মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চিকিসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:২৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে স্বপ্না আক্তার (২৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন মারা গেলেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপ্নার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিস্ফোরণে স্বপ্নার শরীরের ১৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ওই ঘটনার তার শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। শনিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় স্বপ্না। বর্তমানে ওই ঘটনায় ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইসমাইল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৪ নভেম্বর ভোরে মিরপুর-১১ নম্বরের সি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রং মিস্ত্রী খলিলসহ দগ্ধ হন তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসা ছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। এছাড়া একই ঘটনায় পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তারও (২২) দগ্ধ হয়েছিলেন। তারা দু’জনই গার্মেন্টস কর্মী।
ঘটনার পর দগ্ধ সবাইকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল্লাহ ছাড়াও তার ভাই মোহাম্মদ, মা রুমা আক্তার ও বাবা আব্দুল খলিল মারা যান। সবশেষ শনিবার বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বপ্নাও না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
স্বপ্নার স্বামী মো. শাহজাহান জানান, তাদের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায়। স্বপ্নার বাবার নাম আব্দুল মালেক। মিরপুরের ওই বাসাতে ভাড়া থেকে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ঘটনার দিন রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। এতে ঘুম ভাঙলে চারদিকে আগুন জ্বলতে দেখেন। ওই সময় শরীরেও আগুন জ্বলতে দেখে তারা নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়।
শাহজাহান জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। তবে বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। ঘটনার দুই দিন আগে রাস্তার পাশে থাকা সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সেই আগুন নেভান। তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। পরবর্তীতে পাশের বাসার খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।