গণহত্যার তথ্য গোপন করতে ইন্টারনেট বন্ধ করেছিলেন পলক: চিফ প্রসিকিউটর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৫২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক গণহত্যার সব পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। এসব হত্যাকাণ্ডের তথ্য যাতে সারা দুনিয়া ও দেশের মানুষ না জানতে পারে, সেজন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জুলাই-আগস্টে তিনি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গোটা দুনিয়া থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকা সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ১৮ ডিসেম্বর সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ।
গেল ১৮ নভেম্বর গণহত্যার অভিযোগে জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ একটি পিটিশনে জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর এক দিনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।’
চিফ প্রসিকিউটর আরো বলেন, ‘তাকে (পলক) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, তিনি সে সময় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ছাত্র-জনতার ওপর যে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেগুলোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক এসব পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’