প্রাক্তন আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসে শেষ করার নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রাক্তন পুলিশ প্রধানসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল দশটার পর পুরনো হাইকোর্টের প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে ওই আটজনকে হাজির করা হয়। তাদের সকলের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা আলাদা অভিযোগ তুলে ধরেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আট কর্মকর্তা হলেন প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির প্রাক্তন উপ কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, গুলশান থানার প্রাক্তন ওসি মাজহারুল হক ও ঢাকা উত্তর ডিবির প্রাক্তন পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গেল ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আট কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। পুলিশের প্রাক্তন ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বুধবার (২০ নভেম্বর) তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেফতার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে।