তিন মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জেলে
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:২০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
টাঙ্গাইলে দুইটি হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলায় তিন দফায় মোট ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাককে জেলে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মাহমুদুল মোহসীন তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আব্দুর রাজ্জাককে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গেল ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে মধুপুর থানায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আব্দুর রাজ্জাককে জেলে পাঠানো হয়েছে।
গেল ৫ আগস্ট টাঙ্গাইল শহরে গুলিতে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলা, ৩ আগস্ট মির্জাপুরে গুলিতে নিহত কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলা ও ৪ আগস্ট মধুপুর উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় মো. আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনটি মামলায় মো. আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে মোট ২১ দিন পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করেছিল। সংশ্লিষ্ট আদালত পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর ১১ নভেম্বর প্রথমে আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে পাঁচ দিন জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। ইমন হত্যা মামলায় ১৫ নভেম্বর মির্জাপুর থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সর্বশেষ বুধবার (২০ নভেম্বর) তাকে মধুপুর থানায় নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হত্যা, ইমন হত্যা ও মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন আব্দুর রাজ্জাক। এসব মামলায় আদালতে তিনি জবানবন্দি দেবেন না বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।’
আব্দুর রাজ্জাকের আইনজীবী টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বারের সভাপতি একেএম শামীমুল আক্তার বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাকের জামিনের জন্য তারা আবেদন করেননি। আগামী শুনানির দিন জামিনের আবেদন করা হবে।’