জেলেনস্কিকে পুতিন বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন বাইডেন
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:০৪ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটো সম্মেলনের শেষ দিন এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সংবাদ সম্মেলন দিয়েই তিনি নিজের বয়স এবং নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে চাইছিলেন।
জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে কাজটি শেষ করতে হবে কারণ এখানে অনেক কিছু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ৮১ বছর বয়সী এ ডেমোক্রেট বেশ কয়েকবার ভুল কথাবার্তা বলেছেন। এতে তার কর্মক্ষমতা নিয়ে আরও উদ্বেগের সৃষ্টি হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে রয়েছেন জো বাইডেন। তবে ২০২৪ সালের উদ্বোধনী বিতর্কেই তিনি হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। এতে তার ভোটসংখ্যা কমেছে। বিতর্কে তিনি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হয়েছিলেন।
এসবের পর ডেমোক্রেটদের একটি অংশ নির্বাচন থেকে বাইডেনকে বসিয়ে দেওয়ার আওয়াজ তুলছে। তার বদলে কমবয়সী কাউকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনতে চাইচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, কাজকর্ম বিরক্তিকর হয়ে গেছে। ট্রাম্প কোথায়? গলফ কার্টে চরে বেড়াচ্ছে নাকি?
সংবাদ সম্মেলনটি ছিল জো বাইডেনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যরা বাইডেনকে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে যেতে সরাসরি চাপ দেয়।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই গন্ডগোল
সংবাদ সম্মেলন শুরুর এক ঘণ্টারও কম সময় আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন।
বাইডেন জেলেনস্কির দিকে ইঙ্গিত করে বলছিলেন, আমি এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে যাচ্ছি, যিনি দৃঢ় সংকল্পের মতো সাহসী। ভদ্র নারী ও পুরুষেরা, প্রেসিডেন্ট পুতিন।
পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পেরে রসিকতা করে তা সামলেন নেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন? তিনি (জেলেনস্কি) প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পরাজিত করতে চলেছেন।
জেলেনস্কি হাসছিলেন। বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা বাইডেনের পক্ষ নেন। এমনকি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
সম্মেলনে সাংবাদিকদের শলৎস বলেন, কথায় ভুল হয়েই থাকে। অন্যদের মধ্যে খুঁজলে আরও পাওয়া যাবে।