বই ছাপা-বিতরণ কাজের চাপ: এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিকসহ সব ছুটি বাতিল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৩২ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বছরের প্রথম দিনে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। জুন মাস থেকে এ বই ছাপার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এবার যথাসময়ে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে, শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে, এনসিটিবি জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎপর। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ সবাই দিনরাত পরিশ্রম করছেন। প্রতিদিন তারা বাড়তি সময় কাজ করছেন। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কর্মকর্তারা অফিস করছেন।
এবার পাঠ্যবই ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ মনিটরিং এবং বিতরণ কাজ ত্বরান্বিত করতে সব কর্মকর্তা-কর্মমচারীর সাপ্তাহিক ও নৈমিত্তিকসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে এনসিটিবি।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এনসিটিবির সচিব শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌসের সই করা অফিস আদেশে সব ধরনের ছুটি বাতিলের এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের নিমিত্তে মনিটরিং কার্যক্রম চলমান। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিধায় বোর্ডে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর (সেসিপ প্রকল্পসহ) নৈমিত্তিক ও সাপ্তাহিক ছুটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হল।’
এ নিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান একেএম রিয়াজুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আজকে এটা অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। মৌখিক বা অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় দুই মাস ধরে সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে অনেকের। জাতির স্বার্থে আমরা ছুটি বিসর্জন দিয়েছি। আশা করছি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে সক্ষম হব আমরা।’
এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার কাজ শেষ দিকে। চতুর্থ ও পঞ্চমের বই ছাপার কাজ চলমান। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইও ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। নবম শ্রেণির বই ছাপা দ্রুত শুরু হবে। আর দশম শ্রেণির বই দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বই ছাপার কাজ চলমান। কিছু বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকের বই জানুয়ারির প্রথম দিকেই শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির অন্তত তিনটি বই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হবে। আর দশম শ্রেণির বাকি বইগুলো ১০ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া সম্ভব হবে। অন্যান্য শ্রেণিগুলোর বই জানুয়ারির মধ্যেই আমরা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’