শেষ রক্ষা হল না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:০১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল অভিশংসিত হয়েছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টের ২০৪ জন আইনপ্রণেতা ইওলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সংবাদ বিবিসির।
শনিবার বিকালে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মত অভিসংশনের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপর দিকে, ৮৫ জন বিপক্ষে, তিনজন ভোটদানে বিরত ও চারটি ভোট বাতিল হয়।
অভিশংসিত হওয়ায় ইওল কর্তৃত্ব হারাবেন। কিন্তু, সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
যদিও আইনপ্রণেতাদের এই রায় প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে সরানোর নিশ্চিয়তা দেয় না। কারণ, এখানে আইনি কিছু পথ রয়েছে। অভিশংসনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
এ নিয়ে এখন সাংবিধানিক আদালতে শুনানি হবে। যদি আদালতের নয় সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের ছয়জন অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন, তখনই কেবল প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে পদ ছাড়তে হবে। সেই পরিস্থিতিতে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। তবে, ইউনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওই দিন জানান, মোট ১৯৫ ভোট পড়েছে। ভোট দেয়া সদস্যের সংখ্যা মোট সদস্যের প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়নি।
গেল ৩ ডিসেম্বর দেশে আচমকা সামরিক আইন জারি করেন ইউন সুক। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে আচানক সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন তিনি। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। তবে, বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির এ নেতা।