
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে বেইজিং, পরেই ঢাকা
বিশ্বের ১৩৪টি শহরের মধ্যে আজ বুধবার বায়ুদূষণে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং। আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে এসময় বেইজিংয়ের স্কোর ২৪৮। বায়ুর এই মানকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। এরপরই ২২৫ স্কোর নিয়ে তালিকার ২য় স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মানসূচকে যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। অন্যদিকে ১৯৪ স্কোর নিয়ে তালিকার ৩য় স্থানে অবস্থান করছে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ। এই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। শনিবার (০১ মার্চ) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ওয়েবসাইটে বায়ুদূষণের এই তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৮২ স্কোর নিয়ে তালিকার ৪র্থ স্থানে অবস্থান করছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। বায়ুর এই স্কোরকেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। পরেই স্থানে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। দিল্লির স্কোর ১৬৯। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

‘অগ্নিঝরা মার্চ’ শুরু
অগ্নিঝরা মার্চ—বাঙালির স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতির মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয়। ১৯৭১ সালে এসে যে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, তার গোড়াপত্তন হয়েছিল বহু বছর আগে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনের পথ ধরে ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে বাঙালির সেই স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতিকে স্পর্শ করে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের গহীনে লালন করা তখনো অধরা ‘স্বাধীনতা’র দুর্বার আকাঙ্ক্ষা যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতিবিজড়িত একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ২৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানের সব কেন্দ্রে একযোগে প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা প্রচার করা হয়। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যায়, দেশ আবার কঠোর সামরিক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে এবং সামরিক আইন কঠোর করে ভেতরে ভেতরে কোনো গভীর প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে রেডিওতে যখন জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছিল, তখন ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানরত পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ধারা বিবরণী চলছিল। তাই মাঠের ক্রিকেট দর্শকরাই রেডিওতে প্রথম ইয়াহিয়ার এ ঘোষণা শুনতে পান। রেডিওতে খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম সংঘটিত প্রতিক্রিয়াটি ব্যক্ত করে স্টেডিয়ামের হাজার হাজার ক্রিকেট দর্শক। তারা সমস্বরে চিৎকার করে উঠে ‘জয় বাংলা’ বলে। ধাওয়া করে পশ্চিম পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এবং স্লোগানে উত্তাল হয়ে জঙ্গি মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের খবর শুনে পিআইএ’র বাঙালি কর্মচারীরাও জনসাধারণের সঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়েন। জগন্নাথ কলেজ ও পার্শ্ববর্তী কায়েদে আযম কলেজের ছাত্ররাও লাঠিসোটা হাতে রাস্তা প্রদক্ষিণ করতে থাকে। আদমজী মিলের শ্রমিকরা চাকা বন্ধ করে শোভাযাত্রা সহকারে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সেইদিনের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে সংসদীয় দলের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো স্লোগান দেন, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। ছাত্ররা কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ। এ পরিস্থিতিতে পূর্বাণী হোটেলের বাইরে বিক্ষুব্ধ বাঙালির কঠোর কর্মসূচির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান চলতে থাকে। পরে ২ ও ৩ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক এবং ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর ১ মার্চ পেরিয়ে ২ মার্চ। একে একে পার হয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ২৫টি দিন। ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এই পথ ধরে বাংলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে একটি স্বাধীন দেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

বিবিএস-ইউএনএফপিএর জরিপ: দেশে ৭০ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার হন
দেশের ৭০ শতাংশ নারী জীবনে একবার হলেও শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতার শিকার হন। গত বছর ৪৯ শতাংশ নারীর ওপর এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের তুলনায় স্বামীর মাধ্যমে বেশি নির্যাতনের শিকার হন নারীরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে এ জরিপ করে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আলেয়া আক্তার। এ ছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএফপিএর ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপের মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম। এই খানাভিত্তিক জরিপে শহর, গ্রাম, দুর্যোগপ্রবণ, বস্তি এলাকাসহ ২৭ হাজার ৪৭৬ নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীর জীবদ্দশায় স্বামী বা জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে সহিংসতার বিস্তৃতি এখনও ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ এটি উচ্চমাত্রায় রয়েছে। তবে বিগত ১২ মাসে এই হার ৪১ শতাংশ। এই হার ২০১৫ সালে জীবদ্দশায় ছিল ৭৩ শতাংশ। নন-পার্টনার সহিংসতার চেয়ে জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতা (আইপিভি) বিস্তারের মাত্রা বেশি। জরিপটিতে, ‘জীবনসঙ্গী’ বলতে বর্তমান বা সাবেক স্বামী এবং ‘নন-পার্টনার’ বলতে বর্তমান বা সাবেক স্বামী ব্যতীত উত্তরদাতার ১৫ বছর বয়সের পর হতে জীবনের যেকোনো সময়ে সংস্পর্শে আসা যেকোনো ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে। জরিপে চার ধরনের সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে শারীরিক সহিংসতা, যৌন, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক সহিংসতা। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বেশির ভাগ নারী তাদের জীবনসঙ্গী বা স্বামীর সহিংসতার শিকার। প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে মাত্র ৭.৪ শতাংশ আইনের আশ্রয় নেন। বাকি ৯৩.৬ শতাংশ নারী এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন না। এ ছাড়া সহিংসতার শিকার ৬৪ শতাংশ নারী তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করেন না। জরিপে দেখা যায়, নারীদের অন্য কারও তুলনায় স্বামীদের কাছ থেকে শারীরিক সহিংসতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা তিনগুণ বেশি এবং যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুণ বেশি। এতে প্রতীয়মান যে বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক ও যৌন সহিংসতার ঝুঁকি অত্যধিক বেশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীরা তাদের জীবদ্দশায় এবং বিগত ১২ মাসে, অদুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীদের তুলনায় জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে বেশি মাত্রায় সহিংসতার সম্মুখীন হন। জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার মাত্রা বেশি হলেও সহিংসতার শিকার নারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কাউকে কখনো বলেননি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সুনাম রক্ষা করার আকাঙ্ক্ষা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং এ ধরনের সহিংসতাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করার প্রবণতাসহ বিভিন্ন কারণ থেকে মূলত এই নীরবতা।

সরকারের সমালোচনা করে যা বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন
দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে ধরে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এমন পরিস্থিতি কারো কাম্য ছিল না। কিন্তু রাষ্ট্র এই পরিস্থিতির উন্নতিও করছে না। তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্বে থেকে নির্বাচন দিলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। চরম সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে দিয়ে কাজ করাতে পারছেন না। যার কারণে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি সরকারকে জনগণের কথা শোনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণ কি চায় সেটি বুঝতে হবে এবং সেই আলোকে কাজ করতে হবে।শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণশক্তি সভা কর্তৃক ‘জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, বাকস্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাহলেই জনদুর্ভোগ শব্দটি সামনে আসবে না। দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। গত ১৫ বছর জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করে নিজেদের দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত ছিল পার্লামেন্ট মেম্বার থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যন্ত সকল স্তরে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকেও দলীয়করণ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, যারা ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ এর নির্বাচনের কারিগর, তাদের দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা ঐ একই ধারার নির্বাচন করবে। যা হবে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। একটি কার্যকর নির্বাচনের জন্য ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর নির্বাচনের কারিগরদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন অঞ্চলভেদে পৃথকভাবে করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার ও প্রশাসনের কাজের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণিত হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকার নির্বাচন হলে অন্তবর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসন নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবে।ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্থানীয় সরকার। পার্লামেন্ট মেম্বারের সাথে জনগণের সরাসরি তেমন কোনো কাজ নেই। জনগণের মূল কাজ স্থানীয় সরকারের সাথে। অথচ দেখা যায়, পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচনে জনগণের মধ্যে যে আগ্রহ থাকে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেটি পরিলক্ষিত হয় না। বিগত ১৫ বছর পার্লামেন্ট মেম্বাররা (এমপি) জনগণের জন্য কোনো কাজ করেনি। তারা শুধু জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জনগণের প্রশাসন নিয়োগ করতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন আগে দিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সক্ষমতা যাচাই করতে হবে। অনেক পপুলার দল স্থানীয় নির্বাচন আগে চায় না কারণ তারা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নয়।রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আস্থা অর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এই পরিবেশ রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসন সৃষ্টি করবে; তবে এরজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করতে হবে।গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রফেসর ড. দেওয়ান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের সেক্রেটারি লিটন এরশাদ, বাংলাদেশ গণমুক্তি জোটের কো-চেয়ারপার্সন আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক আহাদ নূর চৌধুরী, কলামিস্ট মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।

শাজাহানপুরে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার রেলওয়ে কলোনির একটি বাসায় মো. রাব্বি হাসান শুভ (২৫) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শুভ শাজাহানপুরের সি/১ রেলওয়ে কলোনির মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। নিহতের বন্ধু তানভীর আহমেদ বলেন, মাত্র নয় মাস আগে বিয়ে করেন শুভ। পারিবারিক কলহের জেরে আজ দুপুরের পর নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পরে শুভ। পরে বিষয়টি পরিবারের সবাই জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের একটি টিম অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে। পরে থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নিহত ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও ৬১৮ জন গ্রেপ্তার
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ অভিযান শুরুর পর থেকে সারাদেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে ৬১৮ জন এবং অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে ৭৮৬ জনসহ মোট ১ হাজার ৪০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে একটি দেশীয় এলজি, ২টি টিপ ছোড়া, ৪টি চাকু ছাড়াও একটি লোহার রড, একটি কার্তুজ, একটি ছুরি ও একটি সুইচ গিয়ার জব্দ করা হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার ঘটে। এর প্রতিবাদে ঘটনার পরদিন গাজীপুরে দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। পরবর্তীতে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করে ৭৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সঙ্গে এই সময়ে অন্যান্য মামলার ৯১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকে যতদিন প্রয়োজন হবে, ততদিন বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ু, পানি, মাটি ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণপূর্বক পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্লাটিনাম জয়ন্তী বা ৭৫তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি শুধু মেট্রোরেল, দ্রুতগতির ট্রেন, ফ্লাইওভার কিংবা বড় অবকাঠামো নিয়ে চিন্তা করি; কিন্তু পরিবেশের দিকে মনোযোগ না দেই তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি করব। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ভাবতে হবে, ঢাকার রাস্তায় চলাফেরা করা এত কঠিন কেনো? কেনো আমরা শান্তভাবে বসে চিন্তা করতে পারি না? শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, নদীদূষণ ও খাদ্যে ভেজাল— সবকিছুই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অথচ পরিবেশ নিয়ে অনেক সময় আমরা শুধু সাধারণভাবে ভাবি, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেই না। এখনই উপযুক্ত সময় দেশকে দূষণমুক্ত করতে সবাই মিলে কাজ করার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সরওয়ার আলমের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ৭৫তম বর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ। পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং আমার কাজের মধ্যে আত্মীয়তা রয়েছে। কারণ, আমি যে বিষয়ে কাজ করি, আপনারা সেই বিষয়েই পড়াশোনা করছেন। কিন্তু আমরা এমন বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে লাউড স্পিকারের উচ্চ শব্দে সারাক্ষণ বিরক্ত হতে হয়। আমাদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রায় থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগকে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর জন্য। পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা ছাড়া একটি সভ্য ও টেকসই সমাজ গঠন সম্ভব নয়। রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি আশা করি, এখান থেকে যারা পড়াশোনা শেষ করে বের হবেন, তারা দায়িত্বশীল প্রশাসক, করপোরেট কর্মকর্তা বা কর্মী হয়ে পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল থাকবেন। আপনারা কীভাবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদফতরকে সহায়তা করতে পারেন; সে বিষয়ে কোনো পরামর্শ থাকলে আমাকে জানান। আপনাদের মতামত গ্রহণ করে আমরা আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়তে চাই, যেখানে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। আমি আশা করি, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ আমাদের হতাশ করবে না; বরং দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, তাদের পরিবারের সদস্যরা, পরিবেশবিদ এবং আমন্ত্রিত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাঝ আকাশে অক্সিজেন স্বল্পতা, মিয়ানমার থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট
কেবিন প্রেসার কমে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট ঢাকায় ফিরে এসেছে। তবে প্লেনে মোট কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসে ফ্লাইটটি। ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী ফ্লাইটটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। ঘণ্টাখানেক পর প্লেনটি যখন মিয়ানমারের আকাশে তখন হঠাৎ কেবিন প্রেসার কমে যায়। প্লেনে অক্সিজেনের পরিমাণ কম অনুভূত হওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীদের মাথার ওপর থেকে ওভারহেড মাস্ক বা অক্সিজেন মাস্ক নেমে আসে। ফ্লাইটটি তখন ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড্ডয়ন করছিল। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পাইলট পরিস্থিতি বুঝতে পেরে প্লেনটিকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় নামিয়ে এনে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এই পরিস্থিতির প্রায় এক ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় বিমানটি নিরাপদে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এদিকে অবতরণের পর বিমানে থাকা সব যাত্রীকে টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের জন্য একটি অন্য বিমান বরাদ্দ করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, বিমানের সব যাত্রী নিরাপদে আছেন এবং তাদের দুর্ভোগ দূর করার জন্য এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। বিমানের একজন যাত্রী জানান, পাইলট-ক্রুরা চমৎকারভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন এবং যাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ অবতরণ নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইটটি ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেছে।’

রমজানের চাঁদ দেখা কমিটির সভা শনিবার
পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শনিবার (১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।টেলিফোন নম্বর ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২,০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ ও ফ্যাক্স নম্বর ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের গেজেট ‘জুলাই যোদ্ধা’ প্রকাশ
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা নিয়ে গেজেট ‘জুলাই যোদ্ধা’ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত গেজেটে সারাদেশের ৪৯৩ জন আহতদের নাম স্থান পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই গেজেটি- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬’-এর সিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) ক্রমিক নম্বর ২৩’-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার প্রকাশ করে। গেজেটে অতি গুরুতর ৪৯৩ জন আহতকে ‘ক’ শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া আহতদের ধরনভেদে পর্যায়ক্রমে ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির তালিকাও প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়। গেজেটে অতি গুরুতর আহতদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, পিতা-মাতার নাম ও স্থায়ী ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাটি শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গত ১৫ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এসব তালিকা ধরে গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিকভাবে সহায়তা দেবে সরকার। আহতদের ধরন অনুযায়ী প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে।

রমজানে রাজধানীতে তীব্র যানজটের শঙ্কা
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দুয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। মাসটিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সরকারি অফিসের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অফিস শেষে সবার তাড়া থাকে বাসায় ফিরে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার। কিন্তু রাজধানীতে তাতে বাদ সাধে যানজট। এবার রমজানের আগে থেকেই যানজটে নাকাল নগরবাসী। প্রায় প্রতিদিন নানা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের লোকজন বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের নামে চলছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি। এসব কারণে প্রায়ই অবরুদ্ধ থাকছে মহানগরের বিভিন্ন সড়ক। এ অবস্থায় রমজানেও অসহনীয় যানজটের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ সমস্যায় হাল ছাড়তে নারাজ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। তারা বলছে, পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নানা পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এরই মধ্যে ফুটপাত খালি করাসহ কিছু কার্যক্রম তারা শুরু করেছে। পবিত্র রমজান মাসে সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন ছাড়া বাকি পাঁচ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে। পাশাপাশি প্রতিদিন দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি দেওয়া হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘ইফতারের আগেই সবাই বাসায় ফিরতে চায়। সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কমছে না; একই সময়ে রাস্তায় অতিরিক্ত মানুষ থাকবে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে যদি একই সংখ্যক যানবাহন থাকে, তাহলে সড়কে ঘনত্ব অনেক বেড়ে যাবে। পাশাপাশি রাস্তায় শপিং করা লোকজন বাড়বে। এতে যানজট বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এ অবস্থায় যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এই যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, রমজানে ফুটপাতে ইফতারি বিক্রি ও নানা পণ্যের কেনাকাটা চলে। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে সবার আগে, যাতে মানুষ হেঁটে বাসায় ফিরতে পারে। এ ছাড়া রমজানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে এবং কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। খোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালানো যেতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ধীরগতির যানবাহন মূল সড়ক থেকে এই এক মাস অবশ্যই সরাতে হবে। এখানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ দেখছি না। অন্যথায় যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।’ গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রমজান উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ডিএমপিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপির সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় ডিএমপির কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘ঢাকা শহরের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। রমজানে যানজট নিরসনে ডিএমপির ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে।’ সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রমজানে অফিস ছুটির সময় অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে অযাচিত যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়, যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয়। যানবাহন চলাচল এতে বাধাগ্রস্ত হয়। রমজানের শুরু থেকে ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। রমজানে সড়কে যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত না হয়, সে জন্য ট্রাফিক বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া গণপরিবহনগুলো যাত্রী ওঠা-নামা করে। এতে পেছনে গাড়ির দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। তাই রাস্তায় যাতে গাড়ি না থামে সে জন্য ট্রাফিক বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ তিনি জানান, ডিএমপির এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। প্রায়ই এ সময়সীমা না মেনে চালকরা চলার চেষ্টা করে, যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার বিষয়টি মেনে চলতে হবে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কে গাড়ি মেরামতের কাজ করা হয়। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজানে এ ধরনের কাজ যাতে কেউ না করতে পারে, সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘রমজানে দুপুরের পর রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। বাসায় ফেরার তাড়া থাকে সবার। মানুষ যাতে নিরাপদে ইফতারের আগেই ঘরে ফিরতে পারে, সে জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর থেকে ইফতার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনবল নিয়োজিত থাকবে। কিছু জায়গায় ডাইভারশন দেওয়া হবে। রাস্তায় কোনো হকার বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসতে দেওয়া হবে না। গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া হবে না রাস্তায়।’ ডিএমপির রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান মাসে নিউমার্কেট-গাউছিয়া এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষ কেনাকাটা করতে আসবে। সেখানে যথাযথ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই এবং সড়ক বিভাজকে নেই কোনো প্রতিবন্ধক। ফলে মানুষ ওভারব্রিজে না উঠে হেঁটে রাস্তা পার হয়। এতে গাড়ির গতি কমে যায়। ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হবে। যারা গাড়িতে কেনাকাটা করতে আসবেন, তারা যেন রাস্তায় নেমে গাড়ি ছেড়ে দেন- এমন ক্যাম্পেইন করা হবে। বিশেষ করে বিকেল থেকে যেন যানজট তীব্র না হয়, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকব।’ তিনি জানান, সড়কে কোনো দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে রমনা ট্রাফিক বিভাগ এলাকায় সড়ক পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। গতকালও নিউমার্কেট এলাকার সড়ক থেকে দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার সাঈদ বলেন, ‘উত্তরা এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের সদস্যরা সমন্বিতভাবে কাজ করবে। বিভিন্ন শপিংমলের কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে। কমিটির লোকজন মার্কেটের সামনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে।’ রমজানে খোঁড়াখুঁড়ি না করার অনুরোধ ডিএমপির: ডিএমপি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পবিত্র রমজানে ঢাকা মহানগরে সড়কে নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু না করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, রমজানে সড়কে যানবাহনের অত্যধিক চাপ থাকে। প্রায়ই দেখা যায়, এ মাসেও বিভিন্ন সংস্থা বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউটিলিটি-সংক্রান্ত কাজে সড়ক কেটে রাখেন। এতে সড়ক সংকুচিত ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। জনভোগান্তি কমাতে রমজানে নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু না করার অনুরোধ রইল।

ছাত্রদের নতুন দলের সঙ্গে আমি যুক্ত নই : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ছাত্রদের নতুন যে দল গঠন করা হয়েছে আমি সেই দলের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নই। কারণ আমি এখন সরকারের দায়িত্বে আছি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগরে নিজ গ্রামে আকবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, এই সরকারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের যে দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে, সে জায়গা থেকে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব না। তবে শুধু নতুন রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলই জনকল্যাণমুখী হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। জনগণই যেন তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলেই আপনারা জানতে পারবেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। মেট্রোপলিটন সিটিগুলোতে ছিনতাই বেড়ে গিয়েছিল। সরকার টহল জোরদার করেছে। ঢাকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন বাহিনীর টহল রয়েছে। বাহিনীগুলো অ্যাকটিভ রয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান যুক্তিসংগত নয় বললেন ড. কামাল হোসেন
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানকে ফেলে দেওয়া একদমই ভুল হবে। এত দিন এই সংবিধানের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে। জনগণ মেনে নিয়েছে। সেটা ফেলে দিয়ে নতুন একটা সংবিধান করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ সভার আয়োজন করে। সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানকে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান করা—এটা সংস্কার নয়, এটা সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা পথ। সংবিধান পুনর্লিখনও একটা ভুল ধারণা। সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়। সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনীর পক্ষে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বাস্তবতায় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দলগুলো পা রাখার মতো মাটি দ্রুত পাবে না। অল্প অল্প করে পর্যায়ক্রমে ভালোর দিকে যেতে হবে। তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর বিচার করলে রাষ্ট্রধর্ম আর ধর্মনিরপেক্ষতা—দুটি কথাই সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া উচিত। গণতন্ত্রের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা আসতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটা ব্যবহার না করে অন্যভাবে এগোতে পারলে ভালো। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ফেলে দেওয়ার প্রস্তাবের ফলে ধীরে ধীরে ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তির উত্থান হচ্ছে; যা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হতে হবে, না হলে দেশে শান্তি আসবে না। সংগঠনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল বারী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, এস এম এ সবুর ও আবু ইয়াহিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন গতি তৈরি করবে
আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি নতুন গতি তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি বড় সফলতা আসবে। কয়েক দশকের দীর্ঘ মানবিক ট্র্যাজেডিকে বিশ্ব মানচিত্রে ফিরিয়ে আনা এবং দীর্ঘ নির্যাতিত মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের জন্য আরও সমর্থন বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, আসুন এই সম্মেলনে একটি বড় সাফল্য অর্জন করি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট কিছু উপায় বের করি। ভবিষ্যতের দিকে একটি রাস্তা থাকা উচিত। আমাদের তাদের (রোহিঙ্গা জনগণ) ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। এসময় ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, আসুন আমরা এই বিষয়টিকে এজেন্ডায় রাখি। জাতিসংঘের সম্মেলন এটিকে আবার টেবিলে রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়। রাখাইনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর আস্থা তৈরির জন্য এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। বৈঠকে তারা (ইউনূস-গ্র্যান্ডি) মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশে শিবিরে বসবাসকারী লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও আর্থিক সহায়তা জোগাড় করার উপায়ের ওপর জোর দেন। তারা রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। ইউএনএইচসিআর প্রধান রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য সার্বজনীন শিক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টা এবং শরণার্থীদের আরও টেকসই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি গ্র্যান্ডিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমর্থনে ও রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।

রমজানে যানজট কমাতে মাঠে থাকবে শিক্ষার্থীরা
আসন্ন রমজানে সড়কে যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় মাঠে থাকবে বাংলাদেশ স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে নগরভবনে ডিএনসিসি প্রশাসকের কার্যালয়ে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ ও বাংলাদেশ স্কাউটের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত। বৈঠকে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যানজট কমাতে শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে ঢাকা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেছে। রমজানে জনদুর্ভোগ যেন না হয় সেজন্য আমরা আবারও শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রত্যাশা করছি। ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্কাউট, বিএনসিসি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও যানজট কমাতে মাঠে থাকবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যাডমিন, প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ এনামুল হক, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) সুফিয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ স্কাউটের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) নাঈম রায়হান খান।

আন্দোলনে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন, আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন। গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮৩৪ জন জুলাই শহীদের তালিকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই, ২০২৫-এ জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পাবেন। শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। জুলাই-২৪-এর যোদ্ধারা তিনটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরি। সেগুলো হলো—ক্যাটাগরি ‘এ’, ‘ক্যাটাগরি ‘বি’ এবং ক্যাটাগরি ‘সি’। এই ক্যাটাগরি অনুযায়ী সবাই সুবিধাদি পাবেন। এখন পর্যন্ত ক্যাটাগরি ‘এ’-তে (অতি-গুরুতর আহত) ৪৯৩ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকাভুক্ত হয়েছেন। যারা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার নিরিখে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবনযাপনে অক্ষম। এই ক্যাটাগরির ‘জুলাই যোদ্ধারা’ এককালীন ৫ লাখ টাকা সহায়তা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধাও পাবেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। এছাড়াও উপযুক্ত মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন। তারা পরিচয়পত্র পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। আর গুরুতর আহত ক্যাটাগরি ‘বি’-তে এখন পর্যন্ত ৯০৮ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকাভুক্ত হয়েছেন; যারা পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর শারীরিক অসামর্থ্যতার নিরিখে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম হবেন। এই ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি তাদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি কর্মসংস্থান পাবেন। তারা পরিচয়পত্র পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। আহত ক্যাটাগরি ‘সি’-তে ১০ হাজার ৬৪৮ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা চিকিৎসার পর বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন। এই ক্যাটাগরির ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ এককালীন ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়াও তারা পুনর্বাসন সুবিধা, পরিচয়পত্র পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। খবর বাসস।

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘২৪ পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র দিলাম, আর দোয়া নিলাম।’ তরুণদের নেতৃত্বে শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। এই রাজনৈতিক দলটির আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলম উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদ যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাত দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলেও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

২২ শর্তে নতুন রাজনৈতিক দলকে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ২২ শর্তসাপেক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে মানিক মিয়া এভিনিউ'তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে দলটির নামও। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বেই আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন দলটির নাম হবে ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

‘জুলাই শহীদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা মার্চ থেকে ভাতা পাবেন: প্রেস সচিব
আগামী মার্চ মাস থেকে ‘জুলাই শহিদ’দের পরিবার ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা ভাতা পাওয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এছাড়া এককালীন ভাতার একাংশ আগামী জুন মাসের মধ্যে দেওয়া হবে। বাকি অংশ আগামী অর্থবছরে পরিশোধ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় জুলাই শহীদের পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা কী কী সুবিধা পাবেন, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। গণঅন্দোলনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন। যারা আহত হয়েছেন তারা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত হবেন। আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। মেডিকেল কমিটির মাধ্যমে আহতদের অবস্থা পর্যালোচনা করে এ, বি, সি ক্যাটগরি করা হয়। সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গেজেটভুক্ত জুলাই শহীদের সংখ্যা ৮৩৪ জন। শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরের মধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যেম ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরের বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। শহীদ পরিবার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। পরিবারের সক্ষমরা সরকারি, আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। জুলাই যোদ্ধাদের ‘এ’ ক্যাটারিতে যারা অতি গুরুতর আহত হয়েছেন, তারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা ৪৯৩ জন। এ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী অর্থবছরে পাবেন। এছাড়া মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে বিদেশে চিকিৎসা প্রাপ্য হবেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় কর্মপ্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাবেন। ‘বি’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধারা যারা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা ৯০৮ জন। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ও আগামী অর্থবছরে ২ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা, কর্মসহায়ক প্রশিক্ষণ, সরকারি–আধা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার ও পরিচয়পত্র পাবেন। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আহত জুলাই যোদ্ধার সংখ্যা ১০ হাজার ৬৪৮ জন। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা, পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ উপস্থিত ছিলেন।

১৮ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায়, ৩৮৪টি ইটভাটা বন্ধ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় বায়ু ও শব্দ দূষণ, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সরবরাহ, অবৈধ ইটভাটা, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনসহ বিভিন্ন দূষণকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কঠোর অভিযান চালিয়েছে। ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সারা দেশে ৫২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ হাজার ২৪৫টি মামলা করা হয় এবং ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে ২৪৯টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৩৫টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়, ৩৫টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয়টি ট্রাকভর্তি সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপরদিকে, গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ৩৪২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৬৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১৫৮ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ১১টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাগেরহাট, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ঢাকায় চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আটটি মামলায় ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ চারটি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আরও পাঁচটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই দিনে, ঢাকা মহানগরের আদাবর ও কদমতলী এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। চারটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া, গাজীপুরের নাওজোর ও সালনা হাইওয়ে থানার পৃথক অভিযানে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ২২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। দুটি ট্রাক জব্দসহ দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে জুলাই যোদ্ধাদের কেউ ভুলবে না: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাইয়ের যে গণঅভ্যুত্থান— এটা তো জাতির একটা মহৎ আন্দোলন। এটা তো বাংলাদেশের সবাই ধারণ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে এরা জুলাইযোদ্ধা, জুলাইয়ের বীর, জুলাই শহীদ। আমি মনে করি, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে জুলাই যোদ্ধাদের কেউ ভুলবে না, জুলাই শহীদেরকে কেউ ভুলবে না।’ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস উইং আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আহত ও নিহতদের প্রাপ্য সুবিধাগুলো আইন করে পরিবর্তন যাতে না করা যায়, এমন কোনও উদ্যোগ সরকার নেবে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো একটা অধিদফতর করেছি। অধিদফতরের আওতায় খুব নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু করা হচ্ছে। দেখেন, ৫৩ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে এখনও প্রশ্ন আছে। এখানে কয়েকবার করে চেক করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা ক্যাটাগরি করেছি এবং সবার পাশেই এই অন্তর্বর্তী সরকার দাঁড়িয়েছে।’ শহীদ পরিবারদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোটার কোনও সিস্টেমে আমরা যাচ্ছি না। এটা কোটার বিষয় না। এটা প্রজন্মের পর প্রজন্মের বিষয়ও না। দেখেন, যারা আহত হয়েছে এমন অনেকেই আছে— যার চোখে ৫-৬টি করে গুলি চালানো হয়েছে। এটা তো অমানবিক। এখনও অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। শহীদদের সংখ্যা ৮৩৪ জন গেজেট করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, অনেক শহীদের সংখ্যা… আমাদের এখনও এই তদন্ত চলছে। আমরা কিন্তু আরও খুঁজছি। কেননা, জাতিসংঘের হিসাবে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনের মতো। আমরা জানি যে, কিছু কিছু কবরস্থানে জুলাই শহীদদের কোনও প্রকার চিহ্ন ছাড়া কবর দেওয়া হয়েছে। সেটাও আমরা চেষ্টা করছি, পরিচয় কীভাবে বের করা যায়। তাদের চিহ্নিত করার একটা প্রক্রিয়া চলছে। শহীদদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তবে আপাতত হছে ৮৩৪ জন। ’

প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে আসামিকে ছিনতাই
রাজধানীর কাওরান বাজার রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশ সদ্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এক মাদককারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– এসআই ইখতিয়া হোসেন, কনস্টেবল বিপ্লব ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন। পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, হাতকড়া পরানো এক আসামিকে ধরে রেখেছেন এক পুলিশ সদস্য। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে চাপাতির আঘাতে আহত পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আটক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তেজগাঁও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই জয়দেব কুমার বসু বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বুধবার রাতে এজহারভুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’ কীভাবে ঘটলো এই হামলা? আহত এসআই ইখতিয়া হোসেন ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেদিন বিকালে আমিসহ আরও দুজন পুলিশ সদস্য পায়ে হেঁটে কাওরান বাজার এলাকায় টহল দিচ্ছিলাম। তখন কামারপট্টি ও এর মাঝখানে রেললাইনে কয়েকজন মাদককারবারি আমাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় শাহীন (২৫) নামে একজন পড়ে গেলে আমরা তাকে আটক করি। তার সঙ্গে ছোট ছোট প্যাকেটে মোড়ানো একব্যাগ গাঁজা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আটকের পরপরই অন্য মাদককারবারিরা আমাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। তখন নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের পাশে আশ্রয় নেই। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। সেখানে বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর এলাপাতারি হামলা করে। দ্বীন ইসলাম কালু নামে একজন চাপাতির উল্টো দিক দিয়ে আমার ঘাড়ে আঘাত করে। তখন আটক শাহীনও আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জোর করে হাতকড়া খুলে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা।’ পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৫৩ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল করা হয়েছে। একযোগে ৫৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৩৩ জন পুলিশ সুপার এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। প্রজ্ঞাপন দুটি সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান। এক প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল কালাম আযাদকে এপিবিএন-১ ঢাকায়, ৮ এপিবিএন হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার রোকনউজ্জামানকে সিআইডিতে, ডিএমপির খো. ফরিদুল ইসলামকে র্যাবে, ডিএমপির মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানকে র্যাবেসহ ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খানকে সিআইডিতে, বিএমপিতে বদলির আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আহমেদুল কবীরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, আব্দুল্লাহ আল জহিরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডিতেসহ ৩২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৫৩ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল করা হয়েছে। একযোগে ৫৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বদলিদের মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৩৩ জন পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। প্রজ্ঞাপন দুটি সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান। এক প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল কালাম আযাদকে এপিবিএন-১ ঢাকায়, ৮ এপিবিএন হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার রোকনউজ্জামানকে সিআইডিতে, ডিএমপির খো. ফরিদুল ইসলামকে র্যাবে, ডিএমপির মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানকে র্যাবেসহ ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খানকে সিআইডিতে, বিএমপিতে বদলির আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আহমেদুল কবীরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, আব্দুল্লাহ আল জহিরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডিতেসহ ৩২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।