জামালপুরে সাংবাদিকের ২ পা ভেঙ্গে দিল ছাত্রলীগ নেতা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৪০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
জামালপুরে পিটিয়ে এক সাংবাদিকের দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা ও তার লোকজন। গুরুতর আহত সাংবাদিক শেলু আকন্দকে (৫৫) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলাকারীদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রাকিব খানকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জামালপুর শহর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শেলু আকন্দ জানান, বুধবার রাত ১০টায় শহরের দেওয়ানপাড়া সদর ভূমি অফিসের পেছনের রাস্তায় তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে ফেলে যায় জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুর ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রাকিব খান, শহরের দেওয়ানপাড়ার মৃত রসুল মাহমুদ খানের ছেলে তুষার খান ও তুহিন খান এবং মৃত সুনু খানের ছেলে স্বজন খান লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। তারা শেলুর দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গত ২৮ মে জামালপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কালেরকণ্ঠের জামালপুর প্রতিনিধি মোস্তফা মঞ্জুর ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী শেলু আকন্দ। মামলার সাক্ষী হওয়ায় তার ওপর এই হামলা করা হয়েছে।
শেলু আকন্দ জানান, হামলাকারীরা সবাই সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর মামলার আসামি ছিল। তাদের মধ্যে রাকিব খান বাদে অন্য ৩ জন তুষার খান, তুহিন খান, স্বজন খান গত ১২ জুন আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে জামিন না-মঞ্জুর হলে বেশ কয়েকদিন জেলহাজত খাটে।
হামলার সময় তারা সাংবাদিক শেলুকে বারবার বলেছে, ‘এখন সাক্ষী দিতে যাবি না।’
গুরুতর আহত শেলুকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানান, পুলিশ বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুর ছেলে রাকিব খানকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে দুপুরে জামালপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে জমির দলিল নিবন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই ঘটনায় জেলার ৪৮ জন সাংবাদিক সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।
ঢাকাওয়াচ/স