প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় র‍্যাপিড পাস অর্থায়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জাইকা


TRT 03-10-2024/rapid pass_original_1730556643.jpg

মেট্রোরেলের সুবাদে র‍্যাপিড পাস কার্ডকে চিনেছে নগরবাসী। শুধু মেট্রোরেল নয়, এ সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল বাস, ট্রেন এবং নৌযানে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও। কিন্তু ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও তার বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে। এরইমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অর্থায়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জাইকা।
 
ভাড়া নিয়ে গণপরিহনে বাগ্‌বিতণ্ডা এ শহরে নতুন কিছু নয়। অনেক চেষ্টার পরও ঢাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি সমন্বিত ভাড়া আদায়ের ব্যবস্থা। যদিও ২০১৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন শুরু হয় র‍্যাপিড পাস কার্ডের। এর মাধ্যমে মেট্রোরেল, নৌযান ও বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের ভাড়া দিতে পারার কথা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নেয়া জাইকার কারিগরি সহযোগিতার ক্লিয়ারিং হাউজ ফেইজ-২ প্রকল্পের মেয়াদ গেল জুনে শেষ হলেও, কেবল মেট্রোরেল ছাড়া আর কোথাও এমন সুবিধা পান না নগরবাসী।

মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বাসের সেবাটা সেই ৮০ এর দশকেই পড়ে আছে। এর জন্য বাস মালিকদের দোষারোপ করা হলেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দাবি, তারাও চান সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা।

বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ট্রেজারার এহসান আহমেদ খোকন বলেন, এমন হলে আমাদের জন্য ভালো। শুধু চালক গাড়ি চালাবে। আমাদের অন্য কোনো কর্মী নিতে হবে না। ভাড়া নিয়ে কারো সাথে কোনো ঝামেলা হবে না। র‌্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাত্রীরা উঠবে আবার নামবে। আমরাও চাই পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি হোক।

এদিকে প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রহমান জানালেন, অনেক চেষ্টার পরও র‌্যাপিড পাস সবার জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত জাইকার কাছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কারিগরি সহায়তা চাওয়া হলেও তারা তাতে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাকি কাজ শেষ করতে বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প নেয়ার সময়ই বাস্তবায়নের মেয়াদ এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো সঠিকভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

Your Image ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×