ারাবাজার থানায় না নিয়ে সদর থানায় নেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই দিন জনতা হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, দোকানপাট ও স্থানীয় লোকনাথ মন্দির ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করে। জেলার এসপি, ডিসি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে শনিবার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শহীদবুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রওশন আরা। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) নোমান হোসেন; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক ও মো. কামাল উদ্দিন। সভায় মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর জাতীয় শহীদবুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সেই ভয়াবহ সময়ের কথা, যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, সাহিত্যিকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা জানত, এই বুদ্ধিজীবীরা আমাদের দেশের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রেরণা। তাদের হত্যা করে তারা আমাদের জাতির মেরুদণ্ড ভাঙতে চেয়েছিল। কিন্তু, স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের দেশপ্রেম এ জাতিকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ ফরিদা খানম বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের দায়িত্ব হল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আমাদের সমাজকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করা। তাদের আত্মত্যাগের মর্যাদা রক্ষা করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের সমাজে ন্যায়, সমতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে এবং বুদ্ধিজীবী চেতনাকে সজাগ রাখতে হবে।’ সভায় বক্তারা সব শহীদ বুদ্ধিজীবীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানান।

ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের লাশ তোলা মানা সারজিসের

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা যাবে না।’ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগের শহীদদের পরিবারকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের অভুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের হত্যা মামলার জন্য কারও লাশ উত্তোলন করা যাবে না। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচারিক যে মন্ত্রণালয় রয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলকে একটি কথা বলে দিতে চাই- যে ভাইয়ের জীবনের রক্তের ওপরে ওই চেয়ারে আপনারা বসে রয়েছেন, আপনারা কোন দিন চার মাস পর তাদের লাশ উত্তোলন করতে পারেন না।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারের জন্য যদি ডেডবডি কবর থেকে তোলা না হয়, তাহলে এই চব্বিশের অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ আনতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছে- কেন তাদের লাশ উত্তোলন করতে হবে?’ এখনো আওয়ামী লীগের বহু নেতা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সারজিস বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের চার মাস পেরিয়েছে। খুনি হাসিনার অন্যতম দোসর নাটোরের খুনি সাংসদ শিমুল আজও আমাদের সামনে রয়েছে। আজও পাবনার সাঈদ চেয়ারম্যান, এই বাংলাদেশে তার অস্তিত্ব রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই খুনিরা প্রকাশ্যে আমার ভাইদের পুড়িয়ে মেরেছে, গুলি করে হত্যা করেছে। যে শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকে আপনারা উপদেষ্টা, পুলিশ সুপার, আইজিপি, ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের রক্তের সাথে এই বেইমানি কীভাবে সম্ভব?’ অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৪৬ জন শহীদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কয়েকজন সমন্বয়ক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্যাস সংকট কেটে গেলে থাকবে না সারের ঘাটতি: উপদেষ্টা আদিলুর

দেশ বর্তমানে গ্যাস সংকটের মধ্যেই আছে। এই সংকট কেটে গেলে সারের ঘাটতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ৷ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।এ সময় আদিলুর রহমান বলেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছরে গ্যাস খনন করা হয়নি। বাপেক্সকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ এখন ভোলা থেকে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা চলছে। দেশে সারের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা চলছে।’লক্ষ্য বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।গেল সাড়ে ১৫ বছরে প্রতিটি সেক্টরে হওয়া দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সেগুলো নিরসনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান আদিলুর রহমান।এ সময় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরি, পুলিশ সুপার মো.আব্দুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।

চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু বাষিকী রোববার, পরিবারের দোয়া কামনা

চট্টলবাসীর হৃদয়ভারাক্রান্ত রোববার (১৫ ডিসেম্বর)। ২০১৭ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের বীর সংগ্রামী জনতা হারিয়েছিল তাদের অভিভাবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ অনুসারী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তিন বারের নির্বাচিত সফল মেয়র, নিপীড়িত জনগণের অধিকার-আন্দোলনের অগ্রদূত, মরহুম চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সারা জীবন নিপীড়িত জনগণের পাশে ছিলেন তিনি। প্রবল সাহসিকতায় তিনি সাধারণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে সমর্পন করেছিলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে দেশের মর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় লড়াই করেছিলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন, জনগণের সেবা করাই সর্বোত্তম সাফল্য। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার বলছে, ‘আজ তার পরিবার ও তার জনহিতকর প্রতিষ্ঠানগুলো হুমকির মুখে। এই দুঃসহ ও নিদারুণ পরিস্থিতির কারণে তার পরিবার অনুপস্থিত থাকায় অধিকার বঞ্চিত মানুষের মাঝে কোন ধরনের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে না পারছে না। তবে, আমরা বিশ্বাস করি, তার আদর্শের অনুসারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাকে স্মরণ করছেন।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘দলমত, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেনী নির্বিশেষে, দেশের ও চট্টগ্রামের সকলের প্রতি মরহুম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার বিশেষ অনুরোধ করছি। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও মুক্তির জন্য আপনারা দোয়া ও প্রার্থনা করুন।’ ‘আমরা আশাবাদী, নির্যাতিত বাংলার জনগণ ফের একজন মহিউদ্দিন চৌধুরীকে খুঁজে পাবে। আসুন, আমরা সকলে মিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করি। আসুন, আমরা তার আদর্শকে জীবিত রাখার শপথ নিই।’

বাড়ি ফেরার পথে দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা

নাটোরের লালপুরে মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে এক মুদি দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম মো.সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার এবি ইউনিয়নের বামনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লালপুর থানার ওসি নুরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সাইফুল (৫৫) উপজেলার এবি ইউনিয়নের এবাদ মুন্সির ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাইফুল ইসলাম বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে অজ্ঞাত কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওসি নুরুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ হত্যাকাণ্ড জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সুমন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ মফস্বল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ও গৌরবময় কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড ও সনদপত্র পেয়েছেন সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান সুমন। তিনি ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী ভালুকা প্রেসক্লাবের টানা দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও এটিএন নিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং ডেইলি অবজারভারের সাংবাদিক। সার্ক কালচারাল কাউন্সিলের আয়োজনে শুক্রবার বিকালে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ওই এ্যাওয়ার্ড ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এ্যাওয়ার্ড ও সনদ প্রদানের আগে 'শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মহীয়সী নারী মাদার তেরেসার কর্মময় জীবন' সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এম. এ. সাত্তারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্ক কালচারাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মো. আর. কে. রিপন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রনালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা মো. মোশাররফ হোসেন ও গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী মো. মাসুদুর রহমান মিলকী। এর আগে শিশুশিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।

গরুচোর সন্দেহে পিটিয়ে ২ জনকে হত্যা

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন– ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় এলাকার মো. শাহজাহান এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কাগজি গ্রামের মো. নাসির। শনিবার (১৪ জুলাই) ভোরে উপজেলার দেওঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি মরদেহ ও একটি মহিষ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতের অন্ধকারে মহিষ চুরি করে পালানোর সময় এলাকাবাসী তাদের ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন। ওসি আরও জানান, এদের মধ্যে নিহত শাহজাহান চিহ্নিত গরুচোর, তার বিরুদ্ধে গরুচুরির একাধিক মামলা রয়েছে। দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা মহিষটি থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা আছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই নিচের দিকে নামছে। গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আজও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। গত ১০ ডিসেম্বর এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১২ ডিসেম্বর তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরে তা আরও কমে শনিবার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। সকাল ১০টার দিকে ঘনকুয়াশা কেটে সূর্য উঁকি দিলেও নেই তাতে উত্তাপ। হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে, আর নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। শীতার্তদের অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে কোনোভাবে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সকালে শহরের রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভ্যান ও রিকশা চালকরা পর্যাপ্ত যাত্রী পাচ্ছেন না। শীতর কারণে দিনমজুর, শ্রমিকদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তীব্র ঠান্ডায় মাঠে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা আরও কমে রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলার চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী দু-একদিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।

হত্যা মামলায় ২ আ. লীগ নেতা গ্রেফতার

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৯ জন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার আসামিরা হলেন - আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়। এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেফতার করে আজমিরীগঞ্জ থানার পুলিশ। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মাইদুল হাসান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বানিয়াচংয়ে ৯ জন শহীদ হন। ওই ঘটনায় করা মামলার আসামি গ্রেফতার দুই আওয়ামী লীগ নেতা।

লক্ষ্মীপুরে ভাতিজার হাত ধরে উধাও চাচী

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চাচী-ভাতিজার সম্পর্কের জেরে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাজিরচর গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী তার ভাতিজার সঙ্গে স্বর্ণ ও দুই লাখ টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে জীবিকার তাগিদে অবস্থান করছেন ওই নারীর স্বামী। এ সময় তার ছোট ভাইয়ের এক সন্তানের জনক ছেলে চাচির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলেও তাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে তারা উভয়ে নিজেদের পরিবারকে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হন। রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিউল আলম চৌধুরী সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবার ও সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।" রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, "এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" উভয়ের পরিবার বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা স্থানীয় সমাজব্যবস্থায় নৈতিকতার সংকটের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে স্থানীয়রা।

কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গুনীয়া উপজেলা কৃষকদলের শোভাযাত্রা

জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাঙ্গুনীয়া উপজেলা কৃষকদল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি সাবেক ছাত্রনেতা দক্ষ সংগঠক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। পরে শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের শোভাযাত্রার সাথে মিলিত হয়। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবীদ হাসান জাফির তুহিন, চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলমগীর, সদস্য সচিব টারজেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক দলের আহবায়ক বদিউল আলম বদরু, সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহীন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লায়ন আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক এরশাদুল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব নাজিউর রহমান, সদ্য নির্বাচিত চট্টগ্রাম সিটি মেয়র জনাব ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মীর হেলাল, রাংগুনিয়া উপজেলা পারুয়া ইউনিয়ন বি এন পি র সদস্য সচিব রহমত উল্লাহ, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সোহেল, রাংগুনিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য ইন্জিনিয়ার জাবের সিকদার ও রাংগুনিয়া উপজেলা কৃষক দলের কর্মীবৃন্দ।