‘বাংলাদেশ দখল করতে হলে ২০ কোটি মানুষের রক্তে পাড়া দিতে হবে’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৭ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ২০ কোটি মানুষ কিন্তু সোলজার। যদি বাংলাদেশ দখল করতে হয়- তাহলে ২০ কোটি মানুষের রক্তে পাড়া দিয়ে করতে হবে।’
রোববার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সবাই বলে বাংলাদেশ ছোট গরিব দেশ- কিন্তু আমি মনে করি, বাংলাদেশ উদার ও বহু শক্তিশালী দেশ। আমি তাদের (ভারত) ভাবতে বলব- আমরা একাত্তর সালে ট্রেনিং ছাড়া যুদ্ধ করেছি। ২০২৪ সালে হাসিনার পতনেও আমরা, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিনা অস্ত্রে যুদ্ধ করেছি।’
আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে দেশের সব ইতিহাস নষ্ট করেছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারা গত ১৫ বছরে সঠিক ইতিহাস নষ্ট করে ফেলেছে। প্রয়াত জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। দেশের সেক্টর কমান্ডারের অফিস ছিল ভারতে। একমাত্র জিয়াউর রহমানের অফিস ছিল সিলেটে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ইতিহাস বইয়ে পড়েছে। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। আমরা সম্মুখ সারির যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছি।’
আওয়ামী সরকারের আমলে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখনও আমাদের কোর্টে যেতে হয়। কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সঠিক সময়ে আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমার এমন কোন বছর নাই, যে বছর জেলে যাই নাই। মানুষ বলত, ভাই আপনার ঠিকানা কোথায়- আমি বলতাম কোর্ট বা জেল। সেখানে গেলে আমাকে পাবেন।’
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘এই সরকারকে বিব্রত করার জন্য একটি চক্রান্ত করছে। কিন্তু, আমরাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই সরকারকে সার্থক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ড. ইউনূসকে সঠিক পথে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি মহল বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলাচ্ছে। দেশের কিছু ইউটিউবার আছে- যাদের কোন কাজ নাই, তারা এসব কাজ করছে। প্রমাণ করেছি আমরা গণতান্ত্রিক দল। কারণ, আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। আওয়ামী লীগ যদি সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করত- তাহলে আজকে দেশের এই অবস্থা হত না।’
আলোচনা সভায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘শেখ হসিনা সরকার ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃত করছে, যা ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনেত মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।’
সভায় স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, গণঅধিকার পরিষের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।