প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ


December 2024/Bidan.jpg
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৩ শতাংশ শিক্ষকই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। একই সাথে শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা থাকছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Your Image

বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করছি আমরা। এখন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিকের বাজেট বাড়ানোটাই সময়ের দাবি।’

রোববার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী। 

প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ এ বলা হয়েছে, ‘একটি উপজেলার মোট পদের ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা নির্ধারিত থাকবে।’

নারী, পোষ্য ও পুরুষ- এ তিন ধরনের কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আবার চার ধরনের কোটা অনুসরণ করতে হত। সেগুলো হল- এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী দশ শতাংশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ৩০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাঁচ শতাংশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য দশ শতাংশ।

এছাড়া, তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে, এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কোটা বাদ দিয়ে বাকি পদগুলোতে শুধু মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। সেটা ৪০ শতাংশের বেশি নয়।

এ দিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা-সংক্রান্ত আগের সব পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, অনুশাসন রহিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি সাত শতাংশ নিয়োগ কোটার ভিত্তিতে হবে।

ফলে, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করা হবে নাকি জনপ্রশাসনের সবশেষ কোটা বণ্টনের প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি স্পষ্ট করলেন। ফলে, আগামীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ মেধা ও সাত শতাংশ কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৪ জুন সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা হয়। ২১ এপ্রিল প্রথম দফায় প্রকাশ করা হয়। পর দিন সংশোধিত ফল প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×