ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থী পাঁচ শিক্ষক বাদ


December 2024/DU Syndicat.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেট বডির পাঁচ শিক্ষককে পরবর্তী সভা থেকে আর আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

Your Image

বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এ সভায় তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসেবে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৮ জন সিন্ডিকেট সদস্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্যরা আর সে সব ক্যাটাগরির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলে পরবর্তী মিটিং থেকে তারা আর আমন্ত্রণ পাবেন না।’

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে পাঁচজন সদস্যকে আর আহ্বান জানানো হবে না তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, প্রভাষক ক্যাটাগরি থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাহিন মুহিত, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের আবু মুহাম্মদ আহসান, ডিন ক্যাটাগরি থেকে বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরি থেকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

সিন্ডিকেট বডি থেকে বাদ পড়া এসব শিক্ষক আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাবির সিন্ডিকেট মিটিং নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটি বিজ্ঞ আইনজীবীদের বডি ল রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাই। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নাইম আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ও ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক তারা আমাদেরকে দুইটি পরামর্শ দিয়েছে।’ 

‘প্রথমত, ডিন ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শিক্ষকরা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী পদ ডিন কিংবা প্রভোস্ট পদে যদি আর বহাল না থাকেন, তাহলে তারা যে প্রতিনিধিত্বের কারণে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটি আর থাকছে না। ফলে, তাদেরকে পরবর্তী মিটিং থেকে আমন্ত্রণ না জানালেও আইনগত জটিলতায় পড়তে হবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।’ 

‘দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত যারা ছিলেন, তাদের অনেকের পদোন্নতি হয়েছে, তারাও আর তাদের প্রতিনিধিত্বের জায়গায় না থাকায় তাদেরকেও আমন্ত্রণ না জানানোতে কোন জটিলতা থাকল না।’

সাইফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘আইনগতভাবে জটিলতা নিরসন হওয়ার কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা এই সিন্ডিকেট মেম্বারদের আগামী কোন মিটিংয়ের আহ্বান বা আমন্ত্রণ জানাব না।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×