পাকিস্তানের ৬০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করল বিশ্ব ব্যাংক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২৬ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানের জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন খাতের জন্য দেশটির সরকারকে যে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক, তার দ্বিতীয় কিস্তি বাতিল হয়ে গেছে। এর ফলে, ৬০ কোটি ডলারের ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অর্থ সংকটে জর্জরিত দেশটি। খবর দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পৃথিবীর বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থাটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘চলতি অর্থ বছরে পাকিস্তানকে আর কোন প্রকার বাজেট বিষয়ক ঋণ দেওয়া হবে না।’
বিশ্ব ব্যাংক যেসব শর্ত সাপেক্ষে পাকিস্তানকে এই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেসবের কোনটিই পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান সরকার।
বিশ্ব ব্যাংকের এই পদক্ষেপ অর্থ সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে হাজির হয়েছে। কারণ, বাজেট বিষয়ক ঋণপ্রাপ্তির পর নতুন আরও ২০০ কোটি ডলার ঋণের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল ইসলামাবাদের; কিন্তু বাজেট ঋণ বাতিলের জেরে নতুন ঋণের জন্য আবেদনের পরিকল্পনাও কার্যত ভেস্তে গেল দেশটির।
পাকিস্তানের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবিত এই ঋণ প্রদানের কথা ছিল বিশ্ব ব্যাংক। ২০২১ সালে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার সংক্রান্ত পাকিস্তানের সরকারি প্রকল্প অ্যাফোর্ডেবল অ্যান্ড ক্লিন এনার্জি প্রোগ্রামের (পেস) অনুমোদন দেয় বিশ্ব ব্যাংক। পাশাপাশি, প্রকল্প গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেয়। সেই ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ৪০ কোটি ডলার পেয়েছেও পাকিস্তান। চলতি ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬০ কোটি ডলার আসার কথা ছিল।
তবে, দ্বিতীয় কিস্তি প্রদানের আগে পাকিস্তানকে বেশ কয়েকটি শর্ত দেয় বিশ্ব ব্যাংক। সেসবের মধ্যে একটি শর্ত ছিল এই মুহূর্তে পাকিস্তানে যেসব বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছে পাকিস্তানের সরকার, সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তির অনুলিপি যেন বিশ্ব ব্যাংককে দেয়া হয়।
সিপিইসি নামের একটি চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে চীন। সেই চুক্তি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক। তবে, চীনের আপত্তির কারণে সিপিইসি চুক্তি সম্পর্কিত কোন তথ্য বিশ্ব ব্যাংককে দেয়নি ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানে এই মুহূর্তে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬৫-৭০ পাকিস্তানি রুপি। ফলে, দরিদ্র তো বটেই, সাধারণ মধ্যবিত্তেরও নাভিশ্বাস উঠছে এই অতিমূল্যের কারণে। দাম কমানোর জন্য ইসলামাবাদ বেসকরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, এখনও কোন ইতিবাচক ফলাফল আসেনি।