রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


December 2024/Thouhid Rohingga.jpg

সীমান্তে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে এবং এটিকে আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

Your Image

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, সীমান্তে প্রচুর দুর্নীতি আছে, এটি সত্য, অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। রোহিঙ্গারা দুর্নীতির মাধ্যমে ঢুকছে। নৌকা নিয়ে ঢুকছে। তারা যে কোন একটি সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে, বিষয়টি এমনও না, বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ঢুকছে। এটিকে আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’

সীমান্ত ও রাখাইনের সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে বাংলাদেশ তাগিদ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, চীন ও লাওসের মধ্যে অনুষ্ঠিত অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কার কথা বলছেন কেউ কেউ। তবে এ ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি না, রোহিঙ্গাদের আরেকটি ঢল আসবে; যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এ আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে সেই ঢল আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’

সভার বরাত দিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারকে বলেছি, বর্ডার তোমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আমরা তো রাষ্ট্র হিসেবে নন অ্যাক্টর (আরাকান আর্মি) যারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, তাদের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারি না। কাজেই তোমাদের দেখতে হবে কোন পদ্ধতিতে সীমান্ত ও রাখাইনের সমস্যার সমাধান করবে।’

সভায় আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মূল বিষয় ছিল তিনটি। সীমান্ত সমস্যা; মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার এবং মিয়ানমারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও বর্তমান অবস্থা। তবে, সবাই মিয়ানমারের চলমান সংকটের সমাধান চেয়েছেন।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসারের সভাপতিত্বে বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান সোয়ে, লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলুয়েমেস্কেই কোমাসিথ, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ও চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাউজু নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন তৌহিদ হোসেন।

গত দুই মাসে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য সভায় তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা অনুপ্রেবশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতিগতভাবে অবস্থান ছিল, আর কোন রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না। তবে পরিস্থিতি কখনো কখনো এমন দাঁড়ায় যে, আমাদের আর কিছু করার থাকে না। সেরকম পরিস্থিতিতে আমরা নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে যে ঢুকতে দিয়েছি, তা-ও না। তারা বিভিন্ন পথে ঢুকেছে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×