গুম-নির্যাতন-আয়নাঘরের হোতা কে? জানালেন চিফ প্রসিকিউটর


2024-Novemer 18/Tazul Islam Chief Prosecutor.jpg
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রাক্তন পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির প্রাক্তন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

Your Image

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সোয়া দশটায় তাদের ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তাদের ব্যাপারে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জিয়াউল আহসান বিভিন্ন সময় র‍্যাবের বিভিন্ন পদে ছিলেন, সর্বশেষ তিনি এনটিএমসির মহাপরিচালক ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যারা বিরোধী দলে থেকে বিভিন্ন সময় কথা বলার চেষ্টা করেছে, তাদের তিনি একের পর এক পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করেছেন, গুম করেছেন, বছরের পর বছর আটকে রেখেছেন। তাদের মধ্যে বহু মানুষ আজও ফিরে আসেনি। গুম করে পৈশাচিক নির্যাতন, আয়নাঘর, এসব কালচারের হোতা ছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করে খুন করা হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ছাড়াও নাম জানা-না জানা বহু মানুষকে অপহরণের পর নির্যাতন করা হয়েছে। তার পৈশাচিকতা... ৯০’-এর দশকে বসনিয়া-হার্জেগভনিয়ার সারফিয়ান বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল, যে ধরনের অত্যাচার করত, তার সাথে আমরা তুলনা করেছি। ভলকানের কসাইয়ের মত বাংলাদেশের কসাই হিসেবে এ জিয়াউল আহসান হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে, গুম নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×