ডিএসইর পুঁজিবাজার কেন্দ্রীক একাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৩১ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক একাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক ধারাবাহিক কর্মশালার অংশ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চ (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সাভারের আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে।
কর্মশালায় নেতৃত্বে দেন আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
কর্মশালায় ডিএসইর কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামটি পুঁজিবাজার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করার আপনাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনারা এই কর্মশালা থেকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। যা ভবিষ্যতে আপনাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও কর্মক্ষেত্রে সহায়তা করবে।’
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল-আমিন রহমান। প্রবন্ধে তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন। পরবর্তী বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ও মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যত বেশি ভাল মানের কোম্পানি থাকবে, পুঁজিবাজার তত বেশি উন্নত হবে। অতীতে বেশ কিছু খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে পুঁজিবাজার বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। আমরা আশা করি, আগামীতে ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে।’
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কখন, কোথায় ও কেন বিনিয়োগ করবেন, তা জানা প্রয়োজন। এই জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমোশনাল হয়ে বিনিয়োগ করা যাবে না। এছাড়াও, কোম্পানির পারফরমেন্স ও উদ্যোক্তা, পরিচালক দেখে শেয়ারের দাম যখন কম থাকে তখন বিনিয়োগ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গেল ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে বহু নিম্ন মানের আইপিও এসেছে। যা পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ জন্য নিম্নমানের আইপিও বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা হয়েছে। যেটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’