বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো মানা, আরো যা নিষেধ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:০২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপির হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভায় জানানো হয়, বড়দিনে এবার ঢাকার প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
সভায় মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এ দুইটি বড় উৎসব ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া, নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোন প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।’
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোন স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় কাউকে ঢুকতে হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল ও ঢাবি এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ছাড়া উৎসব দুইটি উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান কমিশনার।