প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শ্যালিকাকে নির্মমভাবে খুন, নিথর শরীরের তিন খণ্ড উদ্ধার
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২৮ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শ্যালিকাকে নির্মমভাবে খুন করেছেন তার দুলাভাই। পরে ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নিথর শরীর দুই খণ্ড করে সিটির বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন তিনি। ভারতের পশ্চিববঙ্গের কলকাতার দক্ষিণের অভিজাত টালিগঞ্জ এলাকায় ঘটে যাওয়া এই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সংবাদ এনডিটিভি, লাইভমিন্টের।
গেল ৬ ডিসেম্বর সকালে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় একটি পলিথিন ব্যাগে কর্তিত মাথা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন এটি হয়তো পশুর দেহের অঙ্গ। কিন্তু, পরে পলিথিন খুলে ভেতরের ভয়াবহ দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে তারা আতঁকে উঠেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করে এবং সেখান থেকে শুরু হয় এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাজ।
পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও তাজা রক্তের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, ওই ৩০ বছর বয়সী ওই নারীকে হত্যার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মস্তকটি ওই স্থানে ফেলা হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ ও এলাকাবাসীর বয়ান সংগ্রহ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই নারী টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং সম্প্রতি তার দুলাভাই আতিউর রহমান লস্কর তার প্রতি অস্বাভাবিক আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন।
তদন্তে জানা গেছে, পেশায় নির্মাণশ্রমিক লস্কর প্রায়ই ওই নারীর সঙ্গে একত্রে কর্মস্থলে যাতায়াত করতেন। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হওয়ার পর ওই নারী প্রতিদিন সকালে কাজে যেতেন ও সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেন। লস্কর এই সুযোগে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু, ওই নারী স্পষ্টভাবে তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এ ছাড়া, তিনি লস্করের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন এবং তার ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। এতে লস্কর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং এই ক্ষোভ থেকেই তিনি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
গেল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাজ শেষে ওই নারী বাড়ি ফেরার সময় আতিউর তাকে জোর করে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। সেখানে তিনি প্রথমে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেন। পরে নির্মমভাবে ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন এবং তার দেহ দুই খণ্ড করেন। এই খণ্ডগুলো তিনি আলাদা আলাদা স্থানে ফেলে দেন- মাথা একটি ময়লার ভাগাড়ে, ধড় আর নিম্নাংশ একটি পুকুরের কাছে।