মারা গেছেন গায়িকা রুকসানা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৭ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভারতের ওড়িশার জনপ্রিয় গায়িকা রুকসানা বানু। গেল বুধবার রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুকসানা।
হাসপাতাল সূত্রের বরাদে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী রুকসানা ‘স্ক্রাব টাইফাস’ নামক রোগে ভুগছিলেন।
তবে মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। রুকসানার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমাগত ঘনীভূত হচ্ছে। রুকসানার পরিবার বিষক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
রুকসানার মা এবং বোন শিল্পীর নাম প্রকাশ না করেই অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিম ওড়িশার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী গায়ক তার ওপর বিষ প্রয়োগ করেছেন। এর আগে নাকি রুকসানাকে তিনি হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।
পরিবারের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৫ দিন আগে শুটিং চলাকালীন জুস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুকসানা। এরপর থেকে তার স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে।
রুকসানার বোন রুবি বানুর মতে, গায়িকাকে অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল, রুকসানাকে ২৭ আগস্ট ভবানীপাটনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে বালাঙ্গীরের ভীমা ভাই মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বদগাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু গায়িকার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। অবশেষে রুকসানাকে ভুবনেশ্বরের এই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
রুকসানার মা সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি তার মেয়ের মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্রের দাবি করেন। দ্রুত ভাইরাল হতে থাকে এই ভিডিওটি। ভিডিওতে তার মা জানিয়েছেন, রুকসানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে রুকসানা স্ক্রাব টাইফাসের জন্য চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষ প্রয়োগের কারণে মৃত্যু হয়েছে এমনটা দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ ও মেডিকেল টিম মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছে।
পরিবারের দাবি, রুকসানার কাছে গায়কের থেকে হুমকি এসেছে বহুবার। রুকসানার পরিবার সন্দেহ করছেন, রুকসানার মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রুকসানার ফোন ও সামাজিকমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রুকসানার কারও সঙ্গে পেশাগত শত্রুতা ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।