আসাদের পতনের নেপথ্যে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল: দাবি খামেনির


December 2024/Khameni.jpg
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর নিজের প্রথম মন্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, তেহরানের কাছে ‘প্রমাণ’ রয়েছে যে, সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসকের (ইসরাইল) যৌথ পরিকল্পনার ফসল। সংবাদ আল জাজিরার।
 
তুরস্কের দিকে ইঙ্গিত করে তেহরানে এক সমাবেশে খামেনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সিরিয়ার প্রতিবেশী একটি সরকার এতে (আসাদের পতনে) স্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে ও করছে। আমরা এটি দেখতে পাচ্ছি।’
 
তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। 
  
এ দিকে, সিরিয়ায় ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে’ একটি ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ গঠনের কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এরই মধ্যে দেশটির দক্ষিণের ওই অঞ্চলে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে ইসরাইলের বাহিনী। বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর বিমান হামলাও জোরদার করেছে ইসরাইল। 
 
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘তিনি সামরিক বাহিনীকে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলের বাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি থাকবে না। তবে, সেটি নিয়ন্ত্রিত হবে।’
 
এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি কাৎজ। তবে, তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্য ‘সিরিয়ার ভূখণ্ডে সন্ত্রাস প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসীদের সংগঠিত হওয়া’ প্রতিহত করা।’ 
  
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এটাও নিশ্চিত করেন, গভীর রাতে হামলা চালিয়ে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে। 

Your Image

আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় একের পর এক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইলের বাহিনী। গেল ৪৮ ঘণ্টায় এমন ৪৮০টি হামলা চালানোর খবর জানিয়েছে তারা।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×