সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারো নতুন নির্দেশনা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:২৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। নতুন এ নির্দেশনায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে ০৯ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে, বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা জানিয়ে রাখতে হবে, বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে, প্রধান উপদেষ্টার অফিস কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে।
আরও বলা হয়েছে, সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করবেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীনস্থ অধিদপ্তর বা সংস্থার প্রধানরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না। বিদেশে সেমিনার বা ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশ নিতে উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন সেই তথ্য জানাতে হবে।
বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশ করার সময়ে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ওই কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ থাকতে হবে। কেনা-কাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্ট-ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে, সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার করবেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন। বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার আগের এক বছরের বিদেশ ভ্রমণ বৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
ডলার-সংকটের কারণে গত অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে একটি নির্দেশনা জারি করেছিল তৎকালীন সরকার।