‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির ঘোষণা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার বা আটক কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য মুম্বাইয়ে ভাল ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের’ আটক রাখার জন্য মুম্বাইয়ে একটি ভাল ডিটেনশন সেন্টার বা আটক কেন্দ্র তৈরি করা হবে। কারণ, তাদের সরাসরি কারাগারে রাখা যাবে না।’
দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি যে- সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে মাদকের মামলায়, অনেকে অবৈধ প্রবেশের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি অবৈধ বাংলাদেশিরাও গ্রেফতার হচ্ছেন, তারা সকলেই বিদেশি নাগরিক ও তাদের সরাসরি আমাদের জেলে রাখা যায় না। তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে হয়, তাই বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (বিএমসি) আমাদের ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জমি দিয়েছে। কিন্তু, সেই জমি ডিটেনশন ক্যাম্পের নিয়ম মেনে চলে না। তাই, আমরা বিএমসির কাছে অন্য জমি চেয়েছি। যেন মুম্বাইয়ে একটি ভাল ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা যায়।’
এর আগে থানে পুলিশের মানব পাচারবিরোধী সেল রাজ্যটির কল্যাণে অবৈধভাবে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেফতার করে বলে কর্মকর্তারা শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন।
থানে পুলিশ জানিয়েছে, সবুজ সানোয়ার শেখ ও বিশতি সবুজ শেখ নামে এই দম্পতি অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন ও ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে থানে পুলিশের অপরাধ শাখা।
এছাড়া, তাদের আশ্রয় দেওয়া বাড়ির মালিক মোস্তফা মুন্সির বিরুদ্ধেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছেন, তা অবগত থাকা সত্ত্বেও তিনি তাদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন।