শিল্পকলার নন্দন মঞ্চে মনোজ্ঞ রবীন্দ্র সন্ধ্যা

দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। এছাড়া লিখেছিলেন আরও অসংখ্য দেশপ্রেমের গান। বিশ্বকবির এমন সব গান নিয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের ভাসমান নন্দন মঞ্চে দু’দিনের রবীন্দ্রসঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার একাংশ। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘স্বার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। শুক্রবার ছিল এর সমাপনী সন্ধ্যা। কবিগুরুর গানের শিল্পীরা আরো বেশি নান্দনিক করে তুলেছিলেন ছুটির দিনের এই সন্ধ্যাটিকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব, প্রেরণার উৎস ও জাতির মননের প্রতীক। তার গান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছে। তাই তাকে অবলম্বন করে বিজয় উৎসবের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন। আলোচনা শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশাত্ববোধক গানে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে একক সংগীত পরিবেশন করেন সাঈদা হোসেন, কেয়া হায়দার, সুফিয়া যাকারিয়া, সঞ্চিতা মিত্র, মাহবুবা কামাল, খন্দকার আবুল কালাম, সাজেদ আকবর, মকবুল হোসেন, গোলাম হায়দার, স্বর্ণময়ী মণ্ডল, মীরা মণ্ডল, মাহফুজা হক প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/স

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে ছেলেদের নিয়ে নুহাশপল্লীতে শাওন

জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন পালিত হয়েছে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে। ভোর ৫টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। ওইদিন সকাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা কবরে শ্রদ্ধা জানাতে নুহাশপল্লীতে ভিড় জমায়। নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ুন আহমেদের হতে গড়া নুহাশপল্লীতে ৭৭১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভোর ৫টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কবরের পাশে ফাতেহা-পাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন। এ সময় নুহাশপল্লীর কর্মচারী ও অসংখ্য হুমায়ূন ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। জিয়ারত শেষে নুহাশপল্লীতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল গাছ তলায় হুমায়ুন আহমেদের ৭১তম জন্মদিনের কেক কাটেন তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। এসময় শতাধিক হুমায়ূনভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশপল্লীর ভাস্কর আসাদ খান তার একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করেন। এতে কাঠ দিয়ে তার তৈরি ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। উল্লেখ্য, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়। ঢাকাওয়াচ/স

১৪ নভেম্বর শুরু ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’

আবারও আয়োজিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার লোকসঙ্গীতের সর্ববৃহৎ আসর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট। আগের মতো জমকালো এই উৎসবের পঞ্চম আসরটিও বসবে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ১৬ নভেম্বর, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। এই উৎসবে দর্শকরা উপভোগ করবেন দেশ-বিদেশের সেরা লোকসঙ্গীত শিল্পীদের শেকড় সন্ধানী গান। উৎসব উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ফোকফেস্ট আয়োজক প্রতিষ্ঠান সান ফাউন্ডেশন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় সংস্থাটির চেয়ারম্যান এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের লোকসঙ্গীতকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশে আমরা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট শুরু করি। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতির জন্য দেশি-বিদেশি শিল্পীদের আমরা একই মঞ্চে তুলে ধরছি। আমাদের যে লোকশিল্পীরা দেশের আনাচে-কানাচে রয়েছেন, তাদের জন্য আমরা একটি প্লাটফর্ম করে দিচ্ছি। প্রতিবারের মতো এবারো সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’ তিনি জানান, বরাবরের মতো এবারো ফোকফেস্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে দর্শক উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। আগামী ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে। এজন্য দর্শকদের dliakainternationalfolkfest.com ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্টের স্ক্যান কপি প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে দর্শকের ই-মেইলে পৌঁছে যাবে তিন দিনের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন এন্ট্রি পাস। ঢাকাওয়াচ/স

শিল্পাচার্য স্বর্ণপদক পেলেন জবির উপাচার্যের সহধর্মিণী নাজমা আক্তার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সহধর্মিণী চিত্রশিল্পী নাজমা আকতার চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পাচার্য স্বর্ণপদক ২০১৮ পেয়েছেন। শনিবার বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা অডিটোরিয়ামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ পদক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাত থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। জানা গেছে, শিল্পী নাজমা আকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষিকতা করছেন। এর আগে তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় লেসেদ্রা আর্ট গ্যালারির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সপ্তম লেসেদ্রা আন্তর্জাতিক পেইন্টিং ও মিশ্র মাধ্যম প্রতিযোগিতায় চিত্রকর্মের জন্য পুরস্কার অন্যতম। এতে বিশ্বের ৪৬টি দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়া কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৯৮তম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্জন করেছেন ‘কবি আবদুল হাই মাশরেকী স্বর্ণপদক’। এর আগে ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে পেয়েছেন রশীদ চৌধুরী মেমোরিয়াল পুরস্কার। ১৯৮১-৮২ সালে পর পর দুই বছর চিত্র অঙ্কনে অর্জন করেন শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। চিত্রশিল্পী নাজমা আক্তার বিমূর্তধর্মী ছবি আঁকেন। শৈশব-কৈশোর কিংবা তারুণ্যের নানা স্মৃতি, জীবন ও প্রকৃতির নানা বিষয় তুলে আনেন তুলির আঁচড়ে। জার্মানি, গ্রিস, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে এই শিল্পীর একক চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি দেশ-বিদেশে ৩৪টি গ্রুপ চিত্রপ্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। ঢাকাওয়াচ/স