গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল করবে
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:০৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যে কোন ধরনের সমালোচনা আমরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। গঠনমূলক সমালোচনা হলে সেটি আমাদের জন্য উপকারী হবে। গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে আরও বেশি গতিশীল করবে। সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা থেকে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটির চন্দনপুরায় ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের অফিসে আরইসরা ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় ও প্রীতিভোজকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী সব গণমাধ্যমকর্মী বিপ্লবের মূল চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। চাকরি বা কোন হাউজের দায়ে নয়, বিবেকের দায়ে কাজ করবেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলার স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। এই দেশ নানা পথ ও মতের মানুষের। তাই, আদর্শিক ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রশ্নে কারো ভিন্নমত থাকার কথা নয়। আমারা আমাদের ঐক্যের জায়গাগুলোতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারলে সম্প্রতির এই দেশ সৌহার্দ্যের সৌরভে ভরে উঠবে।’
ইসলামী ছাত্র শিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো যেখানে গ্রুপিং, অন্তঃকোন্দল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হল বাণিজ্যসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিগত স্বৈরাশাসনালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর মনে শিবির সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে কিছু চিহ্নিত তথ্য সন্ত্রাসী মিডিয়ার মাধ্যমে শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচার প্রপাগাণ্ডা চালালেও সোশাল মিডিয়ার কারণে তাদের সেই চক্রন্ত অনেকাংশে বুমেরাং হয়। তারপরেও ক্রমাগত অপপ্রচারের ফলে অনেকের মনে কিছু নেতিবাচক ধারণা জন্মানো অস্বাভাবিক নয়। তাই, দেশের সচেতন নাগরিক ও সম্মানিত মিডিয়া কর্মীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে শিবির সম্পর্কে জানুন, শিবিরের সম্পর্কে জানতে পড়ুন তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, মুক্তির পয়গাম, এসো আলোর পথে, আমরা কি চাই? কেন চাই? কিভাবে চাই? ইত্যাদি পুস্তিকাসহ সিলেবাসের সাহিত্যগুলো।’
পতিত স্বৈরাচার জুলাই বিপ্লবকে বেহাত করতে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করে আসছে জানিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামেও ইতিমধ্যে কয়েক দফা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়ছে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যনারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের তৎপর পরিলক্ষিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতিত স্বৈরচারের আমলে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার পরিবেশ সংষ্কারে ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে সর্বোত্তমভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে থাকি।’
অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজীর হোসেন জুয়েল, অর্থ সম্পাদক মুমিনুল হক, অফিস সম্পাদক খুররম মুরাদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবরার হাসান রিয়াদ ও প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশ উপস্থিত ছিলেন।