যে দেশে ইসলাম প্রচার করলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড


December 2024/Islam death.jpg

বিশাল এ বিশ্বে ১৯৩টি দেশের বৈচিত্র্যময় নিয়ম ও সংস্কৃতি। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রতিটি দেশে মুসলমানদের কম-বেশি বসবাস রয়েছে, আর মুসলিম প্রধান দেশ রয়েছে মাত্র ৫৭টি। তবে, এমন কিছু দেশও আছে, যেখানে ধর্মীয় চর্চার বিষয়ে মুসলমানদের জন্য রয়েছে সীমাবদ্ধতা এবং কখনো কখনো বাধা এত বেশি যে, সেখানে ইসলাম প্রচার করলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে, যেখানে মুসলমানদের ধর্মচর্চা বিশাল চ্যালেঞ্জ।

Your Image

ভ্যাটিকান সিটি: ভ্যাটিকান সিটি, পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র, যা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি একটি রোমান ক্যাথলিক দেশ হওয়ায়, ধর্মীয় দিক থেকে এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপস্থিতি একেবারেই সীমিত। ছোট এই দেশটিতে সরাসরি কোন ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ধর্মীয় অবকাঠামো বা মুসলিম সম্প্রদায়ের চর্চা নেই বললেই চলে।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ: প্রায় সাত লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপে মুসলিম জনসংখ্যা খুবই কম। স্থানীয় সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের জন্য মুসলিম ধর্ম প্রচারে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যদিও এখানে মুসলমানদের সংখ্যা ৭০ জনের কম এবং একটি মাত্র মসজিদ রয়েছে, যা স্থানীয়দের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হচ্ছে। মাঝে মাঝে সংস্কৃতিগত কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়, তবে সরাসরি কোন সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই।

উত্তর কোরিয়া: উত্তর কোরিয়া ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর দেশ হিসেবে পরিচিত। এখানে সরকারীভাবে ধর্ম পালনের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে এবং দেশের মানুষদের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাসকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ইসলামসহ প্রায় সব ধর্মের উপরই সরকারি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা ধর্মচর্চা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করে রাখে। তবে মৃত্যুদণ্ডের মত কোন সরাসরি শাস্তির প্রমাণ না থাকলেও, কঠোর শাস্তির সম্ভাবনা রয়েই যায়।

স্লোভাকিয়া: স্লোভাকিয়া ইউরোপের একমাত্র দেশ যেখানে কোন মসজিদ নেই। এখানে মুসলিম জনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়নি। এটি একটি খ্রিস্টানপ্রধান দেশ এবং সরকারি পর্যায়ে ধর্মীয় কার্যক্রম সীমিত রাখার কিছু বিধান রয়েছে। তবে, স্লোভাকিয়ায় সরাসরি ধর্মচর্চায় বাধা নেই এবং এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের ছোট পরিসরের ধর্মীয় চর্চা অনুমোদিত।

এই দেশগুলোতে মুসলমানদের ধর্মচর্চা সহজ নয় এবং অনেক সময় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণেই চর্চার মধ্যে বাধা আসে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব নিয়ম ও সংস্কৃতি রয়েছে, যা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ধর্মীয় স্বাধীনতা শুধুমাত্র ধারণাগত একটি বিষয় না হয়ে, অনেক দেশের জন্য এটি বাস্তবায়ন করার পথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতারও একটি প্রতিফলন।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×