অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার মহাপরিকল্পনা পতিত সরকারের নেতাদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
পতিত শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য মহাপরিকল্পনা করছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এ সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য, অকার্যকর করার জন্য বিশাল অর্থে বিশ্বব্যাপী ও দেশের প্রতিটি স্থানে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এক মহাপরিকল্পনা প্রতি মুহূর্তে কার্যকর রয়েছে। তাদের একটি বড় প্রচেষ্টা হচ্ছে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। পতিত সরকারের নেতা, যারা এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে নিয়ে গেছে, সে অর্থে বলিয়ান হয়ে তারা দেশে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদেরকে কিছুতেই সফল হতে দেবেন না।’
‘তারা (ষড়যন্ত্রকারীরা) সফল হওয়া মানে জাতির মৃত্যু। জাতি হিসেবে আমাদের অবসান’ উল্লেখ করে ড. ইউনূস দেশবাসীকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাদের সব হীন প্রচেষ্টাকে আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে নস্যাৎ করে দিন। যেভাবে নস্যাৎ করেছিলেন তাদের বন্দুকের গুলিকে। তাদের আয়না ঘরকে। প্রতি পায়ে তাদের অনাচারের শিকলকে। এ বিষয়ে সকলে একমত থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এ সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু, এটা নিয়ে যে-সব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে, তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। অল্প যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু, এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নির্বাহী আদেশে এক দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়; যা উৎসবের আমেজকে বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে। আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোন মানুষই যাতে কোন রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং সব সময় সে চেষ্টা করে যেতে থাকব।’