ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার


News Defalt/DOLLERRR.jpg

আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। এলসি নিষ্পত্তির চাহিদা বাড়ায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে বাড়তি দরে ডলার কিনতে হচ্ছে বলে জানান ব্যাংক নির্বাহীরা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, আবারও অর্থ পাচার হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। 

Your Image

হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছিলো ডলারের বাজার। ক্রোলিং পেগ পদ্ধতিতে দর ধরে রাখা হয়েছিলো ১২০ টাকা। তবে বিদেশি এই মুদ্রা পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার চাপে শুরু হয়েছে আবারও অস্থিরতা।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর  ঋণপত্র বা এলসি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের বেশিরভাগই যোগান দেয়া হয় এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে। চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে যার মূল্য নির্ধারণ করে এই হাউজগুলো। তবে নভেম্বরে মাঝামাঝি পর্যন্ত ১২২ টাকা দরে ডলার কিনতে পারলেও এখন ব্যাংকগুলোকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছ।

এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজিতে অস্থিরতা বাড়ছে এই মুদ্রা বাজারে। 

সম্প্রতি বড় বড় এলসি নিষ্পত্তির সময় ঘনিয়ে আসা এবং বকেয়া পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায়, ব্যাংকগুলোতে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। যার প্রভাবে অর্থ পাচারের শঙ্কায় বিশ্লেষকরা। 

এদিকে রাজধানীর খোলাবাজারেও খানিকটা বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা দরে। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×