খোলামেলা ছবিতে ট্রলের মুখে রাজ-শুভশ্রী

টলিপাড়ার পাওয়ার কাপল হিসাবে পরিচিত রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের প্রেম রীতিমতো ঈর্ষায় ফেলবে অন্যান্য তারকা দম্পতিদের। একদিকে যখন টলিপাড়ায় ডিভোর্স-বিচ্ছেদের ছড়াছড়ি, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ-শুভশ্রীর ভালোবাসা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। দুই সন্তানের মা-বাবা হওয়া সত্ত্বেও তাদের ভালোবাসায় কিন্তু কোনও কমতি নেই। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল রাজের জন্মদিন। আর এইদিন রাতের পার্টিতে পরিচালক স্বামীর ঠোঁটে ঠোঁট ডোবালেন শুভশ্রী। খুল্লাম খুল্লা ভালোবাসা প্রকাশ করার দিক থেকে রাজ-শুভশ্রীর জুড়ি মেলা ভার। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লিপ কিস-এর একাধিক ছবি তারা পোস্ট করে থাকেন। যা নিয়ে ট্রোল-সমালোচনা কম হয় না। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। রাজের বার্থডে নাইটে তারকা দম্পতি তাদের আরবানার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেই ছোট পার্টির আয়োজন করেছিলেন। আর সেখানেই দেখা গেল রাজ-শুভশ্রীকে কালো রঙের ম্যাচিং পোশাকে। বার্থডে পার্টি থেকে শুভশ্রী দুটো ছবি পোস্ট করেন। যেখানে একটা ছবিতে দেখা গেছে রাজের বহুলগ্না শুভশ্রী। আর একটি ছবিতে দেখা গেছে রাজের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়েছেন রাজ-ঘরণী। এই ছবি পোস্ট হতেই যেমন প্রশংসা পেয়েছে টলিউড তারকাদের কাছে তেমনি ট্রোল করতে ছাড়েননি অনেকেই। কেউ লিখেছেন, ছিঃ ছিঃ। আবার কেউ লিখেছেন, দিদি এবং দাদা বলছি ওই অবধি থেমে থাকবেন না, এগিয়ে যান, মানুষ আপনাদের পেছনে আছে! আবার কেউ লিখলেন, কিস করলেই সম্পর্ক ভালো এটাই দেখাতে চায়। তবে এসব ট্রোল নিয়ে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ রাজ ও শুভশ্রী দুজনেই। তারা বরাবরই দুঃসাহসিক প্রেমে বিশ্বাসী। এর আগেও দুজনের লিপলকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুরনো এক সাক্ষাৎকারে রাজ বলেছিলেন, কে কী বলল সেটা ভেবে তো আর বৌকে চুমু খাওয়া বন্ধ করতে পারি না। তাই রাজ-শুভশ্রীর চুমু এভাবেই চলতে থাকে। এটা ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে শুভশ্রী লেখেন, ‘আমি তোমাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনাটা তুমি।’

সাদি আমার জীবনে আশীর্বাদ: পরীমনি

অভিনেত্রী পরীমনি এমনিতেই ঢাকাই সিনেমার একজন তুমুল আলোচিত মুখ। এবার তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শেখ সাদী নামের এক তরুণ গায়কের নাম!শুধু তা-ই নয়, এ দুজনকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে প্রেমের গুঞ্জন! যদিও বিষয়টি নিয়ে দুজনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট দেখে নেটিজেনদের ধারণা, প্রেমেই মজেছেন তারা। পরীমনি শেখ সাদীর গান তার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করছেন। শেখ সাদীও শেয়ার করা গানের মন্তব্যের ঘরে লাভ ইমোজি দিচ্ছেন। পাল্টা লাভ ইমোজি দিচ্ছেন পরীমনিও। দুজনে আবার মজার খুনসুটিতে মেতে উঠছেন। আবার একজন আরেকজনকে নিয়ে দিচ্ছেন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও। কয়েকদিন আগে শেখ সাদীর একটি পোস্ট পরীমনি-সাদী সম্পর্কের গুঞ্জনে ঘি ঢালে। নিজের ফেসবুক পোস্টে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে সাদী লেখেন, অন্য কোনো মেয়েকে এখন আর আমার ভালো লাগে না। পরী আমার। এদিকে সেই পোস্টে পরীমনি এসে মন্তব্য করেন, ‘ওহ!’। সঙ্গে জুড়ে দেন একটি পুতুলের ইমোজি। নেটিজেনরা তখন বলাবলি শুরু করে যে, তাহলে কি ভালোবাসা দিবসের আগেই পরীমনির প্রতি নিজের প্রেম প্রকাশ করলেন সাদী? সাদী অবশ্য পরে গণমাধ্যমকে সেই পোস্ট সম্পর্কে বলেন, তেমন সিরিয়াস কিছু ভেবে তিনি পোস্ট দেননি। কিন্তু সবাই যে এতো সিরিয়াসলি নেবে, তা তিনি ভাবতেও পারেননি। যদিও প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি পরীমনি কিংবা শেখ সাদীর কেউ-ই। তবে সাদী যে পরীমনির জীবনে বিশেষ কেউ, সেটি স্বীকার করে নিলেন অভিনেত্রী। সাদীর সঙ্গে পরীমনির কী সম্পর্ক রয়েছে, গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, সাদী আমার জীবনে একটা জাদুর মতন! আমি মন খুলে যার সঙ্গে নিজের কথাগুলো বলতে পারি। জীবনে খারাপ সময়ে যে পাশে থাকে, আগলে রাখে, সে তো জীবনের আশীর্বাদ হয়ে আসে। ও ঠিক তা–ই আমার কাছে। পরীমনি আরও বলেন, একটা চড়াই–উতরাইয়ের মধ্যদিয়ে আমার জীবন চলছে। বিপদের সময় যে পাশে থাকেন, সে জীবনের জন্য আশীর্বাদ। আমি এই জীবনে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি, এখনো আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। আমার সুখ-দুঃখের গল্পগুলো তাদের সঙ্গে শেয়ার করি। এতে আমি মানসিকভাবে ভালো থাকি। এদিকে গায়ক শেখ সাদী জানান, বিনোদন অঙ্গনে কাজ করার সুবাদে পরীমনির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচয় রয়েছে তার। সাদী বলেন, আমিও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি অনেক দিন হলো। পরীমনির অনেক ইতিবাচক গুণ রয়েছে। বিপদ-আপদে মানুষের পাশে থাকেন। আমি তার মঙ্গল কামনা করি সব সময়। প্রায় দেড় বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নায়ক শরীফুল রাজ ও পরীমনি দম্পতির। তাদের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে পরীমনিই তার সন্তানকে লালন-পালন করছেন।

দীঘি বাদ, ‘টগর’ সিনেমায় পূজা

নতুন বছরের শুরুতে ‘টগর’-এর মোশন পোস্টার প্রকাশ করেন নির্মাতা আলোক হাসান। মোশন পোস্টার প্রকাশ করে জানানো হয়, ছবিতে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এবার জানা গেল, দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী। ১ জানুয়ারি আদর আজাদ ও দীঘিকে রেখে সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার প্রকাশ করেন নির্মাতা। কিন্তু দেড় মাস পরে এসে কেন নায়িকা পরিবর্তন? নায়িকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক আলোক হাসান বলেন, ‘একাধিক কারণে আমরা নায়িকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি। তবে পেছনের বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। তবে আমি মনে করি পূজা চেরীকে এই প্রজেক্টে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।” নির্মাতা জানান, আগামী ২৫ তারিখে ক্যামেরা ওপেন হতে যাচ্ছে ‘টগর’-এর। শুটিংয়ের উদ্দেশে গোটা ইউনিট ঢাকা ছাড়ছেন দুদিন আগেই। এ আর মুভি নেটওয়ার্কের প্রযোজনা ও পরিবেশনায় সিনেমাটিতে আদর ও পূজা ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম , রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন,এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ। পূজা চেরি বলেন, ‘অলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং এর কারণে আমি নিজেও কাজটি করতে চাইনি। তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে বুঝাতে সমর্থ হয় আমারও গল্পটি পছন্দ হওয়ায় রাজি হয়ে যাই। স্ক্রিপ্ট ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে গল্পটিও ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।’ সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্ক টিমের। সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্মিত হচ্ছে বলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।

তিন মাস পর ভারতে রিলিজ হচ্ছে শাকিবের ‘দরদ’

২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘দরদ’। কথা ছিল বাংলাদেশে মুক্তির দিনেই এটি ভারতেও মুক্তি পাবে। কিন্তু কয়েক দফা তারিখ বদল হয়। অবশেষে ভারতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খানের এই ছবিটি। বাংলাদেশে মুক্তির তিন মাস পর ভারতে আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি দেওয়া হবে শাকিবের দরদ। ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে আরো লেখা হয়, ‘খেলায় আজ শুধুই ভাব, হবে না কোনো আড়ি, দরদ নিয়ে শাকিব খান, আসছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।’ তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ, নাকি ভারতের অন্য রাজ্যে মুক্তি পাবে ‘দরদ’- জানায়নি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় রোমান্টিক সাইকো-থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটির পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন অনন্য মামুন। ছবির প্রযোজক হিসেবে আছেন অশোক ধানুকা, হিমাংশু ধানুকা, কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও অনন্য মামুন। শাকিব খান ছাড়া সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন সোনাল চৌহান, পায়েল সরকার, রাহুল দেব ও রাজেশ শর্মা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কনসার্ট স্থগিত, জানা গেল কারণ

রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’ স্থগিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের নির্ধারিত দিনের ঠিক আগের দিন হঠাৎ করেই স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকরা। এ ব্যাপারে আয়োজক পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে কনসার্টটি। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংস্কৃতিক সেলের সম্পাদক সালাউদ্দিন সৌরভ। তিনি বলেন, ‘কনসার্টে অংশগ্রহণকারী, দর্শক-শ্রোতা ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ কারণে পরিস্থিতি বিবেচনায় কনসার্টটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আয়োজনের কমতি ছিল না। কিন্তু কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছি না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল অনুষ্ঠানটি পরের সপ্তাহে পিছিয়ে নেব। কিন্তু পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য ঈদের পর আয়োজনের পরিকল্পনা আছে আমাদের।’ এর আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এটি দেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ কনসার্ট হতে যাচ্ছে। এই ভেন্যুতে একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ নিরাপদে গান শুনতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড তাদের গান পরিবেশনা করবে। দেশীয় সব শিল্পীদের নিয়ে আমরা কনসার্টের লাইনআপ সাজিয়েছি।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে হতে যাওয়া এ কনসার্টের প্রধান আকর্ষণ ছিল নগরবাউল জেমস। এতে আরও পরিবেশনা করার কথা ছিল ব্যান্ড চিরকুট, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, আর্টসেল, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কাকতাল, কুঁড়েঘর, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ আরও অনেকে।

৭৯ বছরে পা দিলেন সোহেল রানা

ঢালিউড সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানার ৭৯তম জন্মদিন শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি)। বিশেষ এ দিনে তাই ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। ১৯৪৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে সোহেল রানা ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাসস্থান বরিশাল জেলায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন সোহেল রানা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ক্যারিয়ার গড়েন চলচ্চিত্রাঙ্গনে। তখন পারিবারিক নাম মাসুদ রানা বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘সোহেল রানা’ নামে।বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন সোহেল রানা। এটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়।১৯৭২ সালে ‘মাসুদ পারভেজ’ নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন এ অভিনেতা। ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই সিনেমার মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।অভিনয় ক্যারিয়ারে ‘এপার ওপার’, ‘দস্যু বনহুর’, ‘জীবন নৌকা’সহ প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা। তবে বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে তিনি। দেশ ও সমাজের সেবা করতে নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ গঠন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এদিকে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও পডকাস্টে সময় দিচ্ছেন সোহেল রানা। আজ রাত আটটায় আইজ অন ফেসবুক পেজ ও আইজ অন ইউটিউব চ্যানেলে অভিনেতার প্রথম পডকাস্ট ‘আমি সোহেল রানা’র টিজার উন্মুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। খুব শিগগিরই শুরু হওয়া এ পডকাস্টে ফেলে আসা জীবনের নানান গল্প শোনাবেন তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করা কিংবদন্তি এ তারকা।এ প্রসঙ্গে সোহেল রানার কাছে কিছু জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের কথা বলবো। অতীতের স্মৃতিচারণ করতে আনন্দ লাগে। জীবনে কিছু স্মৃতি যেমন সুখের রয়েছে আবার কিছু স্মৃতিতে জড়িয়ে রয়েছে কষ্টও।’

সালাউদ্দিন লাভলু ও সৈয়দ শাকিলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের বড় সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন লাভলু ও সৈয়দ শাকিল। তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন এবারের নির্বাচনে আরেক প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফরিদুল হাসান। এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দুইটি প্যানেল। একটি প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফরিদুল হাসান এবং অন্য প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন লাভলু ও সৈয়দ শাকিল।নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে কাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। নির্বাচনের এমন আগ মুহূর্তে সালাউদ্দিন লাভলু ও সৈয়দ শাকিল সমমনা পরিষদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ জানিয়েছে শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফরিদুল হাসান সমমনা পরিষদ।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- ডিরেক্টরস গিল্ড নির্বাচনের ঘোষিত (৩ ফেব্রুয়ারি) তারিখের নির্বাচনী তফসিলের-১’-এর ১৪.৬ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী কর্তৃক কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা যাবে না। ধারাটি না মেনে তা লঙ্ঘন করেছেন সালাউদ্দিন লাভলু ও সৈয়দ শাকিল। নির্বাচনে বিষয়টি বিবেচনা করে অবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণসহ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফরিদুল হাসান সমমনা পরিষদ।এ অভিযোগ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন লাভলুর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও সৈয়দ শাকিল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ নিয়ে কোনো ধরনের চিঠি আসেনি। নিয়ম মেনেই আমরা নির্বাচনী ইশতেহার দিচ্ছি।’উল্লেখ্য, ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত গ্রান্ড প্যালেস চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় পরিচিতি সভা করেছে সালাউদ্দিন লাভলু ও সৈয়দ শাকিল সমমনা পরিষদ। এতে দ্বিমত পোষণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফরিদুল হাসান সমমনা পরিষদ।

আদনানকে বিয়ে করতে বাধ্য হই : পপি

দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মা-বোনের থানায় দায়ের করা জিডির পর প্রকাশ্যে আসেন এক সময়ের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। প্রকাশ্যে এসেই পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেন তিনি। জানান, বিগত সময়ে পরিবারের সদস্যেরা কিভাবে তাকে ব্যবহার করেছেন। এরই মধ্যে পপির স্বামী-সন্তানেরও খোঁজ মেলে। জানা যায়, স্বামীর নাম আদনান উদ্দিন কামাল। তিনি একজন জাহাজ ব্যবসায়ী। তাদের সংসারে চার বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে, নাম আয়াত। পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও বিয়ে সন্তান নিয়ে শুরু থেকেই নীরব ছিলেন পপি। অবশেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় আদনানকে বিয়ের গল্প জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। যেখানে পপি দাবি করেছেন, একটি ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’র পর বাধ্য হয়েই আদনানকে বিয়ে করেছেন তিনি। পপির ভাষ্যমতে, তার বিয়ের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ২০১৯ সালে বাসায় একটা ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন। পরে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়। অভিনেত্রী বলেন, ‘সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনা চক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেলো। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। তখনো ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা, হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যেতে হতো’ স্বামী আদনানই তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন বলে জানান পপি। অভিনেত্রী এও জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন। পপির ভাষ্যে, ‘২০২০ সালের নভেম্বরে বাসায় কাজি ডেকে আদনানকে বিয়ে করি। সেসময় আমার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তবে বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতো না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’ উল্লেখ্য, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ সিনেমার মতো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি নায়িকা থেকে ‘অভিনেত্রীর’র খেতাব পান। এমনকি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পপি।

শুরু হচ্ছে মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎসব

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎস ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি, দুইদিন চলবে এ উৎসব। ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় ধানমন্ডির ভিনটেজ কনভেনশন হলে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রসহ দেশের চাকমা, মারমা, ম্রো বম, গারো, সাঁওতাল ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে উৎসবে। দুই দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক এ বি এম শামসুল হুদা, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ এবং জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির আহবয়ক ডা. মুশতাক হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন বান্দরবান পার্বত্য জেলার চিকিৎসক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক ডা. মং উষা থোয়াই। আরও অংশ নেবেন চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, শিক্ষক ও দর্শনার্থী। চলচ্চিত্র উৎসবে কোনো প্রবেশ ফি থাকছে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে উৎসব শুরু হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় শেষ হবে।

হেনাকে খুঁজে পেলেন বাপ্পারাজ

‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সংলাপ। এ নিয়ে অনেক হাস্যরসও হয়েছে। অবশেষ হেনাকে খুঁজে পেলেন বাপ্পারাজ। দুইজনের দেখা হলো টাঙ্গাইলে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অভিনেতা নাঈম তাঁর নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের সাহেব বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সোখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাপ্পারাজসহ অনেকেই। এ সময় নাঈমের সঙ্গে থাকা শাবনাজকে দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন বাপ্পারাজ। দুইজনে কুশল বিনিময় করেন। তাদের চোখের কোনে ঝড়ে আনন্দ অশ্রু। এরপর চলে নানা রসিকতা। এক পর্যায়ে নাঈমকে বাপ্পারাজ জিজ্ঞেস করেন ‘নাঈম ভাই হেনা কোথায়? নাঈমের উত্তর, ‘বাপ্পা তুই অনেক দেরী করে ফেলেসিস। হেনার তো আমার সঙ্গে অনেক আগে বিয়ে হয়ে গেছে’। বাপ্পারাজ চিৎকার করে বলে না আমি বিশ্বাস করি না...। এ সময় বাপ্পারাজকে পিঠ চাপড়াতে দেখা যায় নাঈমকে। এ সময় ওই সঙ্গে থাকা অন্য অতিথিরা ‘প্রেমের সমাধি ছেড়ে...’ গানটি গাইতে শোনা য়ায়। দুপুরে চলে খাওয়া দাওয়া পর্ব। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় সংলাপটি ছিল। পর্দায় ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও বাপ্পারাজ। আর ছবিতে হেনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ। এই ছবির আরেকজন নায়ক ছিলেন অমিত হাসান। সিনেমাটির নির্মাতা ইফতেখার জাহান। আর ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ ছবির সেই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ‘সিনেমার এক পর্যায়ে নায়ক বকুল (বাপ্পারাজ) দীর্ঘ দিন পর বাড়ি ফিরে তাঁর প্রেমিকা হেনার (শাবনাজ) বাড়ি সাজানো দেখতে পান। তিনি হেনার বাবাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়? চাচা, কথা বলছেন না যে। চুপ করে আছেন কেন?’ জবাবে চাচা বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও, হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।’ বকুল তখন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘না না, হেনার বিয়ে হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না, আমি বিশ্বাস করি না।’ দীর্ঘ দিন পর এ সংলাপটি সামাজিক মাধ্যমে পুনরায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকেই এই দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করছেন এবং নিজেদের মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ করছেন।

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন: আসিফ

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ক একটি পোস্ট করেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি। এতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতি বোঝা যাবে, মানুষও উপকৃত হবে।’ পোস্টে একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন না চাওয়ার কারণ হচ্ছে নিজে এমপি হব, বউকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাব। শালা ভাইস চেয়ারম্যান, শালিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বড় চামচাকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ছোট চামচাগুলাকে মেম্বার বানাব। এই মহৎ উদ্দেশ্য সফল হলে চুরির ক্ষেত্রে আর বাধা নেই।’ এ কমেন্টের উত্তরে আসিফ লিখেন, ‘একশ তে একশ।’ পারভেজ ভুইয়া নামে এক নেটিজেন দ্বিমত পোষণ করে লিখেছেন, একপক্ষ চায় জাতীয় নির্বাচন আগে হোক অন্য পক্ষ চায় স্থানীয় নির্বাচন। এখানে দুই পক্ষের যুক্তিই সমান যুক্তিযুক্ত। আগে জাতীয় নির্বাচন হলে যারা সরকার গঠন করবে তারা ইচ্ছামতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী নির্বাচিত করবে। আবার আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তাহলে যারা নির্বাচিত হবে তারা কি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে না? এমন মন্তব্যে আসিফ প্রতিউত্তরে লেখেন, ওই দাঁতের সমস‍্যা নির্বাচন কমিশন, সরকার আর সেনাবাহিনী দেখবে। কিন্তু এতেও দ্বিমত পোষণ করেন ওই নেটিজেন। যুক্তি হিসেবে তিনি তুলে ধরেন ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার কথা। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলেও কিন্তু নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী আর সরকার ছিল। তারা কিন্তু আওয়ামী লীগের হয়েই কাজ করেছিল। এখন যারা উপদেষ্টা থেকে দল গঠন করছেন তারা যে এমনটিই করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে? এর উত্তর অবশ্য দেননি আসিফ।’ এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে চান। স্থানীয় নির্বাচন আগে করলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে। তারা পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাস করবে। দেশে অরাজকতা তৈরি হবে। তাই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। জাতীয় নির্বাচন যত দ্রুত দেবেন, দেশে তত দ্রুত শান্তি ফিরে আসবে। আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার চেষ্টা করা হলে এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’

চায়ের দোকানে আড্ডার মাঝেই মাটিতে পড়ে যান শাহবাজ

ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে। তার অকাল মৃত্যুতে বিনোদন পাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন। মৃত্যুর আগেও তিনি হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। সানীর এই হঠাৎ মৃত্যু কেউ মানতে পারছেন না। কারণ তার ঘনিষ্ঠরা দাবি করছেন একেবারেই সুস্থ ছিলেন অভিনেতা। শাহবাজ সানীর কাছের একজন পরিচালক নাজমুল হুদা ইমন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শাহবাজ সানী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কারণ ছিল হার্ট অ্যাটাক। আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন, আমিন।’ জানা যায়, রোববার রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। সেখানেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। মারা যাওয়ার ১০ মিনিট আগে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এই তরুণ অভিনেতার। গেল কয়েক দিন ধরে বুক ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি।সানীর কাছের একজন নির্মাতা মাসরিকুল আলম। মৃত্যুর সময় সানীর পাশেই ছিলেন এই নির্মাতা। গণমাধ্যমকে সানীর শেষ সময়ের কথা মাসরিকুল জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন গেলাম তখনও সানী ভাইয়ের একটু জ্ঞান আছে। বুকে ব্যথা, চিৎকার করছেন। ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালেই সব রকমের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আর বাঁচানো গেল না।’মাসরিকুল আরও বলেন, ‘দুই দিন আগে সানী ভাইয়ের সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল, তখন তিনি বলছিলেন যে তার বুকে ব্যথা, কাশি রয়েছে। আমি বললাম, ভাই আপনি একটু ডাক্তার দেখান। পর দিন আবার কথা হলে বললেন, সম্ভবত গ্যাস্ট্রিক থেকে এমনটা হচ্ছিল; ওষুধ খাচ্ছি, এখন সুস্থ। আমি ধারণা করছি, ওই জ্বালাপোড়াটা আসলে উনার মাইনর হার্ট অ্যাটাক থেকে হয়েছিল, কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি।’নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আশার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন শাহবাজ সানী। ২০১৮ সালে গোলাম কিবরিয়া ফারুকী পরিচালিত ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে তিনি প্রথম বার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শক পরিচিতি পাওয়া সানীর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘চরের মাস্টার, ‘বিফলে মূল্য ফেরত’, ‘ট্রাভেল শো’, ‘মহব্বত’, ‘নোয়াখাইল্লা’ ইত্যাদি।

নির্মাতা রাজীবকেই বিয়ে করছেন মেহজাবীন

নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে অভিনেত্রী মেহজাবীনের প্রেম ও বিয়ের গুজব অনেকবারই রটেছে। ব্যক্তিগত বিষয়টি নিয়ে অবশ্য দুজনের কেউই কথা বলতে চান না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে দুজনেরই মুখে কুলুপ আঁটেন। এড়িয়ে যেতেন সম্পর্কের বিষয়টি। তবে তারা যে একে অপরে আবিষ্ঠ তা মুখে না বললেও ঠিকই বুঝেছেন অনুরাগীরা। এবার পাওয়া গেল নতুন খবর। মেহজাবীন ও রাজীবের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অদূরের এক রিসোর্টে হচ্ছে তাদের গায়ে হলুদ। একই জায়গায় ২৪ ফেব্রুয়ারি হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এখন সে আয়োজনেরই দাওয়াত কার্যক্রম চলছে বলেই সূত্র জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনা সাড়া মেলেনি। ২০১৯ সালেও রাজীবের সঙ্গে ঢাকার একটি বিপণিবিতানে মেহজাবীনের হাত ধরাধরি করে হাঁটার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তখন থেকেই তাদের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তা সরাসরি প্রকাশ্যে আসে। প্রসঙ্গত, মেহজাবিন ২০০৯ সালে একটি রিয়েলিটি শোয়ের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়াতে পা রাখেন। এরপর নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। তবে তিনি এখনও কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। অন্যদিকে আদনান আল রাজীব দেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম।

তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন

অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ছোট পর্দার তরুণ এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন আরেক অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, ‘অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই সানীর জন্য দোয়া করবেন।’ তিনি স্ট্রোক করেছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শাহবাজ সানী। অল্প সময়েই অভিনয় গুণে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেন। অর্জন করেন নির্মাতাদের আস্থা। গোলাম কিবরিয়া ফারকীর পরিচালনায় ২০১৮ সালে ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় শাহবাজ সানীকে।

ফের বিয়ে করলেন লাক্স তারকা শানু

এক সময় নিয়মিত কাজ নাটকে করতেন লাক্স তারকা অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু। বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন লেখালিখি নিয়ে। এরই মধ্যে সুখবর পাওয়া গেল তিনি ফের বিয়ে করেছেন। বর একজন প্রকৌশলীকে। মাহবুব জামিল পুলক নামের একজনকে বিয়ে করেছেন শানু। যিনি প্রকৌশলী হলেও রয়েছেন লেখালিখির সঙ্গে। এক বছর আগে বিয়ে করেছেন তারা। শানু গণমাধ্যমকে জানান, তারা বিয়ে করেছেন গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তবে এত দিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি। তাদের পরিচয় লেখালেখির সূত্র ধরে, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘আজব কারখানা’র মাধ্যমে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর ভালোবাসা ও বিয়ে। শানু বলেন, ‘গত বছরে আমরা বিয়ে করেছি। এরপর ভালো একটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাই, এত দিন বিষয়টি আমি জানাইনি। আমার কাছের কিছু মানুষজন এটি জানেন। এখনও আমরা অস্থির সময়ের মধ্যে আছি। সংবাদমাধ্যমে অফিসিয়ালি জানাইনি। বইমেলায় একসঙ্গে উপস্থিত হওয়ায় আরও অনেকেই জেনেছেন।’তিনি বলেন, ‘আমি মণিপুরি সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছি। আমাদের সংস্কৃতি যেমন অনেক সম্মানের, তেমনি সেনসিটিভও। তাই ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ভেবেচিন্তে প্রকাশ করি।’ মাহবুব জামিলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে শানু বলেন, ‘উনি মূলত কবি। লেখালেখি করছেন দীর্ঘ দিন ধরে। আমরা দুইজনই শব্দের মানুষ। আমাদের ভাবনাটা মিলে যায়। আজব কারখানায় এসেই আমাদের দুজনের পরিচয়।’উল্লেখ্য, শানারেই দেবী শানু ২০০৯ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন জেভিয়ার শান্তনু বিশ্বাসকে। অভিনেত্রী জানান, দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সে সম্পর্ক অনেক দিন আগেই ইতি টেনেছেন তারা।

স্কেচ গ্যালারি নন্দন জীবনসঙ্গী নাট্যশিল্পী সম্মাননা ২০২৫

অজস্র নাট্যকর্মীর সহস্রদিবসের শ্রমে ঘামে প্রেমে গড়ে উঠেছে আমাদের নাট্যসড়ক। এ সড়ক কখনোই মসৃণ ছিল না। বন্ধুর নাট্যপথে দুরন্ত স্বপ্ন আর অপরিমেয় সাহস নিয়ে হেঁটেছে আমাদের নাট্যকর্মীরা। নাটককে ভালোবেসে তারা উজাড় করে সঁপেছেন নিজেকে। রৌদ্র তাপে হেঁটে হেঁটে নাটকের বন্ধুর প্রান্তরে খুঁজেছেন জীবনের পূর্ণতা। অনেকে ধ্রুপদী মেলবন্ধনে সহযাত্রীকেই করেছেন জীবনের ধ্রুবতারা। তখন তাদের কাছে সমার্থক হয়ে গেছে নাটক, জীবন আর সংসার। নাটকের মঞ্চকে ঘিরে তারা ছড়িয়েছেন শিল্প ও জীবনের সমূহ ডালপালা। যুগপৎ নাট্য ও জীবনসাধনায় মগ্ন এই জীবনসঙ্গী নাট্যশিল্পীদের হার্দ্য সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে সময়ের প্রয়োজন মেটাতে তারুণ্যের শক্তিতে ভর করে সৃষ্ট, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও তার অনালোকিত দিকসমূহ উপস্থাপনে প্রয়াসি স্কেচ গ্যালারি-নন্দন। সে প্রচেষ্টার প্রথম পর্বে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নাট্যাঙ্গনের দুই নাট্যদম্পতি জোবায়দুর রশিদ-মাফতুহা মুনমুন এবং মোহম্মদ আলী হায়দার-সামিনা লুৎফা নিত্রাকে সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত নাট্যকার রবিউল আলম। আব্দুল্লাহ আল মামুন ও দিলরুবা জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই নাট্য দম্পতিকে অনুষ্ঠানে নীল খাম, প্রকাশনা, ভালোবাসি ভালবাসি টি শার্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় তানহা-তানশি ও আরিবা-জুবিয়া। স্কেচ গ্যালারি নন্দনের চেয়ারপারসন মানিক হোসাইন বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে তারুণ্যের শক্তিতে ভর করে স্কেচ গ্যালারি নন্দনের পথ চলা শুরু ২০১৮ সালে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে তাদের প্রচেষ্টা সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও তার অনালোকিত বিষয়সমূহ উপস্থাপন। সংস্কৃতি অঙ্গনের সকলকে নিয়ে স্কেচ গ্যালারি নন্দন তাদের কার্যক্রম চালাতে চায়।’ সংগঠনের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর শাহরিয়ার হান্নান বলেন, ‘খুব পরিকল্পিতভাবে স্কেচ গ্যালারি নন্দন গঠিত হয়েছে তা নয়। ব্যক্তিগত আগ্রহে স্বাধীনতা পরবর্তী হতে ২০১৮ পর্যন্ত চট্টগ্রামের মঞ্চ নাটকের ছবির প্রদর্শনী “আলোকচিত্রে মঞ্চালোক” আয়োজন করার মাধ্যমে এর জন্ম। কিন্তু প্রথম আয়োজনে নাট্যাঙ্গনের মানুষের ভালোবাসা ও উৎসাহ তাদের তা চলমান রাখতে প্রেরণা জোগায়। তার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে ১০টি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চায়ন করা হয়েছে ও হেনরির গিফট অফ দ্য মেজাই অবলম্বনে নাটক “ভালোবাসি ভালোবাসি”। চট্টগ্রামের নাট্য ব্যক্তিত্বদের জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মাণ করেছে প্রামাণ্য চিত্র। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকলকে নিয়ে স্কেচ গ্যালারি নন্দন সামনে আরোও সৃস্টিশীল কার্যক্রম চালাতে চায়।’ জোবায়দুর রশিদ-মাফতুহা মুনমুন এবং মোহম্মদ আলী হায়দার-সামিনা লুৎফা নিত্রার হাতে সম্মাননা তুলে দেন রবিউল আলম। নাট্য দম্পতি দর্শকের প্রশ্নোত্তরে তাদের নাট্য জীবন ও যাপিত জীবনের প্রতিক্রিয়া জানান। জোবায়দুর রশীদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয় (চবি)থেকে নাটক বিষয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে নাট্যকলা বিষয়ে প্রথম স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম নাট্যঞ্চলের স্বনামধন্য এই নাট্যজন ১৯৮১ সালে রূপকার নাট্যদলের মাধমে নাট্যচর্চা শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার চট্টগ্রাম নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যুক্ত হন। তিনি সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটারের (সিএটি) প্রতিষ্ঠাতা অর্থ-সম্পাদক সদস্য। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এ সংঘগঠনের "কোষাধ্যক্ষ" পদে যুক্ত ছিলেন। নাটকের সংগঠন, নির্মাণ, শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ প্রভৃতি প্রক্রিয়ার সাথে তিনি আজও নিবিড়ভাবে যুক্ত। বিগত ৩ দশকের অধিককাল ধরে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের নাট্য প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত আছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য অভিনীত নাটক হল হইতে সাবধান ডানসেন, প্রায়শ্চিত্ত, জনক, বহিপীর, আন্তিগোনে, সখিনার পালা, খোয়াব প্রভৃতি। উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা প্রস্তাব বায়স্কোপ, ডানসেন, প্রায়শ্চিত্ত, জনক, জন হেনরী, বাসন, বহিপীর, সত্যসন্ধ, শেষরক্ষা, বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রো, দর্পন প্রভৃতি। মাফতুহা মুনমুনের জন্ম চট্টগ্রামে। তার পূর্বপুরুষের নিবাস বৈদ্যপাড়া বরিশাল। পিতা মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন ও মাতা রাজিয়া ইসমাইল। চবি থেকে তিনি নাট্যকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চট্টগ্রামের মঞ্চে মাফতুহা মুনমুন সক্রিয় আছেন নাটকের অভিনয় এবং বিভিন্ন ডিজাইন পরিকল্পনা নিয়ে। অঙ্গন থিয়েটার ইউনিট, থিয়ট্রেন রেপার্টরী, সমীকরণ থিয়েটার, থিয়েটার গিল্ড, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার প্রভৃতি সংগঠনে বিগত তিন দশক ধরে তিনি নাটকের বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত আছেন। তার অভিনীত নাটক হলো মহেশ ও গফুর আমিনা সংবাদ, বহিপীর, আন্তিগোনে, সত্যসন্ধ, উন্মাদ সাক্ষাৎকার, দন্ডধর, মলকাবানু, মেঘ, অভিজ্ঞান শকুলেম, কবিয়াল রমেশ শীল, মৃচ্ছ কটিক, সত্যসন্ধ, নাট্যকারের বিপত্তি, সখিনার পালা, খোয়াব, সংকটে শয়তান, নয়া গরবা আইস্যে, প্রভৃতি। বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নাট্যকর্মশালায় অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন পুরস্কার। জোবায়দুর রশীদ ও মাফতুহা মুনমুন উভয়েই নাটক-অন্তপ্রাণ। তাঁদের দুইজনের ধ্যানে জ্ঞানে জড়িয়ে আছে নাটক। এই অভিন্ন মনন চিন্তন এবং নাটকের কর্মসূত্রে দুজনের কাছে আসার গল্পের সূত্রপাত। তার পর নিজেদের পছন্দ আর পরিবারের সম্মতিতে ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর দুইজন আবদ্ধ হন পরিনয়সূত্রে। তাঁদের ভালোবাসার উত্তরাধিকার- একমাত্র কন্যা রঙধনুকে নিয়ে জোবায়ের-মুনমুনের শিল্পীত সুখের সংসার। মোহাম্মদ আলী হায়দারের জন্ম ১৯৭২ সালের ৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের কালীগঞ্জে। ১৯৯১ সালে যোগ দেন ঢাকার অন্যতম নাট্যদল সুবচন নাট্য সংসদে। ‘সুবচন’-এর রাষ্ট্র বনাম, খানদানী কিসসা, তীর্থঙ্কর, পাঁচ শয়তানের ব্লাড প্রেসার, ১৯৭১, বউ, টুয়েলফথ নাইট, রূপবতী, ক্ষুধিত পাষাণসহ আরো অনেক মঞ্চসফল নাটকে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন শিল্পকলা একাডেমি প্রযোজিত রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট এবং সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটারের সত্যপীর নাটকে। সুবচনের অর্থ সম্পাদক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও প্রযোজনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে নির্দেশক হিসেবে মঞ্চে এনেছেন বাংলাদেশের অত্যন্ত সফল ও নন্দিত মঞ্চনাটক খনা ও পথনাটক পুশিক্যাট। সুবচনের সাথে সম্পর্ক ঢুকিয়ে ২০০৮ সালে কয়েকজন সতীর্থ মিলে গড়ে তোলেন নাট্যদল বটতলা-এ পারফর্মেন্স স্পেস। বর্তমানে তিনি দলটির নান্দনিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। অভিনয় করেছেন খনা, জতুগৃহ, মধুশিকারী, বন্যথেরিয়াম ও ধামাইল নাটকে। তাঁর নির্দেশিত বটতলার খনা, দ্য ট্রায়াল অফ মাল্লাম ইলিয়া, জতুগৃহ, মধুশিকারী, ক্রাচের কর্নেল, সখী রঙ্গমালা ঢাকার মঞ্চে ও পথে অত্যন্ত আলোচিত নাটক। যুক্তরাজ্যের থিয়েটার ফোকস এ নির্দেশনা দিয়েছেন দুটি ইংরেজি নাটক এ টেইল অফ টু ফ্রেন্ডস এবং যমুনা যা একাধিক দেশে মঞ্চায়িত হয়েছে। তিনি অক্সফোর্ড থিয়েটার গিল্ড এর সদস্য এবং এ দলের সাথে একাধিক নাটকে মঞ্চের পেছনে কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন একাধিক চলচিত্রে। মোহাম্মদ আলী হায়দার একুশে টেলিভিশন, দুরন্ত টিভি, গ্রিন টিভিসহ একাধিক বেসরকারী টিভি চ্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ওটিটি চ্যানেল বঙ্গ' এ কর্মরত আছেন।সামিনা লুৎফা নিত্রা একজন অভিনেত্রী ও নাট্যকার। বটতলা'র প্রতিষ্ঠাকালীন এ সদস্য লিখেছেন তিন মঞ্চনাটক তীর্থঙ্কর, খনা এবং বাঁয়েন। এছাড়া যৌথভাবে অনুবাদ করেছেন শেকসপীয়র এর টুয়েলফথ নাইট (আসাদুল ইসলামের সাথে), রূপান্তর করেছেন শাহাদুজ্জামানের ক্রাচের কর্নেল এবং শাহীন আখতারের সখী রঙ্গমালা (সৌম্য সরকারের সাথে)। ইংরেজীতে লিখেছেন বীরাঙ্গনা (লীসা গাজীর সাথে), লিখেছেন পথনাটক জতুগৃহ এবং বৃক্ষ সম্মেলন বা পুরো ঐতিহাসিক। মঞ্চ নাটকে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয়, কোরিওগ্রাফী, পোশাক পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন সুবচন, বটতলা, যাত্রিক, গ্যেটে ইন্সটিটিউট, কমলা কালেক্টিভ এবং ঢাকা আর্ট সামিটের সাথে। কর্মজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এ শিক্ষকের গবেষণা আগ্রহ পরিবেশগত ন্যায্যতা, নারীবাদ, রাজনৈতিক প্রতিবেশ, সামাজিক আন্দোলন, শ্রমিক অধিকার ও জনপ্রিয় সংস্কৃতি। তার জন্য ১৯৭৬ সালের ১ জুন, ময়মনসিংহে।মোহাম্মদ আলী হায়দার ও সামিনা লুৎফা (নিত্রা) ১৭ মে ২০০২ বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। তাদের একমাত্র সন্তান প্রাকৃত নৃ হায়দার। অনুষ্ঠানে রবিউল আলম বলেন, ‘জীবনসঙ্গী নাট্যশিল্পী সম্মননা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এর মাধ্যমে নাট্যকর্মীদের কাজের যে সম্মান দেয়া হলো তা তাদের আরোও ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগাবে।’ তিনি নাট্য দম্পতিদের শুভেচ্ছা জানান ও স্কেচ গ্যালারি নন্দন তাদের সৃস্টিশীল কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সম্মাননা প্রদান পর্বের নাট্য শিল্পী নওমান এ আলম খান গুড্ডু ও মুক্তা সরকার গান করেন। উপস্থিত দর্শক তাদের পরিবেশনা উপভোগ করেন। স্কেচ গ্যালারি নন্দন জীবনসঙ্গী নাট্যশিল্পী সম্মাননা ২০২৫ ছিল রেখা হাবিবুল্লাহ ও রাহাত রহমান লিমার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত।

বিয়ে করলেই তো সবশেষ : পূজা চেরি

সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা পূজা চেরি বলেছেন বিয়ে নিয়ে এখনই ভাবছেন না, আরও চার-পাঁচ বছর পর চিন্তা করে দেখবেন কবে বিয়ে করা যায়। বিয়ে নিয়ে কুয়ালালামপুরে প্রবাসী সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘বিয়ে মানেই তো সবশেষ, এখনও সেটেল হইনি, বহুদুর যেতে চাই, মাঝপথে আটকে যেতে চাই না, মাঝপথে আটকানোর জন্য পূজা চেরি আসেনি।’ পূজা চেরির আগমন উপলক্ষে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরে এনটিভি মালয়েশিয়া আয়োজন করে নৈশভোজের। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পূজা চেরি। সাকিব খানকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক এবং জনপ্রিয়তায় তার আশপাশেও কেউ নেই বলেও মনে করেন তিনি। রায়হান রাফির ওয়েব সিরিজ ব্লাক মানিতে তার চরিত্র উপভোগ্য ও ব্যাতিক্রমি ছিলো এ ধরনের চরিত্র পেলে আরো ওয়েব সিরিজ করতে চান বলে মন্তব্য করেন পূজা চেরি। জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বলেন, চমক নিয়ে আবার আসছি পর্দায়, তবে তা এখনই প্রকাশ করতে চাই না। শিশু শিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া একেবারে সহজ ছিলো না উল্লেখ করে পূজা চেরি বলেন, এখনও অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ রয়েছে, ভালো কাজ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে চাই। ঢালিউডের এ গ্লামার গার্ল বলেন, শাবানা ম্যাডামের ভাত দে কিংবা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বারফির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। সংক্ষিপ্ত সফরে কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এনটিভি মালয়েশিয়া আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে পূজা চেরির।

প্রথমবার একসঙ্গে তিশা-প্রীতম, ট্রেলারেই চমক!

ভালোবাসায় মোড়ানো এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। জাহিদ প্রীতমের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন প্রীতম হাসান, তানজিন তিশা ও পারশা মাহজাবীন। ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে ওয়েব ফিল্মটি। শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’র ট্রেলার উন্মোচন করা হয়। এতে মুক্তির আগে কিছু ধারণা পাওয়া গেলো ওয়েব ফিল্মটির গল্প নিয়ে; যেখানে উঠে এসেছে চরিত্রদের বিভিন্ন মুহূর্ত ও অনুভূতি। ট্রেলার দেখে ধারণা করা যায়, তাদের চরিত্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পারশাকে দেখা গেছে চিকিৎসকের অ্যাপ্রোনে। বিভিন্ন মুহূর্তে চরিত্রগুলোর আবেগ–উদ্বিগ্নতা কৌতূহলী করে তুলেছে দর্শকদের। ‘ঘুমপরী’ ওয়েব ফিল্ম নিয়ে প্রীতম হাসান বলেন, ‘কাজটা করব কিনা, প্রথম দিকে এটাই ভাবছিলাম। এত ইমোশনাল স্ক্রিপ্টে চরিত্রটা হয়ে উঠতে পারব কিনা, সে চ্যালেঞ্জ ছিল। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনার পর আত্মবিশ্বাস পাই। কাজটিতে যুক্ত হই। ম্যাজিক্যাল অনেক মুহূর্ত আছে পুরো গল্পে।’ ‘ঘুমপরী’র মাধ্যমে চরকির সঙ্গে প্রথমবার কাজ করলেন তানজিন তিশা। যদিও নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের সঙ্গেও বেশ কিছু কাজ করেছেন অভিনেত্রী, যা পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। তানজিন তিশা বলেন, ‘আমি অনেক রকমের কাজ করেছি। তবে ঘুমপরী একটু আলাদা। আমি তো পারফরম্যান্সের জায়গা খুঁজি, এখানে সেটা পেয়েছি। কনসেপ্টটা খুব ভালো লেগেছে।’ এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ পেয়েছে ‘ঘুমপরী’ ওয়েব ফিল্মের ‘মন্দ হতো না’ গানের টিজার। গানটির ‘তুমি আমার হলে মন্দ হতো না’ লাইনটি বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাই জানাচ্ছেন শ্রোতারা।

তাহসানকে নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা বর্তমানে নতুন সিনেমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এর মধ্যেও তাকে নিয়ে নেটিজেনদের ব্যক্তিগত জীবনের চর্চা থামছে না। মিথিলা শুধু অভিনেত্রী কিংবা মডেলই নন, শিক্ষকতা ও গবেষণায়ও সক্রিয় তিনি। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে মিথিলার নতুন সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। নদী ও নারী বিষয়ক এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিথিলা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিনেমা, সংসার ও সমসাময়িক নানা বিষয়েও কথা বলেন তিনি। ‘জলে জ্বলে তারা’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘গত ৫ বছরে আমি যে ধরনের চরিত্র করেছি সেগুলো থেকে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছি। নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছি। এই ‘তারা’ চরিত্রটা আমার অভিনয় জীবনে একটা নতুন সংযোজন। আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা।’ তবে ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন মিথিলা। তাহসান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বেশ সুখের সংসারই কাটছিল তাদের। কিন্তু, অনেক দিন ধরেই আলাদা থাকছেন তারা; আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। কিন্তু এসব জল্পনা বা গুঞ্জন মোটেই কানে নেন না মিথিলা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এত ব্যস্ত থাকি আমার সময় নেই এগুলো মাথায় নেওয়ার। নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করি। আমার স্বামীও তাই। যারা কাজের মানুষ তারা ঠিকই বুঝে। তারা নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অন্যের কাজেও ঝামেলা করে না।’ মিথিলা বলেন, ‘যাদের কোনো কাজ নেই তারাই সারাক্ষণ এসব নিয়ে মেতে থাকে। মানুষ কি ভাবছে সেগুলো নিয়ে আমি কখনোই চিন্তিত না। আমার পরিবার, সন্তান, আশেপাশের মানুষগুলোই আমার সাপোর্ট সিস্টেম, তারা সবাই আমাকে বোঝে।’ এর আগে মিথিলা তাহসানের বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। যেখানে তিনি বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। এটা নিয়ে কথা বলতেও চাই না। এটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, এটা আমারও কোনো ব্যক্তিগত বিষয় না যে আমি কথা বলবো। যার জীবনের ঘটনা, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে আমার কিছুই বলার থাকতে পারে না।’ তবে তাহসানের বিয়ের আগে মিথিলা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাহসানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। অভিনেত্রী মনে করেন, সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সবার আগে।’

হুমকির মুখে স্থগিত ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব

হুমকির মুখে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় ঢাকার নাটক সরণির মহিলা সমিতির মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। উৎসবের তিনটি পর্যায়ে একটি করে নাটক মঞ্চস্থ করার কথা ছিল ৮৫টি নাট্যদলের। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরো ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে, সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রাণের নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।’ উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ বলেন, ‘শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের জানান যে, রমনা থানা থেকে ফোনে নাট্যোৎসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আমরা উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে রমনা থানার ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সঙ্গে যোগাযোগ করি। সন্ধ্যায় আমরা ওসির সঙ্গে তার অফিসে সাক্ষাৎ করি এবং উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তাকে অবহিত করি।’ উৎসবের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে কামাল আহমেদ বলেন, ‘মিলনায়তনে আমরা যে নাটকের প্রদর্শনী করি, তার জন্য তো পুলিশ থেকে অনুমতি নেওয়া হয় না। এখানে তো বিদেশি নাট্যদলের অংশগ্রহণও নাই।’ ‘যে দলের নাটকের শো হবে, তারা তো নিয়মিতই নাটকের প্রদর্শনী করছে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য পুলিশ বা সরকারের কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।’ থানায় আলোচনার পর পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। থানার ওই বৈঠকের খবর পেয়ে ‘উত্তেজিত কিছু লোক’ এসে মহিলা সমিতির প্রাঙ্গণে উৎসবের সাজসজ্জা খুলে ফেলে বলে ভাষ্য আয়োজকদের। কারা এই হুমকি দিয়েছে, তারা পরিচয় দিয়েছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে কামাল বলেন, ‘বিগত দিনেও একটি নাট্যদলের নাটক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শোর মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং এর প্রতিবাদে নাট্যকর্মীরা যখন সমাবেশ করছিল; তখন নাট্যজন মামুনুর রশীদসহ উপস্থিত নাট্যকর্মীদের উপর যারা হামলা করেছিল, আজকের ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে আমরা মনে করি।’ এ নিয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমি মিটিং এ আছি। পরে কথা বলব।’ পরে বিকেল পৌনে ৪টায় ফোন করা হলে তিনি আর সাড়া দেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

বারিধারায় ‘আনন্দ অ্যাকাডেমি ফর পারফর্মিং আর্টস’ উদ্বোধন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ও সমাজের টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। সংস্কৃতি ও পরিবেশ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা পরিবেশ সংরক্ষণেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।’ ঢাকার বারিধারায় ‘আনন্দ অ্যাকাডেমি ফর পারফর্মিং আর্টস’-এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘সংস্কৃতি মানুষের মনন গঠনের অন্যতম মাধ্যম। একজন সুস্থ সংস্কৃতিবান মানুষ কখনো ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে বন্য হাতিকে মারা, বা অকারণে মেছো বিড়ালসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যা করতে পারে না।’ তিনি নতুন প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের সৃজনশীল উদ্যোগের স্বাগত ও সফলতা কামনা করেন। ‘আনন্দ অ্যাকাডেমি ফর পারফর্মিং আর্টস’ শিশু-কিশোর ও তরুণদের নৃত্য, সংগীত, নাটকসহ নানা পরিবেশনামূলক শিল্পচর্চার সুযোগ করে দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধনী আয়োজনে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে। এএসএমটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান নাসরীন সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শামীম আরা নীপা, আবেদা সুলতানা, রেবেকা সুলতানাসহ বিশিষ্ট সংস্কৃতিজনেরা পারফরম্যান্স করেন। আয়োজকরা জানান, এই প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের মাঝে সাংস্কৃতিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ভূমিকা রাখবে। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি অ্যাকাডেমির বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং ট্রাস্টিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন : শাবনূর

ক্যারিয়ারে শীর্ষে থাকার সময় হঠাৎই অভিনয় জীবন থেকে দূরে সরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে শুরু করেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়িকা শাবনূর। সর্বশেষ ২০২৩ সালে শাবনূর নারীকেন্দ্রিক সিনেমা ‘রঙ্গনা’য় অভিনয় করেন, যে সিনেমার কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই শাবনূরকে পর্দায় দেখার অপেক্ষায় ভক্তকুলেরা। তবে পর্দায় না এলেও নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সংস্পর্শে থাকেন শাবনূর। নিজের ভাললাগা মন্দ লাগা, সব ধরনের অনুভূতিও শেয়ার করতে দেখা যায় নায়িকাকে। শবে বরাত ও পহেলা ফাল্গুন নিয়েও পোস্ট দেখা গেছে তার। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেসবুকে লাল রঙের পোশাক পরা তিনটি ছবি আপলোড করেন শাবনূর। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আজ পবিত্র শাবান মাসের মহিমান্বিত ও বরকতময় রাত, ‘শবে বরাত’।এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও বরকত কামনা করছি। হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন।’ পহেলা ফাল্গুন নিয়ে শাবনূর লেখেন, ‘আজ পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের আগমন ঘটেছে। ফাল্গুনের বর্ণিল হাওয়ায় সবার জীবন ভরে উঠুক আনন্দে। সবাইকে ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।’ স্ট্যাটাসের শেষে শাবনূর তার ভক্তদের ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। লেখেন, ‘হ্যাপি ভ্যালেনটাইনস’।প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের সঙ্গে জুটি গড়ে ব্যাপক সফলতা পান।ক্যারিয়ারে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস,শাকিব খানসহ অনেক নায়কের সঙ্গে জুটি গড়ে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দেন।

রণবীরের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ভারতীয় সংসদেও

ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আলাহাবাদিয়া। ‘ইন্ডিয়াস গট ল্যাটেন্ট’ নামের এক রিয়েলিটি শোতে প্রতিযোগীদের আপত্তিকর মন্তব্য করার পর রণবীরের কড়া সমালোচনা করেছেন বলিউড তারকারা। সংবাদ হিন্দুস্তান টাইমেসর। আপত্তিকর সেই মন্তব্যের পর ক্ষমা চেয়েছেন রণবীর। তবে এই বিতর্ক এখানেই শেষ হচ্ছে না। বিষয়টি গড়িয়েছে ভারতের সংসদেও।বেশ কয়েকজন সাংসদও রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সংসদীয় প্যানেল গঠন করা হয়েছে। সেখানেও রণবীরের এই মন্তব্যের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। শোনা যাচ্ছে, সংসদ থেকে রণবীরকে সমন পাঠানো হতে পারে। তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার বিভাগ তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে। কমেডি শোয়ের ১৮টি পর্ব সরিয়ে ফেলার দাবি জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমে সাইবার বিভাগ জানতে পেরেছে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও অতিথিসহ সংশ্লিষ্টদের ওই অনুষ্ঠানে ‘আপত্তিকর’ ভাষা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তাই শোয়ের বিচারক, অতিথিসহ এমন ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।রণবীরের মন্তব্যের পর শোয়ের সঙ্গে যুক্ত অপূর্ব মুখিজা, সময় রায়নার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।রণবীরের মন্তব্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। বলিউডের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা রাজপাল যাদবও এই বিতর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, ‘এমন ভিডিও দেখা সত্যিই লজ্জাজনক। আমাদের দেশ সংস্কৃতির দেশ। এ ধরনের কনটেন্ট দেখে লজ্জা লাগে।’রণবীরকে নিয়ে বিতর্কের আঁচ পড়েছে ভারতের ক্রীড়া অঙ্গনের তারকাদের মাঝেও। জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে বহু ক্রিকেটার আসতেন রণবীরের অনুষ্ঠানে। তবে রণবীরেরও ইচ্ছা ছিল বিরাট কোহলির সঙ্গে পডকাস্ট করবেন। কিন্তু তার আগেই রণবীরকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিরাট কোহলি। সেই ইউটিউবারকে সামাজিক মাধ্যমে অনুসরণও করতেন বিরাট। কিন্তু এবার রণবীরকে ‘আনফলো’ করে দিলেন এই ক্রিকেট তারকা।

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ শুরু

গেল কোরবানি ঈদে সিনেমা হলে ‘তুফান’ তুলেছিলেন শাকিব খান। আসছে রোজার ঈদে করবেন ‘বরবাদ’। তারপর কোরবানি ঈদে চলাবেন ‘তাণ্ডব’। কবে শুটিং শুরু হবে ‘তাণ্ডবে’র? এবার জানা গেল সে খবর। আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বলে উঠবে ‘তাণ্ডবে’র ক্যামেরা, লাইট। একটি বিশ্বস্ত সুত্র নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। সূত্র জানিয়েছে, রায়হান রাফীর পরিচালনায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুম্বাইয়ে শুটিং শুরু হবে ‘তাণ্ডবে’র। দৃশ্যধারণ করা হবে থাইল্যান্ডেও। মাঝে ঈদের ছুটি বাদ দিয়ে টানা এক মাস শুটিং চলবে। সম্পূর্ণ মারকাটারি ছবি হতে যাচ্ছে শাকিব-রাফীর জুটির ‘তাণ্ডব’। পর্দায় কিং খানকে পলকে পলকে রঙ পাল্টাতে দেখা যাবে। এমনই রহস্যময় হবে চরিত্রটি। জানা গেছে, ছবিটিতে সুপারস্টারের সঙ্গে থাকছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবিটি প্রযোজনা করবে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। শাকিব খানের সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দরদ’। এতে শাকিবের বিপরীতে দেখা গেছে বলিউডের সোনাল চৌহানকে। আরও ছিলেন বাংলাদেশের সাফা মারওয়া। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এলিনা শাম্মী, রাহুল দেব প্রমুখ। ছবিটির পরিচালক অনন্য মামুন।