বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে মিয়ানমারে সেমিনার
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৫৬ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৪
ঢাকা: কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-কে রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি শুক্রবার ( ১২ জুলাই) মিয়ানমারের বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি বহুমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সুস্বাস্থ্যের সামাজিক মানদণ্ডের উন্নতির সাথে এই উদ্যোগগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, যা প্রতিবেশী অনেক দেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও রোগনির্ণয়, নিয়মিত টিকাদান, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রয়োজনে উন্নত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের ব্যাপক উপকার করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাটি চালু করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন, যিনি সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ধারণা দিয়েছিলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সেমিনারে অন্যান্য আলোচকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার গুরুত্ব এবং মিয়ানমারে দক্ষ জনস্বাস্থ্যকর্মী তৈরিতে ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ-এর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। সেমিনারে রেক্টর, অধ্যাপক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য পেশাজীবী, জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।