পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেনের ভাড়া ও সময়সূচি জানাল রেলওয়ে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:২৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনায় রেল চলাচল শুরু হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। রাজধানী থেকে কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা ও বেনাপোল রুটে নতুন দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন রেলপথ নির্মাণের ফলে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমে গেছে। এ পথে ঢাকা থেকে খুলনা বা বেনাপোলে যাওয়া যাবে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায়। যমুনা সেতু হয়ে যাতায়াতে সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন রেলপথ নির্মাণের ফলে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমে গেছে। এ পথে ঢাকা থেকে খুলনা বা বেনাপোলে যাওয়া যাবে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায়। যমুনা সেতু হয়ে যাতায়াতে সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা।
জানা যায়, পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা ও বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে নতুন এক জোড়া করে মোট দুই জোড়া ট্রেন চলবে। দুই জোড়া ট্রেনই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জংশন হয়ে চলাচল করবে। ইতোমধ্যে ট্রেনগুলোর চলাচলের সময়সূচি ও ভাড়া প্রকাশ করেছে রেলওয়ে বিভাগ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে এক জোড়া এবং বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে এক জোড়া নতুন আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রেন সিডিউল অনুযায়ী, সকাল ৬টায় খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস নামে বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রা করবে। যশোর জংশন হয়ে দুপুর আড়াইটায় বেনাপোলে পৌঁছাবে।
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে তিনটায় বেনাপোল থেকে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর ট্রেনটি জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ঢাকা থেকে রাত ৮টায় যাত্রা করে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনায় পৌঁছাবে। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করবে (আপ ও ডাউন) যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন, ভাঙ্গা জংশনে এবং জাহানাবাদ এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করবে নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশনে।
সোমবার বন্ধ থাকবে ট্রেনে। ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি। সিডিউল অনুযায়ী, ঢাকা থেকে বেনাপোলে পৌঁছানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে পৌনে ৪ ঘণ্টা।
এদিকে খুলনা-ঢাকার নতুন রুটের ট্রেনের ভাড়াও নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে বিভাগ। যদিও শুধু মূল ভাড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ভ্যাটসহ চূড়ান্ত ভাড়া এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত ভাড়া পড়বে শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৭৪০ টাকা, এসি সিট ৮৮৫ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৩৩০ টাকা। সব শ্রেণির ভাড়ার সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট যুক্ত হবে।
খুলনা থেকে নওয়াপাড়া ও সিঙ্গিয়া স্টেশনে ভ্যাট বাদে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ১০০ টাকা, এসি সিট ১১০ টাকা এবং খুলনা-নওয়াপাড়া এসি বার্থের ভাড়া ১৩০ টাকা এবং সিঙ্গিয়া পর্যন্ত এসি বার্থের ভাড়া ১৫০ টাকা। খুলনা-নড়াইল পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৭৫, স্নিগ্ধা ১২৫ টাকা, এসি সিট ১৫০ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া ২২৫ টাকা।
খুলনা-লোহাগড়া পর্যন্ত ভাড়া পড়বে শোভন চেয়ার ৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা ১৫৫ টাকা, এসি সিট ১৮৫ টাকা এবং এসি বার্থের ২৮০ টাকা। খুলনা-কাশিয়ানী জংশন পর্যন্ত ভাড়া পড়বে শোভন চেয়ার ১৪৫, স্নিগ্ধা ২৩৫ টাকা, এসি সিট ২৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ৪২৫ টাকা।
খুলনা-ভাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া পড়বে শোভন চেয়ার ১৮৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৩০৫ টাকা, এসি সিট ৩৭০ টাকা এবং এসি বার্থের ৫৫৫ টাকা। সে সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট যুক্ত হবে।