পেঁয়াজের বিকল্প কী হতে পারে?

এখন অব্দি থেমে থেমে বাজারে ঝাঁজ বাড়িয়েছে পেঁয়াজ। এতে চড়া মূল্যের কারণে রান্নাঘরে হাহাকারসহ পাড়া-মহল্লা- রাষ্ট্রে পেঁয়াজ নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। রান্নার খাবার সুস্বাদু করতে পেঁয়াজ ছাড়া ভাবাও যায় না। কিন্তু এই উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে বিকল্প কিছু চিন্তা করা মন্দ নয়। রান্নায় পেঁয়াজের বিকল্প হতে পারে পেঁয়াজ কলি, কাঁচা পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটোর রস, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন। কাঁচা পেঁপেকে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। আজকাল অনেক দোকানেই চপ, শিঙারা ও মোগলাইয়ের সঙ্গে সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপের কুচি দেওয়া হয়। এই পেঁপে যকৃতের স্বাস্থ্য ও পেটের সমস্যা, হৃদ্‌রোগের জন্য খুবই উপকারী। ক্যাপসিকাম খাবারের স্বাদ বাড়ায়। ভাজি, মাছ বা মাংসের ঝোলে ক্যাপসিকামের ঝাঁঝালো স্বাদ ও গন্ধ দারুণ। টমেটো ভাঁপ দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে পেস্ট করে রান্নার সময় পেঁয়াজের পরিবর্তে ব্যবহার করলে রান্না করা খাবার অতি সুস্বাদু হয়। মাছ, মাংস, এমনকি সবজিও টমেটো পেস্ট দিয়ে রান্না করলে তরকারির রং খুব সুন্দর হয়। মিষ্টি কুমড়া গ্রেটার দিয়ে কুচি করে একইভাবে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে তরকারিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ঢাকাওয়াচ/স

শীতে ত্বকের রুক্ষতায় নারকেল তেল

শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তা খসখসে প্রকৃতির হয়ে যায়। এই সমস্যা সবচেয়ে সহজে দূর করতে পারে নারকেল তেল। জেনে নিন নারকেল তেলের গুণাগুণ: নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড- ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার কাজ সবচেয়ে সহজে করতে পারে নারকেল তেল। এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। নারকেল তেলের এই উপকরণ ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শীতের সময়ে দূষণের মাত্রাও অতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে ত্বকের ওপর একটা স্তর বা আবরণ দেখভালের জন্য রাখতে পারলে ভালো। যদি আপনি নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করেন তাহলে ত্বকের ওপর একটি আবরণ বা আস্তরণ তৈরি হবে। এটি কাজ করবে একটি প্রোটেক্টিভ লেয়ার হিসেবে। আপনার ত্বককে রক্ষা করবে ধুলোবালি, ময়লা থেকে। নারকেল তেল দূর করে বলিরেখার সমস্যা- ত্বকের সঠিকভাবে পরিচর্যা না হলে অকালেই দেখা দেবে রিঙ্কেলস বা বলিরেখার সমস্যা। এই সমস্যা দূর করার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে সুবিধা হলো এই তেলের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে ম্যাসাজের প্রয়োজন নেই। শুধু নারকেল তেল দিয়েই ম্যাসাজ করলেই উপকার পাবেন। বলিরেখার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি নারকেল ত্বকের একদম গভীর স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করে ময়শ্চার লক করে। তার ফলে শীতের রুক্ষ, শুষ্ক আবহাওয়াতেও আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল এবং মোলায়েম। ত্বকের র‍্যাশ দূর করে নারকেল তেল- নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। তার ফলে ত্বকের কোনও র‍্যাশ, অ্যালার্জি ইত্যাদি কমাতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। শীতকালে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। এর ফলে জ্বালাভাব অনুভব করা যায়। নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন। তবে যাদের ত্বক সেনসিটিভ এবং র‍্যাশ, ব্রন, অ্যালার্জি ইত্যাদির সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দেয় তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে নারকেল তেল বা কোনও উপকরণই ব্যবহার করা উচিত নয়। নারকেল তেল ভালো রাখে স্কিন টেক্সচার- ত্বকের গঠন অর্থাৎ স্কিন টেক্সচার ভালো রাখতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকে মোলায়েম ভাব বজায় থাকে। তবে যাদের ত্বকের ব্রন এবং র‍্যাশের সমস্যা রয়েছে, যাদের ত্বক সেনসিটিভ এবং অয়েলি স্কিন- তারা নারকেল তেল ব্যবহার না করাই ত্বকের পক্ষে ভালো। ঢাকাওয়াচ/স

রান্নার জন্য কেটে রাখা সবজি দীর্ঘদিন টাটকা রাখবেন যেভাবে

মশলা বাটা থেকে আনাজ কাটা, সবটাই নিজের হাতে করেন অনেকে। আবার বাইরের দায়িত্বও সামলাতে হয়। সব কিছু একা হাতে সুষ্ঠু ভাবে সামলানোর জন্য বুদ্ধি খরচ করতেই হয়। অনেক তাই বাজারে গেলে একেবারে সব কিনে আনেন, বেশি করে রান্না করে রাখেন, অনেকে আবার সবজি কেটেও রাখেন। রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে। কিন্তু কাটা সবজি ফ্রিজে রাখলেও অনেক সময় শুকিয়ে যায়। সেগুলি দীর্ঘ দিন টাটকা এবং তাজা রাখবেন কী ভাবে? ১) সবজি কাটার পর শুকনো পাত্রে রেখে দিন সেগুলি। বেশি দিন রাখতে চাইলে সব সময় শুকনো কৌটো কিংবা কোনও পাত্রে রাখুন। পানি লাগলে সবজি বেশি দিন টাটকা, তাজা রাখা যাবে না। ২) সমস্ত সবজি আলাদা আলাদা পাত্রে কেটে রাখুন। কুমড়ো, পেঁয়াজকলি, বিন্‌স, গাজর— সব কিছু আলাদা আলাদা পাত্রে রাখুন। টমেটো আর শাক ভুলেও একই পাত্রে রাখবেন না। ৩) কাটার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। তবে সবজি কাটার পর আর ধোয়া যাবে না। কারণ, ধোয়ার পর রেখে দিলে সবজি নিজস্ব আর্দ্রতা চলে যায়। নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তা ছাড়া সবজিগুলি একটা জিপলক ব্যাগে ভরেও রাখতে পারেন। রান্নার জন্য কেটে রাখা সবজি দীর্ঘদিন টাটকা রাখবেন যেভাবে সকালের নাস্তা এড়িয়ে যেসব বিপদ ডেকে আনছেন ৪) বায়ুনিরোধক বাক্সে কাটা সবজিগুলি ভরে রাখুন। কেটে রাখা সবজিগুলি হাওয়ার সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যে হেতু বেশ কিছু দিন সংরক্ষণের পরিকল্পনা আছে, তাই এমন পাত্রে রাখাই শ্রেয়। ঢাকাওয়াচ/স

কে হতে চান ‘সেরা রাঁধুনী’

জীবনে ভালো থাকা ও বেঁচে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন শখের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শখের কাজ করার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সঙ্গে নিজে নিজে মোকাবিলা করতে শেখে এবং নিজের ও জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে। শখের বিষয়বস্তু বিভিন্ন রকম হতে পারে। নাচ-গান করা, কবিতা বা গল্প-উপন্যাস পড়া ও লেখা, দেশ-বিদেশের খাবার রান্না করা ও খাওয়া, খাওয়ানো, ফ্যাশন ডিজাইনিং, মেকাপ আর্ট করা, বাগান করা, ভ্রমণ, নাচ, চিত্রাঙ্কন, শরীর চর্চা, খেলাধুলা করা ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের কাজ শখের বিষয়বস্তু হতে পারে। শখকে মাথায় রেখে নারী কেন্দ্রীক বিশেষ ম্যাগাজিন ‘ওমেন বাংলাদেশ’ মে মাসের সংখ্যা সাজাতে যাচ্ছে ‘শখের রেসিপি’ দিয়ে। কথায় বলে না শখের তোলা আশি টাকা। তো প্রিয় শখের খাবার রান্না করে শখ মেটানোর পাশাপাশি রান্নায় শ্রেষ্ঠ অবদানের জন্য আপনিও হতে পারেন শ্রেষ্ঠ ‘কালিনারী কুইন’। রন্ধনশিল্পে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সেরা ১০ জনকে সম্মননা জানাবে ‘ওমেন বাংলাদেশ’। জমকালো আয়োজনের মধ্যেদিয়ে সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সম্মাননা স্মারক ও মূল্যবান পুরস্কার। এছাড়া বর্ণীল ম্যাগাজিনে ছাঁপানো হবে আপনার রেসিপি। অনুষ্ঠানে তারকা, রন্ধন বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন শোবিজের বরেণ্য শিল্পীরা। কালিনারী কুইন’ অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার থাকবে ‘যমুনা টিভি’ নেক্সাস টিভি, ‘দৈনিক সমকাল’ দৈনিক দেশ রূপান্তর, ইংরেজি পত্রিকা ‘ডেইলি এশিয়ান এইজ’ পিআর পার্টনার হিসেবে থাকবে ‘টপ চয়েস পিআর। তো আর দেরি না করে আজই পাঠিয়ে দিন আপনার প্রিয় শখের রেসিপির ছবি বর্ণনা। রেজিস্টেশন চলবে ৫ মে পর্যন্ত হট- লাইন: 880 1762-548414, 01675123851 ইমেল- babulreday@gmail.com প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঢাকাওয়াচ/স

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

ডেস্কঃ ধানমন্ডির ওমেন ভলান্টিয়ারি এসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে ৭ জানুয়ারি শনিবার বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না, ১০০ রেসিপি চতুর্থ খণ্ড বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এমপি, বিশেষ অতিথি জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মারুফ, বাংলাদেশ কুকিং এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা। নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে- টপার কিচেনওয়্যার এবং সেভরি ফুড লিমিটেড। রন্ধনশিল্পীরা বইটির সম্পাদক, অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অতিথিবৃন্দের জন্য পিঠা, কেক, মিষ্টিসহ বিভিন্ন পদের খাবারের ডালা নিয়ে এসেছিলেন। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজক নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। প্রকাশনা অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছিল রন্ধনশিল্পীদের শিল্পীদের মিলনমেলায়।  সারাদেশের ৪০ জন রন্ধনশিল্পীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্মাননা। সোনিয়া সিমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শারমিন সেলিম তুলি বক্তব্যে বলেন- ‘বাংলাদেশের তৃণমূলে যে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তার প্রমাণ আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নারীরা। তারা শুধু নিজেরা পরিশ্রম করে রেসিপি সংগ্রহ করে বসে থাকেনি, তা প্রকাশ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আয়োজন করেছেন। রন্ধনশিল্পীদের তৈরি করা এসব খাবার সারাদেশে বেচা হচ্ছে অনলাইনে। ঘরে বসে কাজ করে আজকের দিনের নারীরা অর্থ উপার্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন।’ তিনি বলেন- নারীদের উদ্যোগ আরও সফল করার জন্য একজন নারীর পাশে আরেকজন নারীকে থাকতে হতে। তাহলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরও সফলতা আসবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি বলেন- ‘বাংলাদেশের নারীরা রান্নাকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন আগেই। একালের নারীরা রান্নাকে লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তর করেছেন।’ ব্যবসায়ী হাসান মারুফ তার বক্তব্যে বলেন- ‘রন্ধনশিল্পী হিসেবে নারীরা এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতা করে সেরা নির্বাচিত হচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্বের বিষয়।’ তিনি বলেন- ‘আমরা এখন যে অফিসে বসে ঘরের খাবার খাই, তা সম্ভব হয়েছে নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের জন্য। তারা ঘরে তৈরি করা খাবার অফিসে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন নিজ নিজ উদ্যোগে।’ প্রধান অতিথির বক্তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন- নারীর স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে বর্তমান সরকার। সে জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীদের অগ্রগতির জন্য ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন বর্তমানের নারীরা।’ শুধু লাভের চিন্তা না করে খাবারের যথাাযথ মান বজায় রেখে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে খাবাবের ব্যবসার সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বইটির সম্পাদক হাসিনা আনছার বলেন-  ‘বইটি সম্পাদনা করার কাজটি সত্যি কঠিন ছিল। কারণ সারাদেশ থেযে যেসব রেসিপি এসেছে, প্রতিটি রেসিপি ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্বাদের। তারপরেও অনেক রেসিপি বাদ দিতে হয়েছে সীমাবদ্ধতার কারণে। সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের আগ্রহের কথা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি প্রকাশনা উৎসবে নারীদের উদ্যোগ ও অর্জনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন- রন্ধনশিল্পী নিপা রাজ্জাক, কানিজ ফেরদৌসি, জান্নাতুল ফেরদৌস, মুসারাত জাহান রিমা, মুম্মুন আক্তার, রোজী মজুমদার, শাহেরা আনসার, শম্পা সরকার, রোজী সিদ্দিক, সোনিয়া সিমরান, অগনিস গোমেজ, শর্মিলা জেসমিন তুলি, ফারজানা রহমান তানিয়া, আয়েশা ইরা, ইভা মোরশিদা, হাফিজা সুলতানা মনি, হামিদা বেগম, হেলেন বওয়ার, হুমায়রা কবির সোমা, হুরে জান্নাত, সোমা কঙ্কাবতী, সুরাইয়া আব্দুল, তাহমিনা আমিন রোজী, তাহসিনা সালেহ, জিনিয়া ইসলাম, ইফাত আরা, জাহানারা আক্তার নিলা, কানিজ রুনা, কোহিনুর বেগম, মাহিনুর করিম, মুনা লিজা, নামিরা খানম, নাসরিন নওরোজ স্বপ্না, রায়হানা ইয়াসমিন, রাজিয়া সুলতানা, সাজেদা রুমা, সামিরা শাম্মি, সানজিদা পারভীন, ডলি ইসলাম, কানিজ ফাতেমা রুমা। নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের বিশেষ সহযোগিতা ও নারী উদ্যোক্তাদেও অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন এনটিভির অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা,  মিরপুর কার হাট এর ম্যানেজিং পার্টনার মোহাম্মদ হাসান মারুফ, রন্ধনশিল্পী কানিজ ফেরদৌসী, নিপা রাজ্জাক, ইউটিউবার রোজী সিদ্দিক, বাংলা কুইজিন এর মুশাররাত জাহান রিমা, পিঠা শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস, আরেবিয়ায়ন ফুড  আব্দুল্লাহ ফিউশন ফারজানা রহমান তানিয়া, শেফ ইউনিটি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর শেফ আহসান হাবীব, পারভীন আক্তার পান্না, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তানিয়া পারভীন, বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশন এর বিচারক আসিফ বাবু, মুখরোচক এর স্বত্ত্বাধিকারী আয়শা ইরা, উডান ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান সোনিয়া সিমরান, কো চেয়ারম্যান শারমিন কাদের নামিরা, এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক লানা খান, পুষ্টিবিদ মোঃ এরশাদ খান সালমা, একুশে টেলিভিশন এর সিনিয়র প্রযোজক রুশো রাকিব, অনুষ্ঠান প্রযোজক সোহেল রানা সবুজ, উই ক্যান এর এডমিন ফাহদ হোসেন, তানিয়াস ডায়েট ফুড এর জাহিন আক্তার, এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক শম্পা মাহমুদ, গাজী টেলিভিশনের ক্রিয়েটিভ এন্ড কনটেন্ট ডেভেলপার জাহিদ মাহমুদ, আফরোজা আহমেদ জবা, নারী তুমি অনন্যা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, জিগজ্যাগ কার এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কে এম আমিনুর রহমান, মাদার্স কিচেন এর নির্বাহী পরিচালক মুরাদ দেওয়ান, রোজ কিচেন এর স্বত্ত্বাধিকারী তাহমিনা আহমেদ রোজী, রন্ধনশিল্পী সম্পা সরকার, দীপ্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রযোজক সাইফর রহমান সুজন, গৃহ সুখন এর চেয়ারম্যান রিমা জুলফিকার, বেকিং এন্ড কুকিং ক্লাব বাই মুন গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আক্তার, ডলি’স বেকারি প্রতিষ্ঠাতা নাজমা ইসলাম (ডলি), বাংলার বীর ফাউন্ডেশন ও সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদদক মো: মাসুদ রানা ও রন্ধনীশিল্পী  কোমার আফজা লিজা। ঢাকাওয়াচ/স

হাসিনা আনছারের বই ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না’

ডেস্কঃ রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছারের সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি’। এর আগে বইটির তিনটি খন্ড প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে সারা দেশের রন্ধন শিল্পীদের পাঠানো রেসিপি থেকে নির্বাচিত ১০০ রেসিপি থাকছে। আগামী অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় বইটি প্রকাশিত হবে।  সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের পাঠানো রেসিপির সাথে রেসিপির ছবি থাকছে বইটিতে। নতুন চতুর্থ খন্ডের সাথে চাইলে আগের ৩ টি খন্ড সংগ্রহ করা যাবে। এ বিষয়ে রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছার বলেন, ঐতিহ্যবাহী খাবার বলতে একটি অঞ্চলে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সেটাকেই ঐতিহ্যবাহী খাবার বলে গণ্য করে থাকি। সারা পৃথিবীতে ঐতিহ্যবাহী খাবারের রয়েছে আলাদা সম্মান। তেমনি বাংলাদেশের সকল জেলায় আছে ঐতিহ্যবাহী খাবার।সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের পাঠানো অসংখ্য রেসিপি থেকে ১০০ সেরা রেসিপি নির্বাচন করার কাজটি অনেক কঠিন ছিল। কারণ যারা রেসিপি পাঠিয়েছেন, প্রত্যেকের রেসিপি ছিল অসাধারণ।  তারপরেও বাধ্যবাধকতার কারণে সেরা ১০০ রেসিপি নির্বাচন করতে হয়েছে। হাসিনা আনছার আরো  বলেন, ভোজন প্রিয় মানুষদের আগ্রহের কারণে এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ৩টি খন্ড। ১০টি খন্ড প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। যারা নতুন রান্না শিখছেন, যারা সারাদেশের রেসিপি ঘরে তৈরি করতে চান, দেশ-বিদেশে যারা গ্রামীণ রেসিপি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য  বইটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।  বাংলাদেশের খাবারও সারাবিশ্বে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা। ঢাকাওয়াচ/স

যেভাবে রান্নায় গ্যাস সাশ্রয় করবেন

দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বৈদ্যুতিক বিল থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের কোনো কিছুই যেন আয়ত্তে থাকছে না। বিশেষ করে রান্নার গ্যাস যেন মাস ফুরনোর আগেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাহলে উপায়? কয়েকটি সহজ উপায় জানা থাকলে রান্নার গ্যাস সাশ্রয় করতে পারেন। আসুন কিছু উপায় জেনে নিন—*নিয়মিত খেয়াল করবেন পাইপ, রেগুলেটর বা বার্নারে কোনো লিক হচ্ছে কি না। ছোটখাটো লিকও যদি চোখ এড়িয়ে যায়, তাহলে পরে বিপদে পড়বেন আপনিই। * ফ্রিজে রাখা দুধ গরম করার এক ঘণ্টা আগে বাইরে বার করে রাখবেন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তখন চুলায় গরম করুন। * ফ্রিজে রাখা সবজি, মাছ-মাংসও রান্না করার দুই ঘণ্টা আগে বার করে রাখুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পরে রান্না করুন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে অনেকটাই। * বার্নার সাফ করুন নিয়মিত। কুসুম গরম পানিতে ন্যাকড়া ভিজিয়ে ঘষতে পারেন বার্নার। তাতেও সমস্যা দূর না হলে ডাকতে হবে এ বিষয়ে দক্ষ কর্মীদের। বার্নার অপরিচ্ছন্ন থাকলে গ্যাস খরচও বাড়বে। * যেকোনো পাত্রের ক্ষেত্রেই আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা গ্যাস বাঁচে। খুব বেশিক্ষণ সিদ্ধ হতে লাগবে রান্না প্রেশার কুকারে করে নিতে পারেন। * প্রতিটি পদ রান্নার আগে আলাদাভাবে পানি ফোটাবেন না। একবারেই বেশি পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর ফ্লাস্কে রেখে দিন। রান্নার সময়ে ব্যবহার করুন সেই পানি। এতে গ্যাসের খরচও কিছুটা বাঁচবে। * চায়ের পানি গরম করতে হলে ইলেকট্রিক কেটল ব্যবহার করুন। * বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ থাকলে খাবার গরম করার জন্য আর বাড়তি গ্যাস খরচ হবে না। *যখন যা-ই রান্না করবেন, ঢাকা দিয়ে করুন। ভাপে রান্না দ্রুত হয়। ফলে একই পদ রান্না করতে কম সময় লাগবে। এতে কম গ্যাসও খরচ হবে। *তামা বা স্টেনলেস স্টিলের পাত্র বেশি ব্যবহার করুন। তাতে রান্না দ্রুত হবে। ফলে গ্যাসও সাশ্রয় হবে।

শীতে কেন বাড়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, কী করবেন?

শীত এলে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে– আর্থ্রাইটিসের ব্যথা। ঠাণ্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে এই ব্যথা। তবে এখন প্রশ্ন হলো– শীতে কেন বাড়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা? আর ব্যথা বাড়লে বা কী করবেন? একটু বয়স বেড়ে গেলে এই ব্যথা বেড়ে যায়। অনেকে এ সময় আর্থ্রারাইটিস ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় খুবই কষ্ট পান। চিকিৎসকদের মতে, তাপমাত্রা কমলে জয়েন্ট, অস্থিসন্ধির রক্তনালির ব্যথা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে রক্তের তাপমাত্রাও কমে যায়। ফলে গাঁট শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। অধ্যক্ষ ডা. আনন্দ স্বরূপ বলেছেন, শীতে আমাদের হার্টের চারপাশে রক্তও তুলনায় ঠাণ্ডা হয়ে পড়ে। তাই শরীরকে উষ্ণ রাখতে এ সময় গরম পোশাক গায়ে দিই। এ ছাড়া ঠাণ্ডায় অন্যান্য অংশে রক্ত সঞ্চালনের বেগ কমে যায়। ডা. আনন্দ আরও বলেছেন, ৪০ বছরের পরেই সাধারণত আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় ভোগেন অনেকে। এই ব্যথা বেশি হয় নারীদের। আর হাঁটু যেহেতু শরীরের সব ওজন বহন করে, তাই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ। আসুন জেনে নিই যেভাবে এই ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে- ১. সকালের নরম রোদে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। তাই শীতে গায়ে রোদ লাগাতে হবে। ২. প্রচুর ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করলেই কমবে ব্যথা এবং জয়েন্টের ফোলাভাব। রোদের তাপে উষ্ণ হবে শরীর। রক্ত সঞ্চালন হবে দ্রুত। ৩. যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারে বসে কাজ করেন। তাদের জন্য সকালের রোদে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ঢাকাওয়াচ/স

ওজন কমাতে চান, খেয়ে দেখুন ঘি

ওজন কমাতে অনেক কিছুই করে থাকেন আপনি। এবার ওজন কমাতে খেয়ে দেখতে পারেন ঘি। অনেকেই মনে করেন ঘি খেলেই বুঝি ওজন বেড়ে যায়! এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তবে একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে– নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি সঠিক পদ্ধতি ও নিয়মিত খেলে ওজন কমবে। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, ঘিতে থাকা ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে জমে থাকা ‘ফ্যাট সেল’ গলাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই ঘি খেলে যেসব উপকার পাবেন- ১. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ঘি খুব ভালো কাজ করে। ঘিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও ঘি অত্যন্ত কার্যকরী। ২. খালি পেটে ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। ৩. ঘি-এ রয়েছে কে২ এবং সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ৪. ঘিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলোকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়। ৫. খালি পেটে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে অস্থিসন্ধির সচলতা বাড়িয়ে তোলে এবং একই সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। ফলে হাড়ের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। ৫. প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। ৬. পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খালি পেটে খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া ২-৩ চামচ ঘি ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারলে বাড়ে হজমশক্তি। তথ্যসূত্র: জিনিউজ ঢাকাওয়াচ/স

সকালে এক কোয়া রসুন খেলে ৮ রোগ কাছেও ঘেঁষবে না

খাবার রান্না করার জন্য আমরা সাধারণত রসুন ব্যবহার করে থাকি। তবে অনেকেই জানি না, এই রসুনের গুণাগুণ সম্পর্কে। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে অনেক রোগ সারতে পারে। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এক কোয়া রসুন নাকি সারাতে পারে অনেক রোগ। তবে সত্যিই কি তাই? এত মসলা থাকতে খালি পেটে রসুন খাওয়া কী আসলেই উপকারী। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করলেন পুষ্টিবিদ অন্তরা মজুমদার। তিনি বলেন, রসুন খাওয়ার এই প্রচলিত ধারণা মিথ্যা নয় মোটেও। এটি সত্যি খুব উপকারী। প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই রসুন অনেক উপকারী। অনেক সময় পেট খালি থাকার পর এটি খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেটাবলিক রেটও একটু বেশি থাকে। তাই খালি পেটে এ মসলা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। আসুন জেনে নিই সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে যেসব উপকার পাওয়া যাবে- ১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ রসুন রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও করে রসুন। ২. সকালে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেলে সারা রাত ধরে চলা বিপাকক্রিয়ার কাজ উন্নত হয়। এ ছাড়া শরীরের দূষিত টক্সিনও মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। ৩. শীতে ঠাণ্ডা লাগলে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে উপকার পাওয়া যাবে। দুই সপ্তাহ সকালে রসুন খেলে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটা কমে। ৪. হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে রসুন বিশেষ কার্যকর। হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদপেশির দেয়ালে চাপ কমাতে সাহায্য করে। ৫. রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। কমায় রক্তনালির ওপর রক্তের চাপও। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীর ডায়েটে রাখতে পারেন রসুন। ৬. যকৃত ও মূত্রাশয়কে নিজের কাজ করতে সাহায্য করে রসুন। এ ছাড়া পেটের নানা সমস্যাও হজমের সমস্যা মেটাতেও রসুন ভালো কাজ করে। ৭. ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ যেমন- ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, হুপিং কাফ ইত্যাদি প্রতিরোধে করে। ৮. স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম রসুন। তথ্যসূত্র; আনন্দবাজার পত্রিকা। ঢাকাওয়াচ/স

কেমোথেরাপিতে নতুন সাফল্যের পথে চিকিৎসকরা

ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষকরা কেমোথেরাপি দেয়ার নতুন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন। শিগগিরই আরও সুখবর আসতে পারে। যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার টিউমারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কেমোথেরাপি পৌঁছানোর উদ্ভাবনী উপায় নিয়ে কাজ করছেন একদল চিকিৎসক। খবর বিবিসির। চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বে প্রথমবারের মতো এ ধরনের উপায়ে কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ক্যান্সারের আরও উন্নত চিকিৎসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোগীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক কম হতে পারে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মার্সডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে অ্যাকোয়াস্টিক ক্লাস্টার থেরাপি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এটি মূলত আলট্রাসাউন্ড তরঙ্গ ও মাইক্রোসকপিক ক্লাস্টারের মাধ্যমে টিউমারে কেমোথেরাপি ওষুধ পৌঁছে দেয়। এতে আশপাশে থাকা সুস্থ কোষের ক্ষতি হয় না। হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যারেন চাইল্ডস নামে যকৃতে টিউমারের এক নারী রোগীকে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এখনই চিকিৎসা পদ্ধতি সফল তা পুরোপুরি বলার সময় আসেনি। এ পদ্ধতির কার্যকর করার আগে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ঢাকাওয়াচ/স

পেঁয়াজ ছাড়াই যেসব মসলা রান্নায় স্বাদ বাড়াবে

বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ কিনতে গেলেই মন খারাপ হয় আপনার। কারণ পেঁয়াজের বাড়তি দাম মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আবার দেখা যায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না খেতে মন চায় না। তবে আপনি জানেন কী– কিছু মসলা আছে যা পেঁয়াজ ছাড়াই আপনার রান্নাকে সুস্বাদু করবে। তবে রান্নার কিছু কৌশল জানলে পেঁয়াজ ছাড়াই আপনি সুস্বাদু খাবার রান্না করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই যেভাবে পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না হবে সুস্বাদু। রসুন ফোড়ন রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার না করে মরিচ, রসুন ও পাঁচফোড়ন ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা মসুরির ডাল, বড়া, ফুলকপির স্বাদ পেঁয়াজ ছাড়াও নিতে পারেন এ পদ্ধতিতে। টমেটো বাটা পেঁয়াজের পরিবর্তে নিরামিষ বা আমিষ রান্নায় ব্যবহার করুন টমেটো বাটা। সামান্য গোলমরিচ যোগ করে এই টমেটো বাটা রান্নায় দিলে স্বাদ বাড়ে। মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ যেমন দূর হয়, তেমনই টমেটোর গুণে একটা টক-মিষ্টি স্বাদ আসে তরকারিতে। পেঁপে বাটা মাছ-মাংসের ঝোলকে ঘন করতে ও এদের আঁশটে গন্ধ দূর করতে ব্যবহার করুন পেঁপে বাটা। পেঁয়াজকলি শীতের অন্যতম সবজি পেঁয়াজকলি। আলু পেঁয়াজের তরকারির বদলে কাজে লাগান এই সবজিকে। আলু-পেঁয়াজকলি ভাজা বা এর তরকারিও বেশ সুস্বাদু। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ঢাকাওয়াচ/স