ইসরায়েলের হামলায় গাজায় দুই দিনে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছেই না ইসরায়েলি বর্বরতা। গত দুই দিনে দখলদার দেশটির হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এ নিয়ে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৪৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তার আগের দিন ছিটমহলটিজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা যেতে না পারায় এখনো বহু মানুষ হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। তাদের অনেকে মারা যেতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গাজার শিশুরা ‘ঠান্ডা, অসুস্থ এবং আঘাতপ্রাপ্ত’, ইউনিসেফ সতর্ক করেছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলের ৯৬ শতাংশ নারী ও শিশু শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মৌলিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অক্ষম।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থীশিবিরও।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
দখলদার দেশটির নিরলস হামলা এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৫১২ জন।