টানা দ্বিতীয় দিন সূচক বাড়ল শেয়ারবাজারে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৮ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা দ্বিতীয় দিনের মত সূচক বেড়েছে; লেনদেনের পরিমাণ ছিল সাত কার্যদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হওয়া বাজারে দিন শেষে যোগ হয় ৪৫ পয়েন্ট। আগের দিন সোমবার (১৬ ডিসেম্ব) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল পাঁচ হাজার ১৭৮ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিন শেষে লেনদেন হয় ৪৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর আগে সবশেষ ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় সাত কার্যদিনে আগে।
মাঝের কয় দিন লেনদেন নেমেছিল ৪০০ কোটি টাকার নিচে। এমনকি গত ৯ ডিসেম্বর তা ২৭৮ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকে। সবশেষ দুই কার্যদিবস বাদ দিলে তার আগের ছয় দিন একটানা সূচক ও লেনদেন ছিল নিম্নমুখী।
গেল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সূচক বাড়লেও লেনদেনে খুব একটা আশা জাগায়নি। মঙ্গলবার লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরও।
মঙ্গলবার সকালেই ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে মূল্যসূচক উঠে যায় পাঁচ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে। পরের ধাপে কিছুটা দর সংশোধন হলে শেষ বেলায় ৪৫ পয়েন্ট যোগ করে সূচক শেষ হয় পাঁচ হাজার ২২৩ পয়েন্টে।
আগের দিনের মত তালিকাভুক্ত ‘এ’ শ্রেণির কোম্পানির লেনদেন ও শেয়ার দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড লেনদেন করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো।
ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের কোম্পানি মিশ্র ধারায় লেনদেন করেছে। কিন্ত, লেনদেনে একক খাত হিসেবে ওষুধ ও রসায়ন খাত সূচক বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, মোট লেনদেনের মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর ছিল ১১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ)।
মিশ্র ধারায় লেনদেন করে বস্ত্র খাতের দশ শতাংশ ও ব্যাংকের অবদান ছিল নয় দশমিক ছয় শতাংশ। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনে আসা ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়ে ২১০টির; কমে যায় ১১০টির ও আগের দিনের দরে লেনদেন হয় ৭৬টির।
আচামকা ব্লক মার্কেটে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নয় কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। এছাড়া, বিতর্কে থাকা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের এক কোটি ২৬ লাখ টাকা, এবি ব্যাংকের দুই কোটি ১১ লাখ টাকা, ফাইনফুডসের এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের দুই কোটি ৮৩ লাখ টাকা ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
মঙ্গলবার দিন শেষে এ বাজারে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শীর্ষ দর বৃদ্ধি কোম্পানির তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং জিপিএইচ ইস্পাত। কোম্পানি দুটি সার্কিট ব্রেকারের কাছে, অর্থাৎ দশ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে। এছাড়া, দর বেড়েছে জেমিনি সি ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন ও অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের।
অন্য দিকে, ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শেয়ার দর হারানোতে শীর্ষে উঠেছে মেঘনা পেট্রলিয়াম, জাহিন স্পিনিং মিল, মিরকল ইন্ডাস্ট্রিজ, নিউ লাইন ক্লোথিং ও তুংহাই নিটিং।