ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ


News Defalt/artonitig.webp

ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত আর ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখার কথা থাকলেও গেলো দেড় দশকে কেবল সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশই ছিলো শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ নেতাদের কাজ। যেখানে এসব নেতাও নির্বাচন করা হতো প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক প্রভাবে। ফলে একরকম খাতাকলমের সংগঠন হয়ে পড়ে ব্যবসায়ীদের এসব মোর্চা। ৫ আগস্টের পর এই খাতেও শুরু হয়েছে সংস্কার কার্যক্রম।

Your Image

গেলো বছরের শেষ দিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই- এর নতুন পর্ষদ গঠন হয়। তখন টানা ৬ বছর পর সংগঠনটির নির্বাচন হলেও তা ছিল আংশিক এবং প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে গণঅভ্যুত্থানের পর সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

পাঁচ মাসের মাথায় ভেঙে দেয়া হয় তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ- এর নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদও। সেখানেও ইস্যু ছিল অস্বচ্ছ নির্বাচন ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আধিপত্য।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত দিনে দলীয়করণের মাধ্যমে সংগঠনগুলোকে দুর্বল করে রাখা হয়। নেতৃত্ব গঠন করা হয় সমঝোতা ও ভুয়া ভোটারের মাধ্যমে। যেখানে আমুল সংস্কার দরকার।

বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সঠিক নেতৃত্ব আনা সম্ভব হয়নি। তাতে করে সংগঠনগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের পরামর্শে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ১২ দফা সংস্কার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এফবিসিসিআই প্রশাসক। যেখানে সংগঠনটিকে রাজনীতিমুক্ত রাখা, পরিচালনা পর্ষদের আকার ছোট করা এবং সভাপতিসহ সব পদে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব রয়েছে।

এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যার সুদূর প্রসারী ফল পাওয়া যাবে।
 
আসছে মার্চের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী নেতাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন এই দুসংগঠনের প্রশাসক। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×