পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলেই ঘটনা সংঘর্ষের দিকে গেছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৪১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলেই ঘটনাটি সংঘর্ষের দিকে গেছে, এটা স্বীকার করছি। কিন্তু এটাও মানতে হবে যে, পুলিশ একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আছে, সেই জায়গায় যখন এত এত শিক্ষার্থী নেমে এসেছে, পুলিশ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারত। পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সংঘর্ষে জড়ায়নি। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশকে আরও সক্রিয় করতেই রদবদল করছি। কারও ব্যর্থতা থাকলে তাদেরও আমরা পরিবর্তন করব।’
প্রথম আলোর ঘটনা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রথম আলো নিয়ে উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি। আজ অফিসে ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের বক্তব্য গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে করুন। কোন পত্রিকা ভাঙচুর করা আমরা সমর্থন করি না। এ ঘটনা পরে ঘটলে টলারেট করা হবে না। ভাঙচুরের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষের অভিযোগ থাকলে আইনগতভাবে তারা পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে জনগণ যেন অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট হয়, এ রকম কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।’
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। ঢাকা কলেজে এরকম ঘটনা ঘটতে দেখেছি। আমরা বার বার আহ্বান জানাচ্ছি, কোন প্রকার উসকানিতে পা না দিতে। ছাত্ররা যেন ধৈর্য সহকারে যে কোন সমস্যা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বা সরকারের মধ্যে অংশীভূত হতে পারে। এর মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, ছয় দিন আগ থেকে এর সূত্রপাত। একজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ থেকেই এ ঘটনা ঘটে। সেটা ছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর হামলায় কারা কারা জড়িত সেটা ব্যবস্থার নেওয়া বিষয়ে আইনগত বিষয় চলমান। এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই টলারেট করা হবে না।’
আসিফ আরো বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করেছে সব সংঘর্ষ এড়াতে। তবে আমরা দেখেছি, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাতজন ও মাহবুবুর রহমান কলেজের তিনজনের নিহতের খবর রটেছিল। এখন পর্যন্ত নিহত হওয়ার কোন খবর আমরা পাইনি। কোন গণমাধ্যমেও এ খবর পাইনি। তবে, অনেকে আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটালো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।