পাঁচ ব্যাংকের গ্যারান্টার হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক


News Image/download - 2024-09-19T161025.695.jpeg

ফরিদ শ্রাবণ : দূর্বল ব্যাংক সমূহের তারল্যসংকট মোকাবেলায় গ্যারান্টার হওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংক। যদিও প্রথমে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত, পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু হবে।

Your Image


গ্যারান্টার চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে আজ বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়া হবে। ব্যাংকসমূহ হলো– বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদিও এখন পর্যন্ত বিশেষ ধার চেয়ে ১০ ব্যাংক চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা। এ অবস্থায় সাময়িক সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর দুর্বল ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোট নিয়ে রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা ঢাকা ওয়াচ কে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে এই মুহুর্তে নতুন টাকা চাপানোর কোন উদ্যােগ নিচ্ছেনা, তবে সবল ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে দুর্বল ব্যাংকে দিবে এবং টাকা ফেরত না দিলে তার গ্যারান্টার বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ বাজারের টাকা বাজারেই থাকবে।

ইতোমধ্যে তারল্যসংকট মোকাবেলায় নগদ টাকার জন্য আবেদন করেছে– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। যদিও গত ৩ আগস্ট এক্সিম ব্যাংককে তিন মাসের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাড়ে ১০ শতাংশ সুদে ওই অর্থ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক যে ১১ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, সেই ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে আমানতকারীদের অনেকে টাকা নিয়ে ভালো ব্যাংকে জমা করছেন। এ কারণে কিছু ব্যাংক চরম সংকটে পড়ছে। আবার কিছু ব্যাংকে প্রচুর উদ্বৃত্ত রয়েছে। মূলত উদ্বৃত্ত থাকা ব্যাংকই সংকটে পড়া ব্যাংককে টাকার ব্যবস্থা করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, নোটস ইন সার্কুলেশন’ কমে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৩ কোটিতে নেমেছে। সরকার পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে গত ১৮ আগস্ট ৩ লাখ ২২ হাজার ২৭১ কোটিতে উঠেছিল। এর মানে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফিরেছে নিট ৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা ঢাকা ওয়াচকে বলেন, গত ১ মাসে রেমিটেন্স ৯০% প্রবৃদ্ধি পেয়েছ। তার কারন হলো সরকারের প্রতি প্রবাসীদের আস্থা বেড়েছে অন্যদিকে টাকা পাচার বন্ধ হওয়ার কারনে রেমিটেন্সে এমন সুবাতাস বইছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×