সিরাতুন্নবী (সা.) মানবজাতির জন্য একটি বিশ্বজনীন বার্তা: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সিরাতুন্নবী (সা.) মানবজাতির জন্য একটি বিশ্বজনীন বার্তা। রাসুল (সা) এর জীবনাদর্শ কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। তাঁর জীবনচর্চা সকল যুগ, সমাজ ও মানুষের জন্য দিকনির্দেশনা দেয়।আজ (শুক্রবার) সকালে লন্ডনের ইস্ট মসজিদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে টিভি ওয়ান আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সিরাতুন্নবী (সা.) কেবল একটি জীবনী নয়, এটি অনন্য এক জীবনধারা। এটি পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য সিরাতুন্নবী (সা.) এর গুরুত্ব অপরিহার্য। তাঁর জীবনী অধ্যয়ন ও অনুসরণের মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, রাসুল (সা) সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ ও জাতি-বর্ণের মধ্যে সমানাধিকারের নীতি প্রবর্তন করেন। তিনি মদিনায় হিজরতের পর বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরকে নিয়ে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এ রাষ্ট্রে সংবিধান প্রণয়ন, আইন প্রয়োগ এবং নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করেন।ড. খালিদ বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা) এর রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতি আজকের দিনেও অনুকরণীয়। তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনেও অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন।ব্রিটেনের প্রবীণ আলেম মাওলানা আসগর হোসেনের সভাপতিত্বে এ কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে মাওলানা আবদুল কাইউম, মাওলানা আবদুর রহমান মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা শাহ মিজান ও টিভি ওয়ানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার রিজওয়ান বক্তব্য প্রদান করেন।

কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

মারা গেছেন দেশের খ্যাতিমান কবি হেলাল হাফিজ। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। প্রতিভাবান কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি। দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

দ্রুতই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনের গেজেট হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

দ্রুতই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই গেজেট হবে। গেজেটে আইন প্রয়োগে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। শুক্রবার সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাড়িচালকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হর্নের শব্দে সচিবালয়ে কাজ করা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা একটি নরকে পরিণত হচ্ছে। হর্নের যন্ত্রণায় মানুষ বিকার গ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে একটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। রাজধানীতে যতগুলো সোসাইটি আছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। বিদেশে হর্ন বাজানো মানে গালি দেওয়া। গবেষণা বলছে, যানবাহনের হর্ন, নির্মাণকাজ, শিল্পাঞ্চলের মেশিন এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে মাইক্রোফোনের অপব্যবহারের ফলে দেশে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মানসিক চাপ, বধিরতা বাড়ছে। এমনকি শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সচেতন নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরেই এটি নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আকাশে যে মেঘ এসেছিল, দুদেশের স্বার্থেই সে মেঘ সরাতে হয়েছে।’ দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঠিক রাখতে গিয়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বেশ কদিন ধরেই ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া যদি সংস্কার সম্ভব না হয়, তাহলে গত ৫৩ বছরে কেন সংস্কার হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই জবাবটা দিতে হবে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দাবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার পুনঃতদন্ত, কারাবন্দি তৎকালীন বিডিআর (বিজিবি) সদস্যদের মুক্তি, মামলার সব রায় বাতিলসহ আটটি দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় ‘কারা নির্যাতিত বিডিআর পরিবার’ নামে একটি সংগঠন। নির্যাতিত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। কারাবন্দিদের সাজা শেষ হলেও বিনা বিচারে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ঢালাওভাবে আসামি করায় নির্দোষ ব্যক্তিরাও আজ কারাবন্দি।এ সময় অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। ২৭৬ জনের হত্যা মামলায় জামিন পেলেও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আটকে আছে সবাই।’আট দাবি হলো:> প্রহসনমূলক মামলা প্রত্যাহার ও রায় বাতিল করা> ১৬ বছর যাবৎ কারাগারে বন্দি নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি> মামলার পুনঃতদন্ত করা> রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তির প্রদান> বিডিআর সদস্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া> ক্ষতিগ্রস্ত সেনা ও বিডিআর সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসন করা> পুনরায় বাংলাদেশ রাইফেলস নামকরণ করা> ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করা

আজও বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লী

আজ ছুটির দিনে সরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ২৫২ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। এবার শীতের শুরুতেই টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করে। ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ২০৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের শহর ‘দিল্লি’। নাগরিকদের জন্য বাতাসের এই মানও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এদিকে, ১৯৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের শহর ‘লাহোর’। নাগরিকদের জন্য বাতাসের এই মানও ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যারা নিয়মিত বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করে এই একিউআই সূচক, যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে। আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ৫৩ নাগরিকের

বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডার (অপপ্রচার) নিন্দা ও ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। যৌথ বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, অপপ্রচার চালানো গণমাধ্যমগুলো ‘ভারতের উগ্র ডানপন্থী শাসক দল বিজেপির’ স্বার্থ রক্ষাকারী। বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে আসছিল, জুলাই গণভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে দেশের মানুষ নিজেদের মুক্ত করেছে। স্বৈরশাসনকে পরাজিত করার পর এখন চেষ্টা করা হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এবং জাতি পুনর্গঠনের যাত্রা শুরুর। এই সময় অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘গদি মিডিয়ার’ অপপ্রচার রুখে দিতে হবে। ভারত সরকার যখন গণহত্যাকারী,পতিত স্বৈরশাসককে নিজেদের আশ্রয়ে রেখেছে, তখন ভারতীয় ‘গদি মিডিয়া’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ‘কল্পিত ক্র্যাকডাউনের’ গল্প প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেখা গেছে, এসব কথিত খবর হয় মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক। বিবৃতিদাতা নাগরিকেরা মনে করেন, এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে হচ্ছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনাস্থা তৈরি করা, মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও জাতি পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করা। বাংলাদেশের মূল শক্তি হচ্ছে বৈচিত্র্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশের সব জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতামতের মানুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। এর ফলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উপাদানে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং এই দানবীয় প্রপাগান্ডা যন্ত্র এখন বাংলাদেশের সংখ্যলঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিবৃতিতে দেশবাসী ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ৫৩ নাগরিক বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে যে যেখানেই থাকুন না কেন, সবাই বাংলাদেশবিরোধী এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশের শক্তি। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন— শহিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, সুমন রহমান, জিয়া হাসান, ড. মারুফ মল্লিক, অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, ড. হাসান আশরাফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সায়েমা খাতুন, অধ্যাপক স্বাধীন সেন, ড. সাইমুম পারভেজ, পাভেল পার্থ, বীথি ঘোষ, মাহবুব সুমন, ওমর তারেক চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, আ-আল মামুন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোশরেকা অদিতি হক, আর রাজি, মাহাবুব রাহমান, তুহিন খান, মিছিল খন্দকার, ইসমাইল হোসেন, নাহিদ হাসান, গাজী তানজিয়া, কাজী জেসিন, মৃদুল মাহবুব, ফেরদৌস আরা রুমী, ড. মো. হাবিব জাকারিয়া, শাহতাব সিদ্দিক অনিক, ইমরুল হাসান, শাহনাজ মুন্নী, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মিশায়েল আজিজ, সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, পারভেজ আলম, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ রোমেল, কামরুল আহসান, জিয়া হাশান, আলতাফ শাহনেওয়াজ, শরত চৌধুরী, বায়েজিদ বোস্তামী, পার্থিব রাশেদ, দীপক কুমার গোস্বামী, জি এইচ হাবিব, আবুল কালাম আল আজাদ, আলমগীর স্বপন, সারোয়ার তুষার ও এহসান মাহমুদ।

ঢাকার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) আমিনবাজার সিজিএস-এ মোডিফিকেশন কাজের জন্য আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত সমগ্র সাভার, আমিনবাজার ও হেমায়েতপুর এবং ঢাকা মহানগরীর সমগ্র মিরপুর এলাকা, মিরপুর রোডের উভয় পাশের এলাকা, শ্যামলী, আদাবর, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, ধানমন্ডি, হাজারিবাগ, কামরাঙ্গির চর, কেরাণীগঞ্জ (খোলামোড়া হতে কলাতিয়া, হযরতপুর পর্যন্ত), হাতিরপুল, ফার্মগেট, আজিমপুর, নিউমার্কেট, লালবাগ, শাহবাগ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। এছাড়া কোথাও কোথাও গ্যাসের চাপ শূন্যে নেমে যেতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮৫ জন

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি। পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশ মিশন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় তারা ঢাকায় ফেরেন। বাংলাদেশ সরকারের ভাড়া করা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ২১ মিনিটে তারা রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান। এ সময় তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয় আইওএম। কর্মকর্তারা চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ফিরে আসাদের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। এ নিয়ে ১৬টি ফ্লাইটে লেবানন থেকে নিরাপদে দেশে ফিরে এলেন মোট ১ হাজার ৪৮ বাংলাদেশি।

মরিশাসের শ্রম মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ

মরিশাসের শ্রম ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ মোহাম্মদ রেজা কাসাম ‍উত্তিমেরসঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মরিশাসের মন্ত্রীর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। মরিশাসের বাংলাদেশ মিশন জানায়, সাক্ষাতে উভয়পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক অভিন্ন স্বার্থ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। তারা উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়, মারিশাসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ও রেমিট্যান্স প্রেরণসহ নানাবিধ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আলোচনার সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগসহ আরও বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স প্রেরণের সুযোগ তৈরির বিষয়ে জোরালো গুরুত্বারোপ করেন। মরিশাসের মন্ত্রী দেশটির বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া প্রক্রিয়াধীন সমঝোতা স্মারক চূড়ান্তকরণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আশ্বাস প্রদান করেন। মরিশাসের মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ বোয়েসেল ও বিএমইটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আসাদুজ্জামানসহ মরিশাসের শ্রমমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবহন খাতের মাফিয়াদের বিরুদ্ধেও লড়াই চলবে : নুর

পরিবহন খাতে নয়া মাফিয়ারা দখল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সাথে তার দোসররা পরিবহন খাত থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। বিগত সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছি, একই ভাবে পরিবহন খাতের মাফিয়াদের বিরুদ্ধেও লড়াই চলবে।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সড়ক পরিবহনে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধ এবং প্রকৃত মালিক-শ্রমিকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণ পরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটি এ সভার আয়োজন করে। সভায় নুরুল হক নুর বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবহন খাত নতুন মাফিয়ারা দখল করেছে। টিআইবি এই বছর শুরুতে একটা রিপোর্টে বলছিল প্রতি বছর পরিবহন খ্যাত থেকে এক হাজার ৬০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। সেই চাঁদার ভাগ গণভবনের নেতা থেকে ফুটপাতের নেতারাও পায়। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, দেশে কোন চাঁদাবাজি চলবে না। আমাদের অবস্থান চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজ মাফিয়ারা কোন দলের না, তারা সুবিধাভোগীরা। পরিবহন মালিক সমিতিতে যেন প্রকৃত মালিকরা নেতৃত্বে থাকে, সেজন্য নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে, একই সাথে কোন দুর্বৃত্ত যেন নেতৃত্বে আসতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ ঢাকার যানজটের ভোগান্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার জন্য কত পরিকল্পনা করা হল। কিন্তু, বাস্তবে কিছুই হল না। প্রতিদিন জ্যামে মানুষের মূল্যবার সময় নষ্ট হচ্ছে, যানজট নিরসনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা নিন। পরিবহন খ্যাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অর্ন্তবর্তী সরকার শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা বার বার বলছি, শুধু ভোটের জন্য মানুষ জীবন দেয়নি, তাই সব কিছুই শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে।’ নূর আরো বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে আট টাকা বাড়িয়েছে, তেল সিন্ডিকেটরা পরিকল্পিত সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি করে ছিল। সরকার সিন্ডিকেটের কাছে যদি জিম্মি হয়, তাহলে সামনে আরো সিন্ডিকেট তৈরি হবে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দাম বাড়িয়েছে, সরকার উচিত তেল আমদানি কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’ গণপরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, পরিবহন মালিক সমিতির সোহরাব হোসেন, সাজ্জাদ চৌধুরী শিহাব, মাহতাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফারুক মোল্লা, তোফাজ্জল হোসেন।

বন্দি বিনিময় চুক্তিতে হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা উপদেষ্টা আসিফের

বন্দি বিনিময় চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, যথাসময়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে বন্দি বিনিময় ট্রিটি আছে, সেই ট্রিটি অনুযায়ী ভারত তাকে (শেখ হাসিনাকে) বাংলাদেশে ফেরত দেবে।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন বাংলাদেশে এসেছেন, তখনও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটা বলা হয়েছে যে, একজন গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আসলে যার এ মুহূর্তে বিচার হওয়ার কথা, যার এখন কারান্তরীণ থাকার কথা, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি, বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য তিনি দিয়ে যাচ্ছেন।’ শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে দাবি করে উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘তিনি সেটা ভারতে উত্থাপন করেছেন। আমরা আশা করি, এ ধরনের কোন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ভারত তাকে বাধা দেবে।’

মজলুম যেন আবার জালিম না হয়ে উঠে বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন হাসনাত?

মজলুম যেন আবার জালিম না হয়ে উঠে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া পোস্টে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে, হাসনাত এ কথা বলে কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে হাসনাত তার পোস্টটি শেয়ার করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পোস্ট করার ৩০ মিনিটের মধ্যে পোস্টটিতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ৩৯ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী। আর মন্তব্য এসেছে তিন হাজারের বেশি। এইচএম আনামুল ইসলাম নামে একজন তার মন্তব্যে লিখেছেন, ‘সব সময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, সে যে কোন দলেরই হোক না কেন।’ ইয়াসিন সোহাগ নামের একজন লিখেছেন, ‘মজলুম কখনও জালিম হওয়ার সুযোগ পাবে না, যদি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়।’ এএইচ মাসুম বিল্লাহ লিখেছেন, ‘জালিম তো হতেই হবে, না হলে নতুন করে মজলুমের সৃষ্টি হবে কী করে?’

ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরো পাঁচজনের, হাসপাতালে ৩৪৪

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৪ জন। ফলে, এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৯৪৭ জনে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত পাঁচজনের দুই জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের, একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা, একজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও একজন রংপুরের বাসিন্দা।’ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাহিরে) ৪৪, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৯, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭০, খুলনা বিভাগে ৪১, রাজশাহী বিভাগে ১৯, ময়মনসিংহে সাত ও রংপুরে দুইজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৭ হাজার ৯৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক দশ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৫৪১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী ও ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।

বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো মানা, আরো যা নিষেধ

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপির হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সভায় জানানো হয়, বড়দিনে এবার ঢাকার প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। সভায় মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এ দুইটি বড় উৎসব ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া, নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোন প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।’ ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোন স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় কাউকে ঢুকতে হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল ও ঢাবি এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এ ছাড়া উৎসব দুইটি উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান কমিশনার।

রাজধানীতে ছয় মাসের মধ্যে অপসারণ করা হবে পুরনো গাড়ি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে। এছাড়া, কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বায়ুদূষণ রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়, তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ করা হবে ও রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণ কাজের ধুলা, ইটভাটা এবং যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদার করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাণ কাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা ও সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার ও দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা ও বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন রিজওয়ানা হাসান। সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘খাল উদ্ধার ও উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।’ সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন। সভায় সিদ্ধান্ত দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর আইন প্রয়োগ ও নিয়মিত মনিটরিং চালানো হবে এবং ধুলা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পানি ছিটানোসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করছে সরকার

ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমোদনের কথা জানানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে ই-সিগারেট সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ এছাড়া, বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফের উপস্থাপন করতে হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গণহত্যার তথ্য গোপন করতে ইন্টারনেট বন্ধ করেছিলেন পলক: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক গণহত্যার সব পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। এসব হত্যাকাণ্ডের তথ্য যাতে সারা দুনিয়া ও দেশের মানুষ না জানতে পারে, সেজন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জুলাই-আগস্টে তিনি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গোটা দুনিয়া থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকা সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ১৮ ডিসেম্বর সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ। গেল ১৮ নভেম্বর গণহত্যার অভিযোগে জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ একটি পিটিশনে জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর এক দিনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।’ চিফ প্রসিকিউটর আরো বলেন, ‘তাকে (পলক) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, তিনি সে সময় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ছাত্র-জনতার ওপর যে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেগুলোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক এসব পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’

৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর

স্থগিত ঘোষণার দুই দিন পর ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন দিন-তারিখ জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে এ বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হবে। এ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবার আবেদন ফি ২০০ টাকা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল পাঁচটার দিকে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিউর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী ১০ ডিসেম্বর সকাল দশটা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে, অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যে সময়সীমা ছিল, তার চেয়ে এবার সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফার ঘোষণা অনুযায়ী আবেদনের জন্য প্রার্থীরা ২২ দিন সময় পেতেন। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আবেদনের জন্য ৩৪ দিন সময় পাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পিএসসি সূত্র জানায়, আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিসিএসে আবেদন স্থগিত করা হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আবেদন ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ফের আবেদনের তারিখ ঘোষণা করল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমাধান শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল দশটায়। শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে তার আগের দিন এ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হল। এ বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে এক হাজার ৩৩১ ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ভারত-পাকিস্তানের কিছু ইস্যুর কারণে সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সার্ক আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পরপর সার্ককে সক্রিয় করার বিষয়ে বলেছি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর কারণে সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন প্রধান। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন তিনি। এ সময় মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, দুইটি দেশের মধ্যকার সমস্যা দ্বারা অন্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করা উচিত নয়। প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা যদি সাক্ষাৎ করেন, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন, তাহলে গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা যায় যে, আমরা একসঙ্গে আছি। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করবে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’ এ সময় তিনি সার্ক ফেডারেশন অব অঙ্কোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাক্তার এবিএমএফ করিমের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। এ সময় নিজের ছোট ভাই, লেখক, সাংবাদিক, সমালোচক ও খ্যাতনামা টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে স্মরণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। ভাইয়ের ক্যানসার শনাক্ত ও চিকিৎসার সময় তার পুরো পরিবারকে কী ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, সেসব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। সে সময় ডাক্তার করিম কীভাবে তার চিকিৎসায় সাহায্য করেছিলেন, সেকথাও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন, তা এখনো আমরা পাচ্ছি না। সার্ক যে ক্যানসার চিকিৎসাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে, এটা অত্যন্ত জরুরি ও অনুপ্রেরণামূলক।’ আজকের কনফারেন্সে সার্ককে সক্রিয় করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ফের আহ্বান জানান মুহাম্মদ ইউনূস।

জাহিদ-পলক-আজমের বিরুদ্ধে ১৫৫ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা

প্রায় ১৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও তার ছেলে, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক ছয় মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক পৃথক মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। দুদক পরিচালক আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় জাহিদ মালিকের বিরুদ্ধে ৬১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ও তার ছেলে রাহাত মালেকের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য দিকে, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় ৭২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাহিদ মালেক ও তার ছেলে, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী এবং মির্জা আজম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলার অনুমোদন দিয়েছিল দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির নতুন নিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে প্রথম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

জাহিদ-পলক-আজমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার অনুমোদন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ছেলে, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি পলক ও তার স্ত্রী এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। দুদকের নতুন নিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পাঁচ সাংসদ ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তারা হলেন ফেনী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সাংসদ নূর নবী চৌধুরী শাওন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আবু জাহির, নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সাংসদ এইচএম ইব্রাহিম ও লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। অনুমোদিত সিদ্ধান্তে একই সঙ্গে তাদের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক পাঁচ সাংসদ ও তাদের পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পাঁচ সাংসদ ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের নতুন নিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই যা আদালতে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভায় হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন ফেনী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সাংসদ নূর নবী চৌধুরী শাওন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আবু জাহির, নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সাংসদ এইচএম ইব্রাহিম ও লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। অনুমোদিত সিদ্ধান্তে একই সঙ্গে তাদের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।

র‌্যাব আর কারও নির্দেশে গুম-খুনে জড়াবে না : মহাপরিচালক

কারও নির্দেশে র‍্যাব আর গুম, খুনে জড়াবে না বলে জানিয়েছেন এলিট ফোর্সটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করব ততদিন র‍্যাব গুম, খুনে জড়িত হবে না এমন নিশ্চয়তা দিচ্ছি। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শহিদুর রহমান। র‌্যাবের নেতিবাচক কাজের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে এলিট ফোর্সটির মহাপরিচালক বলেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুম-খুনের কিছু অভিযোগ আছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ সেসব বিষয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। সবকিছু সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হতে চাই। কারও নির্দেশে এসব অপরাধে র‍্যাব আর জড়িত হবে না, সেটি আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। শহিদুর রহমান আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন হয়েছে, তবে প্রত্যাশিত জায়গা এখনও যায়নি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব তার দায়িত্ব আন্তরিকতা সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের ডিজি। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে। পরে র‍্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র‍্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধে সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারা চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের কারণে এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলছে। র‍্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব।

বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাবের ১৬ সদস্য আটক

গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র‍্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র‍্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‍্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব। তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো ততদিন র‍্যাব গুম, খুনে জড়িত হবে না বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।