বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সাথে আলোচনা, সংসদে ব্রিফ করবেন জয়শঙ্কর
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:০৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভারত সরকার ও দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এবার বাংলাদেশ ইস্যুতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।’
কাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন জয়শঙ্কর। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির বিরোধী দলগুলোও এই ইস্যুতে কোন আপত্তি তুলবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেফতার নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের উত্তেজনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এই সনাতন জোট নেতার গ্রেফতার ও জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার ও তাকে জামিন না দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের এমন বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করছি যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।’