বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে আর্তনাদ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীদের নির্ধারিত অস্ত্রোপচার ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল ও স্থগিত হতে শুরু করেছে। চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশি রোগীরা কলকাতার হাসপাতালে তাদের অস্ত্রোপচার বাতিল অথবা ভিন্ন গন্তব্যে চিকিৎসা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে, বহু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার কিংবা চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়ার বিষয়ে কলকাতার হাসপাতালগুলোর কাছ থেকে অনুমতি না মেলায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সংবাদ টাইমস অব ইন্ডিয়ার। কলকাতার বিখ্যাত পিয়ারলেস হাসপাতাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) থেকে অন্তত পাঁচজনের অস্ত্রোপচার বাতিল করেছে। বাংলাদেশি এই রোগীরা সেখানে ভর্তির জন্য রিপোর্ট না করায় কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুদীপ্ত মিত্র বলেন, ‘আমরা তাদের কারও কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি, তারা চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসতে পারবেন না। তারা এখন ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আরও ১৫ বাংলাদেশি রোগীর অস্ত্রোপচারের সময় নির্ধারিত রয়েছে। আমাদের সন্দেহ, এই রোগীদের কেউই ভর্তি হবেন না। আমাদের হাসপাতালে অনলাইনে পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ও বাংলাদেশি রোগীরা অনলাইনের এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত, কেউ এটি করেননি।’ কলকাতার ডিসান হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের অনেকেই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যান। এই হাসপাতালে গেল মাসে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে। তবে, এই সময়ে অন্তত ৫০ জন রোগী হাসপাতালটিতে অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হাসপাতালের পরিকল্পনা ও ভিসা আমন্ত্রণ পত্র (ভিআইএল) দ্রুত ইস্যু করা সত্ত্বেও বহু রোগীর নির্ধারিত ওপিডি অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও ভর্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসান হাসপাতালের পরিচালক শাওলী দত্ত বলেন, ‘যে রোগীরা ভ্রমণ করতে পারছেন না, আমরা বাংলাদেশে তাদের চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নেওয়ার ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসককে জানানোর পরামর্শ দিচ্ছি। পাশাপাশি, আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে অনলাইনে পরামর্শ নেওয়ার প্রস্তাব করছি। এই ভার্চুয়াল পরামর্শ পরিষেবা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে ও সময়মত পরামর্শ পেতে সাহায্য করছে।’ কলকাতার বিপি পোদ্দার হাসপাতালে ডিসেম্বরের শেষ দশ দিনের নির্ধারিত প্রায় ৫০টি অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। ক্রিসমাসের সময় বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ওই সময় বাংলাদেশি রোগীদের অনেকেই যেমন- হাঁটু প্রতিস্থাপন ও মেরুদণ্ডের মাইক্রোস্কোপিক অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করেন। বিপি পোদ্দার গ্রুপের উপদেষ্টা সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এই বছরও আমাদের ২০-৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৫০টি ‘কোল্ড সার্জারি’ সূচি নির্ধারিত ছিল। তবে, মনে হচ্ছে সবই পরবর্তী তারিখের জন্য স্থগিত করতে হবে।’ গেল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) হাসপাতালের ওপিডিতে বাংলাদেশি কোনও রোগীই ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সোমবারেও আমাদের কোন ওপিডি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেই। বর্তমানে কলকাতায় থাকা তিনজন বাংলাদেশি রোগী মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখাতে পারেন।’ হাসপাতালের গাইনোকোলজি এবং ইউরোলজি কিছু রোগীকে অনলাইনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কলকাতার মনিপাল হাসপাতালের (পূর্ব) আঞ্চলিক সিওও আয়নাভ দেবগুপ্ত বলেন, ‘মণিপালের সব হাসপাতালের ওপিডিতে বাংলাদেশি রোগীদের উপস্থিতি ও ভর্তি মারাত্মক পরিমাণে কমে গেছে। এর ফলে, হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বাতিল হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে আমাদের পুরোনো রোগীদের চিকিৎসাসেবার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন, যারা জরুরি চিকিৎসার কারণে মেডিকেল ভিসা পেয়েছিলেন, তারা এখানেও চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত নির্ধারিত কোনও অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে, অনলাইন পরামর্শ বাড়ছে।’ কলকাতার কয়েকটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘গেল আগস্টে বাংলাদেশি রোগীদের স্বাভাবিক প্রবাহ কমে যায় ও পূজার পর তা বাড়তে শুরু করে।’ কিন্তু, এখনকার মত পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন চক্রবর্তী।

কি কথা হল ট্রাম্প ও ট্রুডোর

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সীমান্ত, বাণিজ্য ও জ্বালানি নিয়ে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন তারা। সংবাদ রয়টার্সের। আগামী জানুয়ারিতে ক্ষমতা নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এরপরই তিনি কানাডা ও মেক্সিকোর আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এ ঘোষণা দেয়ার পরই এক প্রকার গোপনীয়তা অবলম্বন করে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রুডো। ওই দিন তিনি মারে-এ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশ্যভোজেও অংশ নেন। বৈঠকের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি, যেগুলো নিয়ে উভয় দেশকেই কাজ করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে মাদক সমস্যা, অবৈধ অভিবাসী ও বৈধ বাণিজ্য চুক্তি।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সংকট সমাধানে ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক্স পোস্টে ট্রুডো জানিয়েছের, ট্রাম্পে সঙ্গে কাজ করতে তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়া, নৈশ্যভোজের জন্য তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তবে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই বৈঠকের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। নাম না প্রকাশের শর্তে দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিন ঘণ্টার ওই নৈশ্যভোজটি উপভোগ্য ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে ফের ভারতীয় শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির শিকাগো শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে বন্দুকধারীদের গুলিতে তেলেঙ্গানার এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডের। নিহত শিক্ষার্থীর নাম সাই তেজা নুকারপু। তার বয়স ২২ বছর। তিনি একজন শিক্ষার্থী ও পড়াশোনার পাশাপাশি ওই পেট্রোল পাম্পে চাকরি করতেন।এসব তথ্য জানিয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির ( বিআরএস) নেতা মধুসূদন ঠাঠা।মধুসূদন ঠাঠা জানিয়েছেন, তিনি তেলঙ্গানার খাম্মাম জেলার কাছে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং সাইয়ের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার বাবা-মা জানিয়েছে যে, সাইকে যখন গুলি করা হয় তখন তিনি ডিউটিতে ছিলেন না। বরং, একজন বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য সেখানে ছিলেন, যিনি তাকে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।সাই তেজা ভারতে তার স্নাতক শেষ করেন এবং এমবিএ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে টিকে থাকার জন্য তিনি পার্টটাইমার হিসেবে পেট্রোল পাম্পে কাজ করছিলেন।মধুসূদন ঠাঠা আরও জানান, তিনি এরই মধ্যে তেলুগু অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার (টিএএনএ) সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন; যাতে মামলাটির দ্রুত সুরাহা করা যায়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে, তেলেঙ্গানার আরেক ভারতীয় শিক্ষার্থী তার জন্মদিনে ভুলবশত নিজের বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিহত হন। তার নাম আরিয়ান রেড্ডি (২৩)। তিনি জর্জিয়ার আটলান্টায় মারা গেছেন। এ দিকে, হায়দ্রবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে যে, ভারত ২০২৩-২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শীর্ষ দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানার ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়ছেন। এর মধ্যে তেলেঙ্গানার ৩৪ শতাংশ ও অন্ধ্র প্রদেশের ২২ শতাংশ।এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থী হত্যার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের জিম্মিদের নতুন ভিডিও প্রকাশ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জিম্মিদের নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার (৩০ নভেম্বর) এ ভিডিও প্রকাশ করা হয়ে। যেখানে একজন জিম্মি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। জিম্মি ইদান আলেকজান্ডারের মা ইয়েল আলেকজান্ডার বলেন, ‘তিনি সাড়ে তিন মিনিটের একটি ভিডিও থেকে কেঁপে উঠেছেন। যেখানে তার ২০ বছর বয়সী ছেলেকে দেখানো হয়েছে। একটি অন্ধকার জায়গা থেকে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিওতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের কাছে মুক্তির আবেদন জানানো হয়।’ গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আলেকজান্ডার। নেতানিয়াহুর কার্যালয় বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।’ ভিডিওটি প্রকাশ করার ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। অন্য দিকে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন সাভেট ভিডিওটিকে ‘সন্ত্রাসের নিষ্ঠুর অনুস্মারক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়, তাহলে গাজা যুদ্ধ কালই বন্ধ হবে। গাজাবাসীদের দুর্ভোগ শেষ হবে।’

ডলার নিয়ে ব্রিকসকে কঠোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো নতুন মুদ্রা আনতে চাইলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ রয়টার্সের। শনিবার (৩০ নভেম্বর) নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এ হুমকি দিয়েছেন।পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘এসব দেশের কাছ থেকে আমরা একটি প্রতিশ্রুতি চাই যে, তারা নতুন একটি ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না বা তারা এমন আর কোন মুদ্রাকে সমর্থন দেবে না, যা শক্তিমান মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপিত করবে। এই প্রতিশ্রুতি না দেয়া হলে ‘তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মোকাবিলা করতে হবে।’ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘ব্রিকস দেশগুলো তার কথা না মানলে তাদের ‘চমৎকার অর্থনীতির যুক্তরাষ্ট্রে তাদের (পণ্য) বিক্রিকে বিদায় বলার জন্য’ প্রত্যাশা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘শুষে নেয়ার জন্য তারা আরেকটি দেশকে খুঁজে দেখতে পারে।’গেল ৫ নভেম্বরের ভোটে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, শিল্প উৎপাদনব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে তিনি যে কোন আমদানি পণ্যের ওপর ১০-২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন। আর চীনের পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কের হার হবে অন্তত ৬০।গেল অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে ডলারের পরিবর্তে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা, যার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিশর, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন বাড়ানো ও স্থানীয় মুদ্রাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্মেলনে ‘ব্রিকস ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ ও স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের সুবিধা নিশ্চিত করা নিয়ে একটি যৌথ ঘোষণা গৃহীত হয়।

কাশ প্যাটেলকে এফবিআইয়ের প্রধান করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অনুগত কাশ প্যাটেলকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরবর্তী ডিরেক্টর করার লক্ষ্য নির্বাচিত করেছেন। তিনি শনিবার (৩০ নভেম্বর) বলেন, এই পদক্ষেপের অর্থ সংস্থার বর্তমান নেতাকে প্রতিস্থাপন করা হবে।’ সংবাদ এএফপির। কট্টরপন্থী রিপাবলিকানরা বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, পক্ষপাতদুষ্ট সরকারী আমলাদের একটি কথিত ‘ষড়যন্ত্র’ পর্দার আড়াল থেকে ট্রাম্পকে দমিয়ে রাখতে কাজ করেছে। এফবিআইয়ের বর্তমান পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে ২০১৭ সালে দশ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত হন, যার অর্থ তাকে হয় পদত্যাগ করতে হবে বা বরখাস্ত করা হবে। ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, ‘কাশ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী, তদন্তকারী ও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা, যিনি তার কর্মজীবন দুর্নীতির প্রকাশ, ন্যায়বিচার রক্ষা এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য ব্যয় করেছেন।" ট্রাম্প বলেছেন, ‘কাশ আমার প্রথম মেয়াদে একটি অবিশ্বাস্য কাজ করেছে।’ ‘তিনি আমেরিকাতে ক্রমবর্ধমান অপরাধের মহামারী শেষ করতে, অভিবাসী অপরাধী চক্রগুলিকে ধ্বংস করতে এবং সীমান্তের ওপারে মানব ও মাদক পাচারের দুষ্ট দুর্যোগ বন্ধ করতে কাজ করবেন।’ ট্রাম্প ক্রোনিস্টারকে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (ডিইএ) প্রশাসক হিসেবে ফ্লোরিডার শেরিফ চাদকে মনোনীত করেছেন।

থাই নৌকায় মিয়ানমারের গুলি, জেলে নিহত

মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরার অভিযোগে থাইল্যান্ডের ১৫টি মাছ ধরার ট্রলারে গুলি করেছে দেশটির নৌবাহিনী। মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে থাইল্যান্ডের এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডুবে মারা গেছেন। আটক করা হয়েছে ৩১ জেলেকে। খবর রয়টার্স ও ব্যাংকক টাইমসের। শনিবার মিয়ানমারের জলসীমার সাত দশমিক চার থেকে ১০ দশমিক ছয় কিলোমিটার ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। মুখপাত্র থানাটিপ সাওয়াংসাং এক বিবৃতিতে জানান, মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ১৫টি থাই মাছ ধরার ট্রলারের মধ্যে দু’টিতে গুলি করা হয়। ঘটনার সময় তিনজন জেলে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদের মধ্যে একজন ডুবে মারা যান আর থাই নৌবাহিনী বাকি দুইজনকে উদ্ধার করে। নৌকাগুলোর একটিতে ৩১ জন জেলে ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। থাই নৌবাহিনী তাদের মুক্তির জন্য আলোচনা করছে বলে সাওয়াংসাং জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকনডেস বালানকুরা জানান, তাদের মন্ত্রণালয়ও জেলেদের মুক্তির জন্য মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইনের কোনো লঙ্ঘন ঘটেছে কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখছে। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রানোং প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের জলসীমা আছে। এই প্রদেশটির মৎস বিভাগ থাই মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে ওই জলসীমার কাছ দিয়ে চলাচলের সময় সতর্ক থাকতে বলেছে। ২০২১ সালে নির্বাচিত একটি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সংকটে আছে মিয়ানমার। জান্তা ব্যাপক রক্তপাতের মধ্য দিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ দমন করার পর থেকে দেশটিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায়  ৫০ শিশুসহ নিহত ৮৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ১০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে প্রাণহানির মোট সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া গেল বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক গাজাবাসী। রোববার (১ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। একক এই বিমান হামলাতেই কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে শনিবার ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ জনে পৌঁছেছে। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি এবং ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন ও সেভ দ্য চিলড্রেন-এর চারজন কর্মী নিহত হন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৩৮২ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৫ হাজার ১৪২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলেল সন্ত্রাসী হামলায় গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

তাইওয়ানের কাছে সাড়ে ৩৮ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

তাইওয়ানের কাছে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ও রেডারের ৩৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের খুচরা যন্ত্রাংশের সম্ভাব্য বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে শনিবার (৩০ নভেম্বর) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক স্পর্শকাতর সফর শুরু করার এক দিন আগে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি অনুমোদনের কথা জানিয়েছে। সংবাদ রয়টার্সের। যুক্তরাষ্ট্রে ও তাইওয়ানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু, তা সত্ত্বেও চীনের মালিকানা দাবি করা দ্বীপ তাইওয়ানের আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আইনত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বাধ্য। এই বিষয়টি ক্রমাগতভাবে চীনের ক্ষোভের কারণ হচ্ছে। চীন দ্বীপটির ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে এলেও তাইওয়ান তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বৃদ্ধি করে আসছে চীন। চলতি বছর এ পর্যন্ত দ্বীপটির আশপাশে দুই বার সামরিক মহড়া চালিয়েছে তারা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লাই চিংয়ের সফরকালে চীন এ ধরনের আরও মহড়া চালাতে পারে বলে নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সফরকালে লাই চিংয়ের যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ও গুয়ামে থামার কথা রয়েছে। পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, এই বিক্রির মধ্যে ৩২ কোটি ডলারের এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপাদান এবং অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারি রেডারর্স ও সম্পর্কিত সরঞ্জাম আছে। পেন্টাগন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাইওয়ানের কাছে ছয় কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যমানের উন্নত মোবাইল গ্রাহক সরঞ্জামের সম্ভাব্য বিক্রিও অনুমোদন করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তারা আশা করছে, এক মাসের মধ্যেই এই বিক্রি কার্যকর হবে আর ওই সরঞ্জামগুলো এফ-১৬ বহরের প্রস্তুতাবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করবে, এর মাধ্যমে ‘বিশ্বাসযোগ্য একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলা যাবে’।’ বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ‘তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা অব্যাহত রাখবে এবং তাইওয়ান প্রণালী ও ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে।’ গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে সম্ভাব্য ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে প্রথম বারের মত ইউক্রেইনের যুদ্ধে পরীক্ষা করা অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম তাইওয়ানকে সরবরাহের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লাই চিং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, টুভালু ও পালাউ যাওয়ার পথে শনিবার (৩০ নভেম্বর) হাওয়াইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাইওয়ানের সঙ্গে যে ১২টি দেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনও বজায় আছে, তার মধ্যে এই তিনটি দেশও আছে। পথে তিনি গুয়ামেও যাত্রাবিরতি করবেন। হাওয়াই ও গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি আছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ অনুশীলন করার আহ্বান জানিয়েছে চীন।

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় পড়ল বাস, প্রাণ গেল চারজনের

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তা নদীর খাদে গিয়ে পড়েছে যাত্রীবাহী একটি বাস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বাসের আরও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের উদ্দেশে রওনা দেয় বেসরকারি এই বাসটি ৷ জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং ও সিকিম সীমান্তে রংপুর কাছে ভোটেভিরে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় পড়ে যায় বাসটি। তবে, জলস্তর কম থাকায় তিস্তার পাড়ের বাসটি আছাড় খায়। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। কালিম্পংয়ের জেলা প্রশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘উদ্ধার কাজ চলছে। এখনো পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। প্রায় ২০ জনের বেশি মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

শুল্কারোপের হুমকিতে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যুক্তরাষ্ট্রে জাস্টিন ট্রুডো

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন তিন দেশের নেতারা। সম্প্রতি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি দুই ঘনিষ্ট প্রতিবেশি রাষ্ট্র কানাডা ও মেক্সিকোসহ চীনের রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তার এই ঘোষণার সাথে তিনটি দেশই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সংবাদ এএফপির। চীন ইতোমধ্যে রপ্তানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। একইভাবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম ও অর্থমন্ত্রী এব্রার্ড পাল্টা শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পাম বিচে পৌঁছেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, ‘তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার মার-এ-লোগো বিলাসবহুল এস্টেটে বৈঠক করবেন।’ এ দিকে, কানাডিয়ান সরকারি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ সিবিসি জানিয়েছে, ট্রুডোর সঙ্গে তার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক ও রয়েছেন। ট্রুডো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিবেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে তার অঘোষিত সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ট্রাম্প গেল সোমবার (২৫ নভেম্বর) কানাডাজুডে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে দঃখজনক বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি যখন প্রতিবেশি কানাডা ও মেক্সিকো এবং চীনের বিরুদ্ধে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন, তখন তিন দেশেই অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার রপ্তানির পরিমাণ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি। যার পরিমাণ ৪২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কানাডার রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করছে প্রায় ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান। এ দিকে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছে। জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এই ধরনের বিবৃতি দেন, তখন তিনি সেগুলো বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।’

চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খনির সন্ধান

চীনের হুনান প্রদেশে পৃথিবীল সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। খনিটিতে এক হাজার টনের বেশি স্বর্ণ মজুদ রয়েছে বলে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। হুনানের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রদেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পিংজিয়াং কাউন্টিতে সন্ধান পাওয়া স্বর্ণের খনিতে যে পরিমাণ মজুদ রয়েছে, তার দাম আনুমানিক ৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান। এর আগে আবিষ্কৃত খনিগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ খনিতে সর্বোচ্চ ৯৩০ টন স্বর্ণ পাওয়া গেছে। চীনের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর বিশেষজ্ঞ চেন রুলিন রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘খননের সময় বহু জায়গায় স্বর্ণ দেখতে পেয়েছেন তারা।’ খননের কাজে যুক্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, খনির দুই হাজার মিটার গভীরে ৪০টি গোল্ড ভেইনস বা স্বর্ণের আকরিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে প্রায় ৩০ টন সোনা মজুত রয়েছে। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দেখা গেছে, আরও গভীরে তিন হাজার মিটারে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আছে। এ আবিষ্কার চীনের স্বর্ণখাতে যেমন বড় প্রভাব ফেলবে, তেমনি এতে দেশটির খনিশিল্প ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্কারোপে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে চার লাখ আমেরিকান

নতুন নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছে মেক্সিকো। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম ও অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ক্লোদিয়া শেইনবাউম বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক আরোপ করে, তাহলে মেক্সিকোও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই চীন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তারই উত্তরে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।’ মার্সেলো এব্রার্ড বলেছেন, ‘নতুন এই শুল্কযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলবে।’ মেক্সিকোতে উৎপাদিত গাড়ি নির্মাতাদের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার লাখ মানুষ চাকরি হারাবে। শুধু কর্মসংস্থানই নয়, ভোক্তাদের ওপরও এই শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে বলে মেক্সিকান অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পিকআপ, ট্রাক মেক্সিকোতে তৈরি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক আরোপ করা হলে প্রতিটি গাড়ির দাম তিন হাজার ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।’ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ‘নিজের পাঁয়ে কুড়াল মারার মত অবস্থা হবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ট্রাম্প বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি তিন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করবেন।’ অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার রোধে ব্যর্থতার জন্য তিনি এমন পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন। তার দাবি, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন শিল্প আরো শক্তিশালী হবে। অবশ্য অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ক্লোদিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। অপর দিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দুই দেশের দীর্ঘ দিনের সম্পর্কেও ওপর গুরত্বারোপ করেছেন।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি

রিপাবলিকানদের পর এবার বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের পাঁচ ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা। বিবৃতিতে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নতুন নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার জন্য বাছাইকৃত একাধিক সদস্য গেল মঙ্গল (২৬ নভেম্বর) ও বুধবার বোমা হামলার হুমকি পান। এ ঘটনা নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে ঠিক তখনই একইরকম হুমকি পেলেন কয়েকজন ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা।বিবৃতিতে হুমকি পাওয়ার কথা জানান তারা। হুমকি পাওয়া আইনপ্রণেতারা হলেন রিপ্রেজেন্টেটিভ জিম হিমস, জাহানা হেজ, জন লারসন, জো কার্টনি ও সিনেটর ক্রিস মরফি।জানা যায়, কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের ওই আইনপ্রণেতার বাড়ির মেইলবক্সে পাইপ বোমা রেখে যাওয়ার কথা বলে তাদেরকে ইমেইল পাঠানো হয়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে কোন বিস্ফোরক খুঁজে পায়নি। তবে, রহস্য উদঘাটনে এখনো তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ।হুমকি দেয়া হলেও অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটবে না এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জিম হিমস। তিনি বলেন, ‘এ দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কোন স্থান নেই।’এর আগে গেল মঙ্গল ও বুধবার (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরবর্তী প্রশাসনে মন্ত্রী পদে মনোনয়ন পাওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও তার হোয়াইট হাউস দলের একাধিক সদস্যকে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়।দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই বলেছে, ‘তারা বেশ কিছু বোমা হামলার হুমকি এবং এ-সংক্রান্ত ভুয়া ফোনকলের তথ্য পেয়েছে। টার্গেট ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ জড়ো করার জন্য এসব ভুয়া কল করা হয়েছিল।’ট্রাম্পের হবু প্রশাসনের প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত ব্যক্তিসহ অন্তত নয়জনকে হুমকি দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিও আছেন।

শপথ নেয়ার পূর্বেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন আগামী ২০ জানুয়ারি। তবে, নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের পূর্বেই ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চান রিপাবলিকান দলের এই নেতা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিবিদ লিন্ডসে গ্রাহাম সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।লিন্ডসে গ্রাহাম এই সপ্তাহে ইসরাইল সফর করেছেন। সেখানে তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য শনিবার (৩০ নভেম্বর) হামাসের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো সফর করার কথা রয়েছে। এর মধ্যেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের মনোভাব জানা গেল।যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম এক্সিওসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রাহাম বলেন, ‘গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি ও সেখানে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প আগের চেয়ে বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি তিনি চাইছেন, প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই যেন এ ব্যাপারে সুরাহা হয়।’তিনি বলেন, ‘আমি ইসরাইলি সরকার ও জনগণকে বলেছি, এই মুহূর্তে ট্রাম্প জিম্মিদের মুক্তির ইস্যুটি মনযোগের কেন্দ্রে আনতে চাইছেন। তিনি চান হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক ও লড়াই শেষ হোক। আমি আশা করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসন জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে একসাথে কাজ করবে।’যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে লেবাননে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধ বন্ধে মনোযোগী হয়।গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবীহিন হামলা চালিয়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস। এছাড়া, দুই শতাধিক নাগরিককে আটক করে গাজায় নিয়ে আসে। এখনো হামাসের হাতে শতাধিক জিম্মি আটক রয়েছে।

বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা দিবে না কলকাতার হাসপাতাল

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কলকাতার মানিকতলার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা দিবে না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া জেএন রায় হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশিরা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করছেন, এজন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত ভারতীয় নিউজ সংস্থা পিটিআইকে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বলেন, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তারা ভারতের প্রতি অসম্মান জানিয়েছে।’ এই কর্তকর্তা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে, এজন্য তিনি অন্যান্য হাসপাতালকেও একই পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।এই ব্যক্তি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে ভারত বিরোধীতা বাড়ছে। আমরা আশা করছি অন্যান্য হাসপাতালগুলোও একই পদক্ষেপ নিবে।

উত্তর গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ১০০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় এই বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার দেশটি। এর মধ্যে উত্তরের বেইত লাহিয়ার দুটি বাড়িতে বিমান হামলায় ৭৫ জন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার। হামলার ঘটনায় এখনো অনেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার স্থানীয় লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষুধা ও দুর্ভোগ চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৩৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৭০ জন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর

ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেশটির সরকারের। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগ এনে লোকসভায় করা পাঁচটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা বলেন এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে চলতি বছরের আগস্টসহ বিভিন্ন সময়ে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর ওপর সহিংসতার খবর দেখেছে ভারত সরকার। তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। চলতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঢাকার তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে চুরির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। এসব ঘটনার পর বিশেষ নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন। সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন রক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রাথমিক দায়িত্ব দেশটির সরকারের। এদিকে, এদিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারের ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে দিল্লিতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানে উপস্থিত অধিকাংশ সাংবাদিকই বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং এক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ভারত কী করছে জানতে চান। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকি এবং হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে শক্তভাবে সার্বক্ষণিক উত্থাপন করছে ভারত। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিতের যে দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে সেটি তারা পালন করবে।’ বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি এবং ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেফতার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা আশা করি তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে সেটি স্বচ্ছ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তার যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে তিনি পাবেন।’ উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে বেশ কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা হয়। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা ডিবি। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেখানে আদালত প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

সংখ্যালঘু ও ইসকন ইস্যুতে আবারও মুখ খুলল ভারত

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) নেতা ও সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের ঘটনায় বাংলাদেশ ছাড়িয়ে আলোচনা হচ্ছে ভারতে। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে বলেও প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। এমনকি দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ ইস্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। আবারও এসব বিষয়ে কথা বলল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত অধিকাংশ সাংবাদিকই বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং এক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ভারত কী করছে জানতে চান। এসব প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকি এবং হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে শক্তভাবে সার্বক্ষণিক উত্থাপন করছে ভারত। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিতের যে দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে সেটি তারা পালন করবে।’ বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি এবং ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেফতার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা আশা করি তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে সেটি স্বচ্ছ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তার যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে তিনি পাবেন।’ এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও তার জামিন নাকচ হওয়ার ঘটনাটি হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর উগ্রপন্থীদের হামলার ধারাবাহিকতায় ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া, লুটপাট ও মন্দিরে ভাঙচুরের অনেক ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে।ভারত বলছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের বৈধ দাবিগুলো তুলে ধরায় একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিবৃতিতে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আরজি জানানো হয়।উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে বেশ কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা হয়।গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা ডিবি। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেখানে আদালত প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

হ্যাকারের কবলে ব্যাংক অব উগান্ডা, ১৭ মিলিয়ন ডলার চুরি

উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছে হ্যাকাররা। দেশটির রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংবাদপত্র নিউ ভিশনের বরাতের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকাররা নিজেদের ‘ওয়েস্ট’ বা আবর্জনা নামে অবিহিত করেছে। তারা ব্যাংক অব উগান্ডার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থায় ঢুকে অবৈধভাবে ১৬.৮ মিলিয়ন ডলার বা ৬২ বিলিয়ন উগান্ডার শিলিং ট্রান্সফার করে। সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, এই হ্যাকার গোষ্ঠীটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভিত্তিক। ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে নিউ ভিশন জানায়, চুরি করা অর্থ জাপান ও ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। তবে চুরি যাওয়া অর্থের অর্ধেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হ্যাকারদের কাছ থেকে সফলভাবে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। অর্থ চুরির এই ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউওয়েরি মুসেভেনি এ বিষয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। উগান্ডার স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য মনিটর তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উগান্ডা জাপানি কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার অনুরোধ করলেও জাপান জানিয়েছে বিষয়টি এখন কিছুটা জটিল হয়ে গেছে। কারণ স্থানীয় ব্যাংক, যার মাধ্যমে ভুয়া ওয়্যার ট্রান্সফারটি করা হয়েছিল, ব্যাংক অব উগান্ডার অনুরোধ অগ্রাহ্য করেছে। তাদের বক্তব্য উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার সিন্ডিকেটটি প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র দিয়েই ৬ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করেছে। তবে ইংল্যান্ডের স্থানীয় ব্যাংক উগান্ডার সেন্ট্রাল ব্যাংকের অনুরোধে ৭ মিলিয়ন ডলার ফ্রিজ করেছে, যা এখন কাম্পালায় কর্মকর্তারা পুনরুদ্ধার করা টাকা হিসেবে প্রচার করছেন। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতরা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন শিলিং ট্রান্সফার করেছে। তদন্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ব্যাংক অব উগান্ডা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মোট ১৭ জন কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো।

ভারী তুষারপাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫

ভারী তুষারপাতে দক্ষিণ কোরিয়ার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনে দেশটির রাজধানী সিউলসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ৪০ সেন্টিমিটারেরও বেশি তুষারপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী তুষারপাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাপক তুষারপাতের কারণে দেড় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল ও ফেরি চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১২শর বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির পুলিশ জানিয়েছিল, গ্যাংওয়ান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর ওনজুতে একটি মহাসড়কে ৫৩টি গাড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কোনো মৃত্যু হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। সাধারণত তুষারপাতের পরবর্তী সময় শীতের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রিতে নেমে আসবে আর এতে অসহনীয় শীত অনুভূত হবে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোর থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জন নিহত এবং আরও ৫৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সর্বশেষ হতাহতের ঘটনার পর গাজায় ইসলায়েলি বাহিনীর হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩০ জনে। এছাড়াও মোট আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩৩ জনে। “তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়েছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।” উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে দখলদার ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি নিখোঁজ!

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলেল প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সহধর্মিণী বুশরা বিবি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দলটির বিক্ষোভের পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। খবর দ্য ডেইলি গার্ডিয়ান ও রিপাবলিকের। পিটিআইয়ের ওই বিক্ষোভে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশের অভিযানে ওই বিক্ষোভ শেষ হয়ে যায়। এরপরই পিটিআই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। যাতে দলটির শীর্ষ নেতা ও খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরও উপস্থিত ছিলেন। তবে, সেখানে বুশরা বিবির অনুপস্থিতি সন্দেহ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে। পিটিআইয়ের নেতা মরিয়ম ওয়াত্তু অভিযোগ করে বলেন, ‘বুশরা বিবিকে অপহরণ করা হয়েছে।’ যদিও দলের অন্য নেতারা এই দাবি নিশ্চিত করেননি। মানসেহরায় উপস্থিতির খবর: এরই মধ্যে সংবাদ আসে যে, গান্দাপুর সরকারি অভিযান এড়িয়ে বেরিয়ে গেছেন এবং পরে বুশরা বিবির সঙ্গে তাকে কেপির পিটিআই-প্রভাবিত মানসেহরায় দেখা গেছে। পিটিআই বিক্ষোভের সমাপ্তি ও সহিংস অভিযানে হতাহতের দাবি: বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসলামাবাদে মধ্যরাতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষে পিটিআই তাদের বিক্ষোভ সমাপ্তির ঘোষণা করে। এই অভিযানে অন্তত চারজন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। পিটিআই দাবি করেছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক সমর্থক নিহত হয়েছেন। ‘রেড জোন’-এ সহিংসতা: ওই দিন ইসলামাবাদের ‘রেড জোন’-এর উচ্চ নিরাপত্তা এলাকার ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। এর ফলে, চারজন নিরাপত্তা কর্মী ও দুই পিটিআই সমর্থক নিহত হন। এ দিকে, বুশরা বিবির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সরকার ও পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য না আসলেও, সেখানকার পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত

তরুণীকে খুনের পর দেহ ৫০ টুকরো করে ফেলে দেয়া হয় জঙ্গলে

পশ্চিমা দেশগুলোতে লিভ ইন রিলেশনশিপ বা বিয়ে ছাড়াই একত্রে বসবাস হরহামেশাই লক্ষণীয়। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিয়ের আগে নারী-পুরুষ ভাল বোঝাপড়ার জন্য একসঙ্গে থাকাই মূলত লিভ-ইন-রিলেশনশিপ। সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মত প্রতিবেশী ভারতের ঝাড়খণ্ডেও লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকার প্রবণতা দেখা যায়। এ নিয়ে সম্প্রতি সেখানে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংবাদ এনডিটিভির। গেল কয়েক বছরে দেশটিতে লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকাবস্থায় একাধিক হত্যাকাণ্ড সামনে এসেছে। সবশেষ রোববার (২৪ নভেম্বর) ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। যেখানে সঙ্গীকে খুনের পর লাশ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলা দেয়া হয়। এর আগে, ২০২২ সালে ভারতের দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যার ঘটনা ঘটে। সে সময় শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেন আফতার পুনেওয়ালা। ওই বছরের মে মাসের এ হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর। এর এক বছর পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতেও ভারতে লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকা সঙ্গীকে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। দিল্লিতে সাহিল গেহলট নামে যুবকের সঙ্গে এ সম্পর্কে ছিলেন নিকি যাদব নামে এক তরুণী। কলহের জেরে নিকিকে হত্যার পর দেহটিকে টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ গেল রোববার (২৪ নভেম্বর) ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলায় ফের এমন ঘটনা সামনে এসেছে। ২৫ বছর বয়সী নরেশ ভেংরা গোপনে বিয়ের পর লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকা সঙ্গীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ টুকরো টুকরো করেন। এরপর বন্যপ্রাণীদের খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে মৃতদেহের অংশগুলো ফেলে দেন জঙ্গলে। রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলায়। গেল ৮ নভেম্বর এ হত্যাকাণ্ড ঘটলেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, যখন একটি কুকুর খণ্ডিত মৃতদেহের কিছু অংশ খুঁজে পায়। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নরেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ভারতের তামিল নাড়ুর ২৪ বছর বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন নরেশ। মাঝখানে ঝাড়খণ্ডে ফিরে এক নারীকে বিয়েও করেন। তবে, বিয়ের বিষয়ে প্রেমিকা কোনকিছুই জানতেন না। কিন্তু, বিয়ের পর ফের ঝাড়খণ্ড থেকে প্রেমিকার কাছে ফিরে আসেন তিনি। সবশেষ গেল ৮ নভেম্বর পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নরেশ তার প্রেমিকাকে একটি অটোরিকশায় করে বাড়ির কাছের একটি জঙ্গলের পাশে নিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে প্রেমিকাকে অপেক্ষা করতে বলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসার পর তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে খুন করেন। পরে মৃতদেহ একে একে ৪০-৫০ টুকরো করেন। এরপর খণ্ডিত অংশগুলো বন্যপ্রাণীদের খাওয়াতে ফেলে দেন জঙ্গলে। পরবর্তী রোববার (২৪ নভেম্বর) একটি কুকুর খণ্ডিত মৃতদেহের কিছু অংশ খুঁজে পেলে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে ওই তরুণীর শরীরের টুকরো করা অংশ উদ্ধার করা হয়। একই সময় একটি ব্যাগও উদ্ধার হয়। যার মধ্যে থাকা আধার কার্ডের সূত্র ধরে ওই তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়। পরবর্তী অভিযুক্ত নরেশকে গ্রেফতার করা হয়। এমন সব ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে লিভ ইন রিলেশনশিপ কি অপরাধ প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে?